এমামুল হক: ফেসবুকের সবকিছু বিশ্বাস করি না। কিন্তু বছরখানেক আগে বন্ধু সোহাগের শেয়ার করা একটা ছবি দেখে কষ্টে বুকটা টনটন করে উঠল। নিদারুণ বাস্তবতার করুণ সত্য একটি দৃশ্য। তাগিদ বোধ করলাম, বিষয়টা নিয়ে কিছু লিখা উচিৎ। ছবিটা রেখে দিলাম টাইমলাইনে।
বলছিলাম বিশ্ববিখ্যাত ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টারের পৃথিবী কাপানো এই ছবিটার কথা। এখানে শকুনটা অপেক্ষা করছে ছোট্ট শিশুটার মৃত্যুর জন্য। বাচ্চাটা মারা গেলে তার মাংস খাবে। ফটোগ্রাফার এই ছবিটি তুলেছিলেন ১৯৯৪ সালে সুদানে জাতিসংঘের খাদ্য গুদামের কাছে। যা আলোড়ন তুলেছিল সারা দুনিয়ায়। পরে এই ছবিটার জন্য কেভিন পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

ছবিটা তোলার পর থেকেই কার্টার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। আর এর তিন মাসের মাথায় আত্মহত্যা করেন। এর আগে কেভিন তার ডায়রিতে লিখে যান- ঈশ্বর যেন শিশুটিকে তার কষ্ট থেকে মুক্তি দেন। আর বিশ্ববাসীর কাছে মিনতি করেন, আমরা যেন কেউ খাবার নষ্ট না করি।
বিশ্বে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। অথচ কিছু মানুষ খামখেয়ালি করে বিপুল পরিমাণ খাবার অপচয় করছে প্রতিনিয়ত। একদিকে ক্ষুধার্ত মানুষের কঙ্কালসার দেহ, আরেকদিকে প্লেটভর্তি নষ্ট করা খাবার। পৃথিবীর জন্য এ এক চরম বাস্তবতা।

আপনি কী জানেন, বিশ্বে প্রতিদিন কতো মানুষ খাবারের কষ্ট করে? আর কী পরিমাণ খাবার খামখেয়ালিপনায় নষ্ট হয়? জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-এফএও’র প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বে প্রতি মাসে ১০ হাজার শিশু মারা যায় খাদ্যের অভাবে। আর প্রতি রাতে না খেয়ে ঘুমায় ৮২ হাজার মানুষ। অথচ বিশ্বে উৎপাদিত খাবারের ১৪০ কোটি টন মানুষ নষ্ট করে, যা মোট উৎপাদনের তিন ভাগের এক ভাগ। এই খাবার দিয়ে প্রতিবছর ২০০ কোটি মানুষকে পেট ভরে খাওয়ানো সম্ভব!এ তো গেল সারা বিশ্বের কথা। বাংলাদেশের দিকে নজর দিলে আরও হতাশ হতে হয়। কিছুদিন আগে একটি দাওয়াতে গিয়েছিলাম। ঘেরা, খোলা জায়গায় বিশাল আয়োজন। বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে সুস্বাদু খাবারে ঘ্রাণ। প্যান্ডেলের দিকে এগোচ্ছি। দেখি বাইরে একটা জটলা। পাড়ার জীর্ণ মধ্যবয়সী আজমত চাচাকে ভর্তসনা করা হচ্ছে। কারণ দাওয়াত ছাড়াই তিনি মেহমানদের সারিতে বসতে যাচ্ছিলেন। লজ্জায় অবনত মুখে একটু দূরে গিয়ে বসলেন আজমত। কষ্ট লাগলো। জানি না পরে আজমত চাচা খেতে পেরেছিলেন কিনা। কিন্তু খাওয়া শেষে মেহমানদের খাবার নষ্টের যে মহোৎসব দেখলাম, তাতে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল! আহারে বেচারা আজমত! যে পরিমান খাবার নষ্ট হচ্ছে, তাতে শত আজমতকে খাওয়ানো যেতো!এ দৃশ্য শুধু এক পাড়া বা এক মহল্লার নয়, এ দৃশ্য গোটা দেশের। সামাজিক কোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াত এবং অনেক বিত্তবানের বাড়িতে খাবার অপচয়ের বহর দেখলে মনে হয়। খাবার অপচয় করাই যেন এখন ‘স্মার্টনেস’। খাদ্যশস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা এবং থালা পর্যন্ত নানাভাবে খাবারের অপচয় হয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব বলছে, বাংলাদেশে বছরে ১.৪৫ কোটি টন খাদ্য অপচয় হয়। যা দিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে তিন মাস খাওয়ানো সম্ভব। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যখন বিশ্বজুড়ে খাদ্য ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের শঙ্কা, তখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ভয়ঙ্কর এই তথ্য।

বর্তমানে দেশে খাদ্য সমস্যা নেই। তবে আগামী দিনে দেখা দিতে পারে সঙ্কট। এই আশঙ্কা একাধিকবার করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বে খাদ্য সঙ্কট এড়াতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- এফএও’র সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী পাঁচদফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। এর পঞ্চম দফায় খাদ্য অপচয় রোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশগুলো বিশ্বযুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা এখন মধ্যম আয়ে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু