আজ রাজধানী শাহবাগে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে র্যালির অনুষ্ঠিত হয়। জি-২০ এর উন্নয়ন পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে দেখা দেবে’ September 8 ঢাকা: জি-২০ দেশগুলোর আমাদের দেশে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল।
তিনি বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষের মনের অভিব্যক্তি ও অভিজ্ঞতা তারা যদি আমলে না নেয়, তাহলে অনেক ভুল করবে। তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা বুমেরাং হয়ে দেখা দেবে।’ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শরীফ জামিল এসব কথা বলেন।
জি-২০ জোটের নেতাদের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করে আসিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি)। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক বলেন, ‘তারা নিজেদের দেশে পরিবেশ দূষণকারী শিল্প কারখানা করবে না, অথচ তারা আমাদের দেশে চাপিয়ে দেবে, তা আমরা চাই না। আমরা ঋণ চাই না, জলবায়ু পরিবর্তনের ঐতিহাসিক ক্ষতিপূরণ চাই। আমাদের দেশের জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য তাদের যে দায়, সেগুলো যেন হয় ঐতিহাসিক ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে। আমরা চাই, তারা আমাদের জনশক্তিকে ব্যবহার করে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন কর্মকান্ড গ্রহণ করতে আমাদের দেশকে সহযোগিতা করবে।’

আয়োজকেরা জানান, ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির ১৯টি দেশ ও ইইউ সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরাম জি-২০ এ বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতে তাদের বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। অপর্যাপ্ত তৎপরতার কারণে জি-২০ জোট তাদের প্রতিশ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন সাধনে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। ক্রমাগতভাবে, বিভিন্ন ধরণের দুর্বল নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ঋণ সহায়তা, শুল্কনীতি, জ্বালানি-উৎস পরিবর্তন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার মতো বিষয়গুলোতে প্রত্যাশিত অবদান রাখতে জোটের ব্যর্থতা লক্ষ্য করা গেছে।
অনুষ্ঠানে মানববন্ধনের পাশাপাশি পরিবেশ বিষয়ক মূকাভিনয় প্রদর্শন করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশন এবং বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের প্রায় শতাধিক সাইকেলিস্ট একটি র্যালির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ছিল ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ইকুইটি বিডি, ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ব্রতী, গ্লোবাল ল’থিংকার্স সোসাইটি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
অনুষ্ঠানে ব্রতীর প্রধান নির্বাহী শারমিন মুরশিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম বদরুল আলম, কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক, সিপিআরডি-এর প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ প্রতিগযোগিতা কমিশনের সদস্য এম এস সিদ্দিকী, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদের, সভাপতি, মো:আমিনুল ইসলাম টুববুস, গ্রীন পেজের সমন্বয়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান সহ অনেকে।
মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান: স্বামী-স্ত্রী,নারী-পুরুষ,বিএনপি-আওয়ামীলীগ আর হিন্দু-মুসলমান নিয়ে কথাবার্তা বলতে যে পরিমাণ ঝুঁকি, এমন ঝুঁকি মনে হয় গামছা কোমরে বেঁধে খালি গায়ে পায়ে বরফে ঢাকা এভারেস্টের চুড়ায় উঠতেও নাই।
বিয়ের পরে মহিলাদের পুরুষ বন্ধু অথবা পুরুষদের মহিলা বান্ধবী কোন হিসেবে থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য হয় না। স্কুল কলেজের ল্যাং মারা ঠ্যাং চাটা দুষ্টুচক্ররা মামা খালুর জোরে ঘুষ দিয়ে পদ পদবী পেয়ে বৃদ্ধকালে জোট বেঁধে তাকত দেখায় আমার বন্ধু অমুক তমুক আর স্বামী হচ্ছে চদু।
