গত ১/০৫/২৩ তারিখ ডাবলিনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশী ডাক্তারদের এক মিলনমেলা ।
গত ১/০৫/২৩ তারিখ ডা: মুসাব্বির রুবেল এবং ডা: পারভেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটিতে ছিলো পরিচিতি ও আলোচনা পর্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশি কমিউনিটির সম্মানিত সভাপতি ডা. জিন্নুরায়েন জায়গীরদার এবং কমিউনিটির সিনিয়র ডাক্তারবৃন্দ।
আলোচনায় সিনিয়র ডাক্তারগন পরিচিতির পাশাপাশি তাদের পুরোনো দিনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটিকে কিভাবে চিকিৎসা সেবায় সহায়তা প্রদান করা যায়, কর্মরত জুনিয়র ডাক্তারদের পেশাগত উন্নয়নে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় এবং সর্বোপরি আয়ারল্যান্ডে কিভাবে আরো বেশি বাংলাদেশী ডাক্তারদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরী করা যায়, সে সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নিজেদের মাঝে আন্ত:সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর নুন্যতম একটি মিলনমেলার আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরিশেষে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গুলোকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে পাঁচজন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮ জনে। এদিন দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চারজন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৫৭০ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এক হাজার ৭৩টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ৪৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৩টি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে চাই -ডা. অসিত মজুমদার স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতা কাজের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের জন্য ডা. অসিত মজুমদার দক্ষিণ এশিয়া শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
সাউথ এশিয়া স্যোসাল কালচারাল কাউন্সিল, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশন এবং জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি সংসদ এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলের ক্রাউন হলে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার এর চেয়ারম্যান ডা. অসিত মজুমদারকে চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পীস এ্যাওয়ার্ড” পুরস্কার প্রদান করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তিগণ হচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পীকার আবদুল মালেক উকিলের মেয়ে ঝন্টা ক্লাবের ভাইসচেয়ারম্যান মায়া কবির, মাস এইড প্রোগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক প্রসপারিনা সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুণীজন।
গতকাল মঙ্গলবার গুণীজন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান হাই কোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান সরকার কবি নুরুল কবির।
ডা. অসিত মজুমদার এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর হতেই নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০০৬ সাল থেকে সাপ্তাহিকভাবে এবং পরবর্তীতে সময়ে সময়ে নিজ এলাকায় ফ্রী রোগী দেখে আসছেন।
এছাড়া ঢাকার গ্রীণরোডের সার্জেনের গলিতে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিনই দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্য এবং নামমাত্র ফিতে রোগী দেখে থাকেন। সমাজে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, জনমনে চিকিৎসা বান্ধব মনোভাব তৈরী, চিকিৎসাহীন জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসামুখীকরণ এবং নিরাপদ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষিত জীবন গড়তে ডা. অসিত মজুমদারের এই প্রচেষ্টা বলে তিনি জানান।
ডা. অসিত মজুমদার ১৯৯৫ সালে ছাত্রাবস্থায় “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের করণীয়” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখে সারাদেশে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং একই সময়ে “আর্থসামাজিক উন্নয়নে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব” শীর্ষক প্রবন্ধে জনসংখ্যাকে কিভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায় এমন প্রবন্ধ লিখে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সারাদেশে তৃতীয় হন।
করোনাকালিন এবং বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ রোগীকে অনলাইন এবং অফলাইনে চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসা সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে অবদানের জন্য ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এণ্ড রেসপন্সিবিলিটিস কর্তৃক সাম্মানিক সনদ লাভ করেন।
ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোট তাঁকে সমাজ সেবায় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। লেখালেখি এবং পেশগত বিষয়ে এর আগেও তিনি বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। ডা. অসিত মজুমদারের চিকিৎসা জীবনের কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক কাজ ও সমাজকর্ম স্যোসাল রিফর্মে অবদান রেখে চলেছে। তাঁর এই সেবা ও সচেতনতাকর্ম সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ফি দিয়ে রোগীরা এখন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে বৈকালিক সেবা পাবেন। প্রাথমিকভাবে ৫১টি সরকারি হাসপাতালে এই সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ১২টি সদর হাসপাতাল ও ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা মিলবে। দুপুর পর্যন্ত বিদ্যমান সরকারি স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করবেন। এর মাধ্যমে রোগীরা মানসম্মত সেবা পাবেন এবং বেসরকারি হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের। তবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন সাতজন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ জন।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪২৫ জন। সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এক হাজার ৬৭৭টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ৬৬২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯টি।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪১ জনেই থাকছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এ সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৬ জন।
দেশে ডেঙ্গিজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গিতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো পাঁচজনে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ডেঙ্গিবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন ডেঙ্গিরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৮০ জনে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা আটজন এবং ঢাকার বাইরের ছয়জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৮ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০৯ জন। আর ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ২২৯ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা গেছেন। একই সঙ্গে ওই বছরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় আরও এক হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু বেড়েছে তিন শতাধিক। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ৪৯২ জন। যা আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত বেড়েছে এক লাখেরও বেশি। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ১২ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৮১ জন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ১৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৩২৩ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ হাজার ৩৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৯৬ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৬৬৭ জন।
একই সময়ে রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২০১ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। ফিলিপাইনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮১ জন এবং মারা গেছেন ১১ জন। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। হংকংয়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ২৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯১৫ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ লাখ ২০ হাজার ১১৪ জনের। আর সুস্থ্য হয়েছেন ৬৪ কোটি ১০ লাখ ৫৯ হাজার ৩১ জন।
ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩২ জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ১৭ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৬৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ৫২ জন ঢাকার মধ্যে এবং ১১৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৫৪ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৫৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ১০২ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৫৩ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এছাড়া চলতি বছরে ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনা আক্রান্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪০ জনের। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২১ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৫ জনে।
মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৮৪৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৩টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তিন হাজার ৭৭৪টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তিন হাজার ৭৬৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৫২৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে নয়জন ছাড় পেয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৫২ হাজার ৯০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ২২ হাজার ৭২৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ৩৫৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।