দেশে মাথাপিছু খাদ্য অপচয়ের যে হিসেব তা অনেক বেশি। এফএও’র গবেষণা মতে, বাংলাদেশের খাদ্য অপচয়ের অন্যতম প্রধান কারণগুলো হলো, কৃষিতে প্রযুক্তির কম ব্যবহার, সংরক্ষণের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না থাকা। কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে থাকার আলোচনায় যাচ্ছি না। কিন্তু এখানকার খাদ্য সংরক্ষণ সক্ষমতার চিত্র দেখুন, দেশে পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নেই। খাদ্য দফতরের গুদামে ১৮ লাখ টন চাল ও গম সংরক্ষণ করা যায়। কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগেরই ভগ্নদশা। গোডাউনের ভেতরে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে অনেক খাবার পচে যাচ্ছে। অথচ আধুনিক কোল্ড স্টোরেজ তৈরি করা হবে বা হচ্ছে মর্মে সংশ্লিষ্টদের গতানুগতিক ফাঁকা বুলি শুনলে হতাশ হতে হয়।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে দেশে খাদ্য সমস্যা সমাধানে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং খাদ্যের অপচয় রোধ এখন সময়ের দাবি। ব্যক্তিগত হোক বা সরকারিভাবেই হোক, সদিচ্ছা থাকলেই খাদ্য অপচয় রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব। আর শুধু অপচয় বন্ধ করেই সম্ভব ক্ষুধার্ত মানুষের অন্নের সংকুলান করা। ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বব্যাপী সচেতনতা এবং সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিতের সঙ্কল্পকে উদ্দেশ্য করে এই দিনটি পালিত হয়। তাই শুধু সরকারি পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে না থেকে, বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রাক্কালে সবার অঙ্গীকার হোক- আমরা যে যার অবস্থান থেকে খাদ্য অপচয় বন্ধে সচেষ্ট ও তৎপর থাকবো।
লেখক: এমামুল হক, সহযোগী বার্তা সম্পাদক. একাত্তর টিভি
এই বর্ষা মৌসুমে ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে ডেঙ্গু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, মশাবাহিত রোগের ফলে পরপর দ্বিতীয় বছরে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু ও সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২ হাজার ৬৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ। এছাড়া একই সময়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৫ জনে। এবং ৩৭ হাজারের এরও বেশি ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। একই বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বিশেষ করে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে প্রচণ্ড জ্বর, জয়েন্টে ব্যথা এবং বমিতে আক্রান্ত রোগীদের জায়গা খুঁজে পেতে লড়াই করতে হয়েছে।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত পাঁচ বছরে ডেঙ্গুতে এক দিনে সর্বোচ্চ। এ সময় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭৯২ জন। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু ১৪৬ জনের এবং মোট সংক্রমিত হয়েছে ২৫ হাজার ৭৯২ জন।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে এক হাজার ৭৯২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৯২২ জন ঢাকায় চিকিৎসাধীন। বাকি ৮৭০ জন রাজধানীর বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে নবজাতকসহ মাহবুবা রহমান আঁখির মৃত্যুর দায় নিতে রাজি নন অভিযুক্ত ডাক্তার সংযুক্তা সাহা। তার দাবি, আঁখি তার নিয়মিত রোগী নন। তার অস্ত্রোপচারের সময় তিনি (সংযুক্তা) দেশেই ছিলেন না। এমতাবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন আক্কেলে আঁখিকে ভর্তি করালেন—এমন প্রশ্ন তোলেন এই প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।
আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে মঙ্গলবার রাজধানীর পরিবাগে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন ডাকেন ডা. সংযুক্তা সাহা। সেন্ট্রাল হাসপাতালে আঁখির অস্ত্রপচারের দশ দিন পর এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানা গেল।
ডা. সংযুক্তরা দাবি করেছেন, তাকে ‘না জানিয়ে’ ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। সুতরাং শিশু ও মায়ের মৃত্যুতে তার কোনো দায় ‘ছিল না’।