এই ব্যাচ ভিত্তিক বন্ধুচক্র নষ্ট করছে সংসার আর সমাজ। মাজা কোমর ভাঙা মহিলারা ঘরে চেয়ার ছাড়া বসতে পারে না, বাথরুমে কমোড লাগে, ২০০ গজ হাটতে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে যায়, একমাস খোঁচাখুঁচি করলেও স্বামী কে দিতে পারে না, সেই সব মহিলারা নায়িকার মত ডিসটেম্পার মেরে, কাপড়ের তলায় সেন্ট স্প্রে করে থুরথুরা বুড়া,ধ্যাতরা চামড়াওয়ালা, মুখে মেচতা পরা বাল্য বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে যায়। সারাটা সমাজ নষ্ট করেছে তারা।
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকি এবং বৈরী সম্পর্ক বেশীরভাগ স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে। তালাক তো ঘরে ঘরে। বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত মহিলাদের জয়জয়কার। তাঁরা সবচেয়ে বেশী স্বাধীন, ক্ষমতাশালী এবং শক্তিশালী বিত্তশালী মহাপরাক্রমশালী বিজয়ী। সম অধিকারের চেয়ে বেশী অধিকার তাদের কায়েম হয়েছে মাশাল্লাহ। আমি তাদের নিয়ে কিছু বলছি না। আজাদ নারীদের নিয়ে কথা বলতে আমার তেমন একটা আগ্রহ নাই। ভালো মন্দ নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই আছে। ফুটফুটে সুন্দর নারীদের পা চাটা পুরুষের অভাব নাই। অবৈধ পয়সার পুরুষদের পয়সা ঢালার প্রথম পুন্যস্থান এই ফুটফুটে সুন্দর নারীদের পদতল।সেই সুযোগটা ই যৌবনে গ্রহণ করেন নোংরা নারীরা।কিন্তু বিপত্তি টা বাঁধে যখন বয়স বাড়ে তখন।
দ্বীনদার স্বামী রা কখনো ই মানসিকভাবে সুস্থ সভ্য ভদ্র নম্র মিষ্টি মার্জিত ধর্মানুরাগী পত্নীকে অসম্মান অনাদর করেন না।চিরকাল প্রেমিকার মত প্রতিষ্ঠা পেতে এবং স্বামী’র কাছ থেকে সারাজীবন সমান অধিকার,কাব্যিক আচরণ পেতে দ্বীনদার নারীরা কয়েকটি কাজ কখনোই করেন না।
স্বামী কে তাঁরা আর যাই হোক অসম্মান করেন না। ঠকান না। স্বামীর নামে মিথ্যাচার করেন না। স্বামীর জন্মস্থান সহ পুরো পরিবার কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন না।স্বামী – স্ত্রী’র শারিরীক সম্পর্কের মধ্যে প্রচুর আত্মসম্মান জড়িত থাকে। ভালোবাসা মন্দবাসা জড়িত থাকে। স্বামী কে অসম্মান অপমান অপদস্ত করলে, স্বামী’র সঙ্গে তুইতোকারি করলে স্বামী হয়তো সামাজিক কিংবা আত্মমর্যাদা অথবা লোকলজ্জার ভয়ে সাময়িক চুপ থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন কিন্তু কোনো অন্ধ-বধির- বোবা স্বামীও বাজে ব্যবহার পেয়ে স্ত্রী র প্রতি প্রেম বলবৎ রাখতে পারেন না। এটাই তো স্বাভাবিক।
স্ত্রীদের যদি সন্তান আর সম্পদ দখল করার মানসিকতা থাকে তাহলে স্বামী স্ত্রী বলতে যা বুঝায় তা কি প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে?স্বামীরা কি শখ করে, বিশ্বাস করে স্ত্রী র নামে সম্পদ কিনবে না? কিনলেই কি স্ত্রী সেটা দখল করে ফেলবে ? তাহলে তো দুনিয়ায় সবচেয়ে ভয়ংকর সম্পর্কের নাম হবে স্বামীস্ত্রী।
সম্পদ, টাকা-পয়সা,রোজগার, গাড়ি বাড়ি চাকরি ব্যাবসা এগুলোর সঙ্গে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক নাই। সম্পদ কখনো থাকে কখনো থাকে না কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকলে স্বামী স্ত্রী র আমৃত্যু থাকে। এমনকি পরকালেও থাকে।
যদি স্বামী স্ত্রী মনে করেন যে, দুজনের মধ্যে তিন কথার সম্পর্ক তাহলে বিবাহ কেন করলেন তারা। সারাজীবন অবিবাহিত থাকলেই তো পারেন। সন্তান জন্মের পরেও যারা মনে করে তিন কথার সম্পর্ক তাদের জাত ই খারাপ। পারিবারিক শিক্ষা পরিচয় তাদের নাই। ফাঁপরে চলে।
ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেল। তৃতীয় দফায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দ্বিতীয় ইনিংস তথা পাকিস্তান ব্যাটিং করতে পারেনি। যে কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়া ভারত-পাকিস্তান উভয় দল ১ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করে।
পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায়। শনিবার ভারতের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচে ১ পয়েন্ট পায় পাকিস্তান। দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এ গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করে বাবর আজমরা।
ভারত নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকে পেল ১ পয়েন্ট। পরের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয় পেলে এ গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করবে।
শনিবার শ্রীলংকার পাল্লেকেল্লে স্টেডিামে মুখামুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। এদিন শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ ও নাসিম শাহর গতিতে বিধ্বস্ত ভারত। এই তিন তারকার গতির মুখে পড়ে ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি ভারত। এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের তৃতীয় ম্যাচে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানেই ইনিংস গুটায় ভারত।
মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান: হযরত ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা রাসূল (সাঃ) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোর বেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে (পা দিয়ে) নাড়া দিলেন এবং বললেন মা মনি ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হইও না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যেই রিজিক বন্টন করে থাকেন। (সহীহ আত তারগিব হাদিস নাম্বারঃ ২৬১৬)।
এমন মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে যে কিনা দুই আয়াত কোরআন পড়েন নাই তার মানে জানেন না কিন্তু পবিত্র ইসলামের ঘোর বিরোধী তিনি। আগে জানুন তারপর বিরোধিতা করুন। মরলে তো আপনাকে জানাজা ই দেয়া হবে, কবরেই রাখা হবে, কুলখানি চল্লিশা করবে আপনার আত্মীয়রা।
অনেক মানুষ ইসলামি পোস্টে কমেন্ট করেন না।
ফজরের নামাজ আদায়ের পর ঘুমানো আজকাল অনেকেরেই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শহরের মানুষের এই অভ্যাস তো নিত্যদিনের। আগেকার সময়ে মানুষ সাধারণত ফজরের পরে ঘুমাতো না। ফজর নামাজের পর তারা হয়তো কোরআন তেলাওয়াত করতো জিকির-আজকার করত কিংবা বই পড়তো বা পড়াশোনা করতো। অথবা নিজ নিজ কাজে বের হয়ে যেত ইসলামের শিক্ষা ও মূলত এটাই।
আজকাল মহিলারা সকালের নাশতায় উপস্থিত থাকেন না ঘুমিয়ে থাকেন আল্লাহর লানত মাথায় নিয়ে।
রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে এশার পর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে বলেছেন, আর সকালবেলা আমাদের মধ্যে বরকতের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেছেন। তাই অধিক রাত্রি পর্যন্ত জাগ্রত না থেকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া আমাদের রাসূল (সাঃ) এর একটি সুন্নত।যাতে ফজরের পর ঘুমিয়ে বরকত থেকে বঞ্চিত হতে না হয়।
হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছেঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন→ এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার নামাজের পর অপ্রয়োজনীয় অহেতুক গল্প গুজব করতে অপছন্দ করতেন (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫১৪)।
ফজরের পরে সময়টাতে রাসূলে পাক (সাঃ) তার উম্মতের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। প্রিয় নবী (সাঃ) ভোরবেলায় কাজে বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। হযরত সাখার আল-গামেদি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) এ দোয়া করেছেন, হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুতে বরকতময় করুন। (আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ২৬০৬)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তার এক সন্তানকে ভোরবেলায় ঘুমোতে দেখে বলেছিলেন!ওঠো তুমি কি এমন সময় ঘুমিয়ে আছো, যখন রিজিক বন্টন করা হয় (সূত্র যা’দুল মাআ’দ ৪/ ২৪১)।
সুতরাং আমরা এশার পর বিশেষ করে বাড়িতে কোন কাজ না থাকলে বা মেহমান না থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাব কিছুক্ষণ স্ত্রীর সাথে গল্পগুজব করা যেতে পারে তবে অহেতুক কোন গল্পগুজব করব না।স্ত্রী চাইলে সারারাত জেগে থাকুন, না হয় তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে আধা রাত জাগুন । ফজরের নামাজ আদায় করে কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকার করব তারপর না ঘুমিয়ে হালাল রিজিকের অন্বেষণে বেরিয়ে পড়বো।
আল্লাহ পাক কবুল করুন।
ছোট বড় সবার পছন্দের একটি মুখরোচক খাবার “সাবওয়ে স্যান্ডউইচ” সহজেই বাড়ীতে বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনিও। চলুন, আজ দেখে নেই কানিজ ফাতেমা রিপার পাঠানো এই বিশেষ রেসিপিটি।

যা যা লাগবেঃ-
*স্যান্ডউইচ ব্রেডঃ-৪/৫টি *হাঁড় ছাড়া মুরগির মাংস সিদ্ধঃ-১ কাপ *সাদা গোলমরিচ গুঁড়াঃ-১ চা চামচ *ক্যাপ্সিকাম (লাল,সবুজ,হলুদ)স্লাইসঃ-১ কাপ *চিজ তিন কোনা কাটাঃ-৫ পিস *সয়া সসঃ-১ টেবিল চামচ *গ্রিন চিলি সসঃ-আধা কাপ *মেয়োনেজঃ-আধা কাপ *লেবুর রসঃ-২ টেবিল চামচ *মাখনঃ-২ টেবিল চামচ *লেটুস পাতাঃ-প্রয়োজন মতো *লবনঃ-স্বাদ মতো
প্রস্তুত প্রনালীঃ-
প্রথম পর্যায়ঃ-মুরগির মাংস লম্বাটে করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।ফ্যাইপ্যানে মাখন গরম করে সিদ্ধ করা মাংস,লবন,সাদা গোলমরিচ গুঁড়া,লেবুর রস,সয়া সস দিয়ে কিছুক্ষন কষিয়ে নিন।
দ্ধিতীয় পর্যায়ঃ-ব্রেডের মাঝ বরাবর কেটে তাতে মাখন লাগিয়ে চিজ বাদে সব উপকরন এক সাথে মেখে রুটির ভিতর ভরে চিজ দিয়ে স্যান্ডউইচ মেকারে গরম করে গ্রিন সস দিয়ে পরিবেশন করুন।
মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান: মানব জীবন বিচিত্র বিস্তৃত বিস্তর শাখা-প্রশাখায়। সামান্য ক’দিনের বিচরণ,বিচিত্র আচরণে চিত্রিত মানুষের জীবনকাব্য । মানুষ দুই প্রকার, পুরুষ এবং নারী। আপনার ভালো না লাগলেও পড়েন উপকার হবে। পুরুষ এবং নারীর খাচলাত এক নয়। এক জাতের খাচলাত কাজকর্ম আরেক জাতের মধ্যে সংক্রমিত হলে আর রক্ষা নাই। দাবানলের মত ছারখার হবে দুনিয়া এটা নিশ্চিত। বন্যেরা বনেই সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। পুরুষ বন্য প্রাণী। নারী পুরুষের জন্য ঘরকে প্রাকৃতিক বাগানে পরিণত করবে এটাই পবিত্র কোরআন এবং হাদিসের শিক্ষা।
সন্যাস জীবনেও পুরুষ নিরাপদ কিন্তু নারী ‘ফুটফুটে সুন্দর’। সন্যাস জীবনে নারী নিজে তার সচ্চরিত সংরক্ষণ করতে পারেন না। এটাই ই বাস্তব। চরিত্রহীন নারীকে বেশ্যা বলা হয় কিন্তু পুরুষের কোনো চরিত্র ই নাই। যার কোনো পরিচয় ই নাই তার আবার চরিত্র কি! তাকে কোনো উপাধিতে ই ভুষিত করা যায় না।
পুরুষ সুযোগ পেলেই ‘ফুটফুটে সুন্দর’ হয়ে যাবে। নারীর কাজই পুরুষদের আকৃষ্ট করে নিজের দিকে মনোযোগী করে রাখা। নারী বেশ্যা না হয়ে নিজের স্বামী ও রাখতে অক্ষম। নিজের স্বামীর জন্য যে নারী বেশ্যা হয় সেই নারী ই হচ্ছে জান্নাতি নারী।
৷ পতিতালয়ের নারীরা নাকি সেজেগুজেই থাকেন। আমি পতিতালয়ে যাই নাই, কাওসারের কাছে শুনেছি। কাওসার কে ভারতের এক পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়। যে পতিতা কাওসারকে ক্রয় করে নিয়েছিলেন তিনি ছিলেন কাওসারের মা। মা তাঁর নিজের সন্তান কে চিনতে পেরে আর শারিরিক কর্ম করেন নাই। পরে সীমান্ত পার ক’রে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান।এপার এসে কাওসার জানতে পারে তিনি ছিলেন কাওসারের আপন মা। সে গল্প আগে লিখেছিলাম।
তাহলে সেখানে তাঁরা কেন সাজেন? নিশ্চয়ই পুরুষদের আকৃষ্ট করবার জন্য ! তখন তো তাঁরা স্বাধীন, না সাজলেও পারেন !
আসলে এমনই সৃষ্টি। পুরুষের কোনো চরিত্র নাই। ঐ এক জায়গায়, তা হচ্ছে নারীর উদার উষ্ণ বক্ষ আর কমল হস্তদ্বয়ে।
আজকাল নারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরুষদের শারিরীক যাদু দেখায়। আরে ভাই পুরুষ খুব বাস্তববাদী। নিজেদের ধ্বংস করতে চাচ্ছেন বাস্তবেই তো করছেন। মাধ্যমের প্রয়োজন কি?