‘যে মানুষটা দেশেই নাই তার নাম করে কেন রোগী ভর্তি করবেন? এটা কার স্বার্থে? আমি যদি অপারেশন না করি, যদি নাই থাকি, তাহলে রোগী ভর্তি করালেন কোন আক্কেলে? এটা অবশ্যই একটা বেআইনি ব্যবস্থা। এ ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী সেন্ট্রাল হাসপাতাল।’
এদিকে আঁখি ও তার সন্তানের মৃত্যুতে যে সেন্ট্রাল হাসপাতালের অবহেলা ছিল, গত সোমবার তা স্বীকার করে নেন ঢাকার গ্রিনরোডের নামি এ চিকিৎসা কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক ডা. এটিএম নজরুল ইসলাম। তবে তিনি প্রথমত সংযুক্তা সাহাকেই দায়ী করেছিলেন।
কী গাফিলতি ছিল, সে প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেছিলেন, গাফিলতি ছিল প্রথমত ডা. সংযুক্তা সাহার, তারপর ওটির চিকিৎসকদের। কারণ সে সময় তারা সিনিয়র ডাক্তারদের ডাকেনি।
অন্যদিকে সংযুক্তা সাহা তার বাসায় সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ করার জন্য তিনি যে ‘সামাজিক আন্দোলন’ শুরু করেছেন, সে কারণে একটা পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ‘এসব কাজ করছে’।
সংযুক্তা দাবি করেন, ওই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব, আপনারা এই অনিয়মের সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
গত ১/০৫/২৩ তারিখ ডাবলিনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশী ডাক্তারদের এক মিলনমেলা ।
গত ১/০৫/২৩ তারিখ ডা: মুসাব্বির রুবেল এবং ডা: পারভেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটিতে ছিলো পরিচিতি ও আলোচনা পর্ব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশি কমিউনিটির সম্মানিত সভাপতি ডা. জিন্নুরায়েন জায়গীরদার এবং কমিউনিটির সিনিয়র ডাক্তারবৃন্দ।
আলোচনায় সিনিয়র ডাক্তারগন পরিচিতির পাশাপাশি তাদের পুরোনো দিনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটিকে কিভাবে চিকিৎসা সেবায় সহায়তা প্রদান করা যায়, কর্মরত জুনিয়র ডাক্তারদের পেশাগত উন্নয়নে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় এবং সর্বোপরি আয়ারল্যান্ডে কিভাবে আরো বেশি বাংলাদেশী ডাক্তারদের কর্ম সংস্থানের সুযোগ তৈরী করা যায়, সে সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

নিজেদের মাঝে আন্ত:সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বছর নুন্যতম একটি মিলনমেলার আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরিশেষে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রম গুলোকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে পাঁচজন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮ জনে। এদিন দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৬ জনের।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চারজন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৫৭০ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এক হাজার ৭৩টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ৪৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬২৩টি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৪৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে চাই -ডা. অসিত মজুমদার স্বাস্থ্য সেবা ও সচেতনতা কাজের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের জন্য ডা. অসিত মজুমদার দক্ষিণ এশিয়া শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
সাউথ এশিয়া স্যোসাল কালচারাল কাউন্সিল, অগ্রগামী মিডিয়া ভিশন এবং জ্ঞানতাপস ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্মৃতি সংসদ এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলের ক্রাউন হলে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার এর চেয়ারম্যান ডা. অসিত মজুমদারকে চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পীস এ্যাওয়ার্ড” পুরস্কার প্রদান করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তিগণ হচ্ছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্পীকার আবদুল মালেক উকিলের মেয়ে ঝন্টা ক্লাবের ভাইসচেয়ারম্যান মায়া কবির, মাস এইড প্রোগ্রাম এর নির্বাহী পরিচালক প্রসপারিনা সরকারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গুণীজন।