বাইরের ব্যস্ততায় একজন পুরুষ কে আরো দায়িত্বশীল আর উদার বানায়, জ্ঞানী ক’রে তোলে শক্ত শক্তিশালী বানায় আর বাইরের ব্যস্ততায় একজন সুযোগ্য নারীকেও অযোগ্য ক’রে তোলে ধীরে ধীরে।অধৈর্য ক’রে তোলে। অসম্পূর্ণ ক’রে তোলে। বেহিসেবী ক’রে তোলে।খিটখিটে মেজাজী হয়ে যায় । তাঁর চেহারার বরকত কমে যায় । কারণ বেপরোয়া বেপর্দা বেহিসেবী বহির্মুখী বহির্গামী নারীকে ফুটফুটে সুন্দর পুরুষেরা মনে মনে চাটে। বহুজনে বহু দিন বহুবার চাটতে চাটতে তাদের আসল সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। আকর্ষণ থাকে না।
ঘরের ব্যস্ততায় এক জন পুরুষ কে ভিখারী বানায়। ঘরের ভিতরের যে কোনো কাজকর্ম একজন পুরুষ কে হীনমন্য ক’রে তোলে, হীনমন্যতায় ভোগায়, দুর্বল করে তোলে। ধীরে ধীরে মন ছোট হয়ে যায় পুরুষের। ছোট মনের একজন মানুষ ধীরে ধীরে স্ত্রী কেও ছোট ক’রে দেখতে শুরু।যে নারী তার পুরুষটিকে সমাজের কাছে ছোট বানায় সে নারী আদতে নিজেরই ক্ষতি করলো কারণ ছোটলোক তো কখনোই আরেকজনকে বড়লোক মনে করবে না কারণ সেতো ছোটলোক। ধীরে ধীরে ছোটলোক স্বামী তার বড়লোক স্ত্রী কে ও ছোটলোক হিসেবে গন্য করতে থাকে। তখনই স্ত্রী আহত হতে থাকে। তখন আর তার চিকিৎসা দেয়া যায় না । এভাবেই আল্লাহ পাক মানুষ তৈরী করেছেন।দুই জাতের চরিত্র দুই রকম করেই সৃষ্ট।
পুরুষ বাসা বোনে অন্যের জন্যে। হন্যে হয় অন্যের জন্যে। পুরুষের নিজের কোনো বাসা নাই সে অন্যের বাসায় থাকে অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে। পুরুষের নিজের কোনো ভাণ্ড-ভাণ্ডার নাই, তারা অন্যের ভাণ্ড ভাণ্ডারে জমা করে, উৎপাদন করে, বৃদ্ধি করে।
পুরুষের বহু গোপন পাখা আছে। পুরুষের বহু ঠ্যাং কিন্তু হাত মাত্র দুটি। আপনাকে বুঝতে হবে।
পুরুষের বসবাস – ডালপালা শক্ত মজবুত না হ’লে তারা শক্ত শক্তিশালী ডালপালা কাণ্ডজ্ঞানী কাণ্ডারী খুঁজতে খুঁজতে অজান্তেই অজানায় গমন করে। আল্লাহ পাক এমনই তৈরী করেছেন।
পুরুষের নাকে গোপন লাগাম আছে। নারী হচ্ছে পুরুষের সওয়ার। সে পুরুষের পিঠে চড়ে উপুড় হয়ে চলবে যেন গায়ে বাতাস না লাগে । নারীর বুকের উষ্ণতায় পুরুষের পিষ্ঠ উষ্ণ হবে এবং আরো গতি বাড়াবে পুরুষ কিন্তু নাকের লাগাম ধরে নারী টান দিতে পারবে না । টান দিলে লাগাম ছিড়ে নীচে পড়ে যাবে আর পুরুষ উড়ে চলে যাবে।এমনই সৃষ্ট দুই জাত।
পুরুষের নাকের গন্ধ শক্তি অনেক বেশী।একটি মাত্র গন্ধে পুরুষ সন্তুষ্ট থাকে না ব’লে নারীর শরীরে ৬ টি সুগন্ধি দান করেছেন আল্লাহ পাক। নারী সেই সুগন্ধি এক পুরুষে ঢালবেন যদি সংরক্ষণ করতে পারেন।ঐ সুগন্ধি বরাদ্দ শুধুমাত্র জান্নাতি নারীর জন্য । একজন জান্নাতি পুরুষ জান্নাতি নারীর শরীরের ৬ টি স্থান থেকে সুগন্ধি খুঁজে নিতে পারেন। নারী ব্যর্থ হ’লে সে সুগন্ধি দিতে পারে না। সেই সুগন্ধি খুঁজে না পেলে কোনো ভালো পুরুষ সেই নারীর সঙ্গে থাকেন না।
এসব কথা আমি সনি কে ভালো করে বুঝিয়ে বলেছি। সনি আমার আপন বোন, একমাত্র বোন। পিতা হারা সনিকে আমরাই মানুষ করেছি।বিয়ের পর তাকে বলেছি————–
আজ থেকে আপনি আপনার ভাইদের কাছে মৃত। আপনাকে স্বর্গে পাঠালেও পাঠিয়েছি আর ‘ঝোলারে দিলেও দিছি’। ঝোলার অর্থ আপনি পটুয়াখালীর মানুষের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন ভালো করে।
বলেছি যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার গায়ে হাত তুলবে না স্বামীর বাড়ির মানুষেরা, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার স্বামীর বাড়ির নালিশ আমাদের কাছে করবেন না। আমাদের বাবা ছিল না। সনিকে আমরাই মানুষ করেছি। আজও সে আমাকে অনুসরণ করে।আমাকে বিশ্বাস করে । সে অসাধারণ মেয়ে। আমার বোন বলে বলছি না। সে পরচর্চা পরনিন্দা থেকে মুক্ত রেখেছে নিজেকে ।

পরকালের পথ আলোকিত করতে সাহায্য করে এই নারীরাই। এই জমানায় উত্তম মানুষের সংখ্যা কম। উত্তম চরিত্রের মেয়ে ও বিরল।
ভালো থাকবেন সবাই ইনশাআল্লাহ। এই দোয়া ই করি যখনই মনে পরে আপনাদের কথা, আমার ফেইসবুক দুনিয়ার বন্ধুদের কথা তখন দুঃশ্চিন্তা ভর করে মাথায়। কি হবে আমাদের! হায় — আমার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তো দোয়া করি সবসময়।
সবাই যেন আল্লাহর কাছে কোরআন চায়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশনায়কের পরিচয় ছাপিয়ে একজন সাধারণ নারী থেকে অসাধারণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হওয়ার পুরো জীবন যেন এক রূপকথার গল্প। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ডকুফিল্ম ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’। এবার ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ শিরোনামের ডকুফিল্মটি দেখানো হবে দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকীতে।
সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, সোমবার (১৪ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে চরকি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আগামী ১৫ আগস্ট রাত ৮টায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ডকুফিল্ম ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’।
এটি প্রযোজনা করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং অ্যাপলবক্স ফিল্মস যৌথভাবে। প্রযোজক রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। নির্মাণ করছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের নির্মাতা পিপলু আর খান।
সংসারে বড় সন্তান সবার সর্বোচ্চ মনোযোগ, গুরুত্ব আর আদরযত্ন পেয়ে থাকে প্রথম সন্তান হওয়ার সুবাদে। ছোট সন্তান এসব তো পায়ই, পাশাপাশি পেয়ে থাকে অবাধ প্রশ্রয়। ছোট সন্তান মানেই যেন নির্ভার, নিশ্চিন্ত; গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়ানো জীবন। আর মেজ সন্তান? এসব পারিবারিক ভালোবাসাবাসি-আদরযত্ন থেকে যেন অনেকটাই দূরে। বড় আর ছোটর মাঝে যে সংসারে আরেকটা ছেলে বা মেয়ে আছে, পরিবারের লোকজন এটা যেন অনেক সময় ভুলেই যান। অবশ্য পরিবারভেদে ভিন্নতা থাকে। সব পরিবারেই যে মেজ সন্তান অবহেলিত হয়, এমন নয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেজ সন্তান বেড়ে ওঠে কিছুটা অলক্ষ্যে, আড়ালে-আবডালে। অনেকটা নিজের মতো। একে বলা হয় ‘মিডল চাইল্ড সিনড্রোম’।
ব্যাপারগুলো তাদের মানসিক বিকাশ ও ব্যক্তিত্ব গঠনে প্রভাব ফেলে। মানসিকভাবে বেশ দৃঢ় হয় তারা। অবচেতনে বুঝে নেয় নিজের দায়িত্ব। তারা হয়ে থাকে দিলখোলা, সহানুভূতিশীল, আপসকামী ও শান্তিপ্রিয়। সাংসারিক নানা বিরোধ, জটিলতা ও বিপর্যয় সামলানোর ক্ষেত্রে অন্য ভাইবোনদের চেয়ে তারা একটু বেশিই পারঙ্গম হয়। অপেক্ষাকৃত সৃজনশীল ও সাহসী হয়ে থাকে। যেকোনো পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার শক্তি থাকে অনেক বেশি। তারা মিশুক, পরোপকারী ও বহির্মুখী। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার প্রবণতা তাদের বেশি। তাদের ভেতর জটিলতা কম। কোনো কিছু পছন্দ করার ক্ষেত্রে খুব বেশি খুঁতখুঁতে ভাব তাদের থাকে না। অল্পে তুষ্টি তাদের অন্যতম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। অভিযোগপ্রবণতা নেই বললেই চলে। তারা তুলনামূলক কম জাজমেন্টাল, কোনো বিষয়ে খুব দ্রুতই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় না।
আজ ১২ আগস্ট, মেজ সন্তান দিবস। ১৯৮৬ সালে এলিজাবেথ ওয়াকার নামের একজন মার্কিনের উদ্যোগে দিনটির চল হয়। মেজ সন্তানও যেন সমান গুরুত্ব, যত্ন ও ভালোবাসা পায়—এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতেই দিবসটির প্রচলন। আপনার পরিবারে যদি মেজ সন্তান, ভাই বা বোন থাকে, তাহলে আজ তার জন্য বিশেষ কোনো আয়োজন করতে পারেন। আজ থেকেই সচেতন হোন। তাদের প্রতিও সমান ভালোবাসা ও মনোযোগ দিন, যাতে মেজ সন্তান হওয়ার ফলে তার মনে জমে থাকা গোপন দুঃখ দূর হয়ে যায়।
সূত্র: ডেজ অব দ্য ইয়ার
শ্যামা সঙ্গীতের রেকর্ডিং শেষে কাজী নজরুল ইসলাম বাড়ি ফিরছেন। যাত্রাপথে তাঁর পথ আগলে ধরেন সুর সম্রাট আব্বাস উদ্দীন। একটা আবদার নিয়ে এসেছেন তিনি। আবদারটি না শোনা পর্যন্ত নজরুলকে তিনি এগুতে দিবেন না।
আব্বাস উদ্দীন নজরুলকে সম্মান করেন, সমীহ করে চলেন। নজরুলকে তিনি ‘কাজীদা’ বলে ডাকেন। নজরুল বললেন, “বলে ফেলো তোমার আবদার।”