গতকাল মঙ্গলবার গুণীজন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমান হাই কোর্ট বিভাগ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান সরকার কবি নুরুল কবির।
ডা. অসিত মজুমদার এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর হতেই নিজ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ২০০৬ সাল থেকে সাপ্তাহিকভাবে এবং পরবর্তীতে সময়ে সময়ে নিজ এলাকায় ফ্রী রোগী দেখে আসছেন।
এছাড়া ঢাকার গ্রীণরোডের সার্জেনের গলিতে দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিনই দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্য এবং নামমাত্র ফিতে রোগী দেখে থাকেন। সমাজে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, জনমনে চিকিৎসা বান্ধব মনোভাব তৈরী, চিকিৎসাহীন জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসামুখীকরণ এবং নিরাপদ স্বাস্থ্য ও সুরক্ষিত জীবন গড়তে ডা. অসিত মজুমদারের এই প্রচেষ্টা বলে তিনি জানান।
ডা. অসিত মজুমদার ১৯৯৫ সালে ছাত্রাবস্থায় “বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে আমাদের করণীয়” শীর্ষক প্রবন্ধ লিখে সারাদেশে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করেন এবং একই সময়ে “আর্থসামাজিক উন্নয়নে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব” শীর্ষক প্রবন্ধে জনসংখ্যাকে কিভাবে জনসম্পদে পরিণত করা যায় এমন প্রবন্ধ লিখে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সারাদেশে তৃতীয় হন।
করোনাকালিন এবং বিভিন্ন সময়ে লক্ষ লক্ষ রোগীকে অনলাইন এবং অফলাইনে চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসা সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে অবদানের জন্য ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস এণ্ড রেসপন্সিবিলিটিস কর্তৃক সাম্মানিক সনদ লাভ করেন।
ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধু সাংষ্কৃতিক জোট তাঁকে সমাজ সেবায় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন। লেখালেখি এবং পেশগত বিষয়ে এর আগেও তিনি বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। ডা. অসিত মজুমদারের চিকিৎসা জীবনের কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক কাজ ও সমাজকর্ম স্যোসাল রিফর্মে অবদান রেখে চলেছে। তাঁর এই সেবা ও সচেতনতাকর্ম সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন।
দেশের সরকারি হাসপাতালে ফি দিয়ে রোগীরা এখন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে বৈকালিক সেবা পাবেন। প্রাথমিকভাবে ৫১টি সরকারি হাসপাতালে এই সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বৈকালিক চেম্বার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ১২টি সদর হাসপাতাল ও ৩৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ সেবা মিলবে। দুপুর পর্যন্ত বিদ্যমান সরকারি স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সরকারি চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন। বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করবেন। এর মাধ্যমে রোগীরা মানসম্মত সেবা পাবেন এবং বেসরকারি হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৫ জনের। তবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন সাতজন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫০ জন।
রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪২৫ জন। সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৪টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এক হাজার ৬৭৭টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ৬৬২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৫২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯টি।
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জনে। এ সময়ে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৪১ জনেই থাকছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৮২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ০ দশমিক ৩২ শতাংশ।
এ সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৩০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৬ জন।