আব্বাস উদ্দীন সুযোগটা পেয়ে গেলেন। বললেন, “কাজীদা, একটা কথা আপনাকে বলবো বলবো ভাবছি। দেখুন না, পিয়ারু কাওয়াল, কাল্লু কাওয়াল এরা কী সুন্দর উর্দু কাওয়ালী গায়। শুনেছি এদের গান অসম্ভব রকমের বিক্রি হয়। বাংলায় ইসলামি গান তো তেমন নেই। বাংলায় ইসলামি গান গেলে হয় না? আপনি যদি ইসলামি গান লেখেন, তাহলে মুসলমানদের ঘরে ঘরে আপনার জয়গান হবে।”
বাজারে তখন ট্রেন্ড চলছিলো শ্যামা সঙ্গীতের। শ্যামা সঙ্গীত গেয়ে সবাই রীতিমতো বিখ্যাত হয়ে যাচ্ছে। এই স্রোতে গা ভাসাতে গিয়ে অনেক মুসলিম শিল্পী হিন্দু নাম ধারণ করেন। মুনশী মোহাম্মদ কাসেম হয়ে যান ‘কে. মল্লিক’, তালাত মাহমুদ হয়ে যান ‘তপন কুমার’। মুসলিম নামে হিন্দু সঙ্গীত গাইলে গান চলবে না। নজরুল নিজেও শ্যামা সঙ্গীত লেখেন, সুর দেন।
গানের বাজারের যখন এই অবস্থা তখন আব্বাস উদ্দীনের এমন আবদারের জবাবে নজরুল কী উত্তর দেবেন? ‘ইসলাম’ শব্দটার সাথে তো তাঁর কতো আবেগ মিশে আছে। ছোটবেলায় মক্তবে পড়েছেন, কুর’আন শিখেছেন এমনকি তাঁর নিজের নামের সাথেও তো ‘ইসলাম’ আছে।
আব্বাস উদ্দীনকে তো এই মুহূর্তে সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বলা যাচ্ছে না। স্রোতের বিপরীতে সুর মেলানো চট্টিখানি কথা না। আবেগে গা ভাসালে চলবে না। গান রেকর্ড করতে হলে তো বিনিয়োগ করতে হবে, সরঞ্জাম লাগবে। এগুলোর জন্য আবার ভগবতী বাবুর কাছে যেতে হবে। ভগবতী বাবু হলেন গ্রামোফোন কোম্পানির রিহার্সেল-ইন-চার্জ।
নজরুল বললেন, “আগে দেখো ভগবতী বাবুকে রাজী করাতে পারো কিনা।” আব্বাস উদ্দীন ভাবলেন, এইতো, কাজীদার কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলাম, ভগবতী বাবুকে কিভাবে রাজী করাতে হয় সেটা এখন দেখবেন।
গ্রামোফোনের রিহার্সেল-ইন-চার্জ ভগবতী বাবুর কাছে গিয়ে আব্বাস উদ্দীন অনুরোধ করলেন। কিন্তু, ভগবতী বাবু ঝুঁকি নিতে রাজী না। মার্কেট ট্রেন্ডের বাইরে গিয়ে বিনিয়োগ করলে ব্যবসায় লালবাতি জ্বলতে পারে। আব্বাস উদ্দীনযতোই তাঁকে অনুরোধ করছেন, ততোই তিনি বেঁকে বসছেন। ঐদিকে আব্বাস উদ্দীনও নাছোড়বান্দা। এতো বড় সুরকার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ভগবতী বাবুর পিছু ছাড়ছেন না। অনুরোধ করেই যাচ্ছেন। দীর্ঘ ছয়মাস চললো অনুরোধ প্রয়াস। এ যেন পাথরে ফুল ফুটানোর আপ্রাণ চেষ্টা!
একদিন ভগবতী বাবুকে ফুরফুরে মেজাজে দেখে আব্বাস উদ্দীন বললেন, “একবার এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন না, যদি বিক্রি না হয় তাহলে আর নেবেন না। ক্ষতি কী?” ভগবতী বাবু আর কতো ‘না’ বলবেন। এবার হেসে বললেন, “নেহাতই নাছোড়বান্দা আপনি। আচ্ছা যান, করা যাবে। গান নিয়ে আসুন।” আব্বাস উদ্দীনের খুশিতে চোখে পানি আসার উপক্রম! যাক, সবাই রাজী। এবার একটা গান নিয়ে আসতে হবে।
নজরুল চা আর পান পছন্দ করেন। এক ঠোঙা পান আর চা নিয়ে আব্বাস উদ্দীন নজরুলের রুমে গেলেন। পান মুখে নজরুল খাতা কলম হাতে নিয়ে একটা রুমে ঢুকে পড়লেন। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে আব্বাস উদ্দীন খান অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের মতো সময় যেন থমকে আছে। সময় কাটানোর জন্য আব্বাস উদ্দীন পায়চারী করতে লাগলেন।
প্রায় আধ ঘন্টা কেটে গেলো। বন্ধ দরজা খুলে নজরুল বের হলেন। পানের পিক ফেলে আব্বাস উদ্দীনের হাতে একটা কাগজ দিলেন। এই কাগজ তাঁর আধ ঘন্টার সাধনা। আব্বাস উদ্দীনের ছয় মাসের পরিশ্রমের ফল।
আব্বাস উদ্দীন কাগজটি হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলেনঃ-
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।”
আব্বাস উদ্দীনের চোখ পানিতে ছলছল করছে। একটা গানের জন্য কতো কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাঁকে। সেই গানটি এখন তাঁর হাতের মুঠোয়। তিনি কি জানতেন, তাঁর হাতে বন্দী গানটি একদিন বাংলার ইথারে ইথারে পৌঁছে যাবে? ঈদের চাঁদ দেখার সাথে সাথে টিভিতে ভেজে উঠবে- ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে…?
…
দুই মাস পর রোজার ঈদ। গান লেখার চারদিনের মধ্যে গানের রেকর্ডিং শুরু হয়ে গেলো। আব্বাস উদ্দীন জীবনে এর আগে কখনো ইসলামি গান রেকর্ড করেননি। গানটি তাঁর মুখস্তও হয়নি এখনো। গানটা চলবে কিনা এই নিয়ে গ্রামোফোন কোম্পানি শঙ্কায় আছে। তবে কাজী নজরুল ইসলাম বেশ এক্সাইটেড। কিভাবে সুর দিতে হবে দেখিয়ে দিলেন।
হারমোনিয়ামের উপর আব্বাস উদ্দীনের চোখ বরাবর কাগজটি ধরে রাখলেন কাজী নজরুল ইসলাম নিজেই। সুর সম্রাট আব্বাস উদ্দীনের বিখ্যাত কণ্ঠ থেকে বের হলো- “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ…”। ঈদের সময় গানের এ্যালবাম বাজারে আসবে। আপাতত সবাই ঈদের ছুটিতে।
রমজানের রোজার পর ঈদ এলো। আব্বাস উদ্দীন বাড়িতে ঈদ কাটালেন। কখন কলকাতায় যাবেন এই চিন্তায় তাঁর তর সইছে না। গানের কী অবস্থা তিনি জানেন না। তাড়াতাড়ি ছুটি কাটিয়ে কলকাতায় ফিরলেন।
ঈদের ছুটির পর প্রথমবারের মতো অফিসে যাচ্ছেন। ট্রামে চড়ে অফিসের পথে যতো এগুচ্ছেন, বুকটা ততো ধ্বকধ্বক ধ্বকধ্বক করছে। অফিসে গিয়ে কী দেখবেন? গানটা ফ্লপ হয়েছে? গানটা যদি ফ্লপ হয় তাহলে তো আর জীবনেও ইসলামি গানের কথা ভগবতী বাবুকে বলতে পারবেন না। ভগবতী বাবু কেন, কোনো গ্রামোফোন কোম্পানি আর রিস্ক নিতে রাজী হবে না। সুযোগ একবারই আসে।
আব্বাস উদ্দীন যখন এই চিন্তায় মগ্ন, তখন পাশে বসা এক যুবক গুনগুনিয়ে গাওয়া শুরু করলো- ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। এই যুবক গানটি কোথায় শুনলো? নাকি আব্বাস উদ্দীন ভুল শুনছেন?
না তো। তিনি আবারো শুনলেন যুবকটি ঐ গানই গাচ্ছে। এবার তাঁর মনের মধ্যে এক শীতল বাতাস বয়ে গেলো। অফিস ফিরে বিকেলে যখন গড়ের মাঠে গেলেন তখন আরেকটা দৃশ্য দেখে এবার দ্বিগুণ অবাক হলেন। কয়েকটা ছেলে দলবেঁধে মাঠে বসে আছে। তারমধ্য থেকে একটা ছেলে গেয়ে উঠলো- ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। আব্বাস উদ্দীন এতো আনন্দ একা সইতে পারলেন না। তাঁর সুখব্যথা হচ্ছে।
ছুটে চললেন নজরুলের কাছে। গিয়ে দেখলেন নজরুল দাবা খেলছেন। তিনি দাবা খেলা শুরু করলে দুনিয়া ভুলে যান। আশেপাশে কী হচ্ছে তার কোনো খেয়াল থাকে না। অথচ আজ আব্বাস উদ্দীনের গলার স্বর শুনার সাথে সাথে নজরুল দাবা খেলা ছেড়ে লাফিয়ে উঠে তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন। নজরুল বললেন, “আব্বাস, তোমার গান কী যে হিট হয়েছে!”
অল্প কয়দিনের মধ্যেই গানটির হাজার হাজার রেকর্ড বিক্রি হয়। ভগবতী বাবুও দারুণ খুশি। একসময় তিনি ইসলামি সঙ্গীতের প্রস্তাবে একবাক্যে ‘না’ বলে দিয়েছিলেন, আজ তিনিই নজরুল-আব্বাসকে বলছেন, “এবার আরো কয়েকটি ইসলামি গান গাও না!” শুরু হলো নজরুলের রচনায় আর আব্বাস উদ্দীনের কণ্ঠে ইসলামি গানের জাগরণ।
বাজারে এবার নতুন ট্রেন্ড শুরু হলো ইসলামি সঙ্গীতের। এই ট্রেন্ড শুধু মুসলমানকেই স্পর্শ করেনি, স্পর্শ করেছে হিন্দু শিল্পীদেরও।
একসময় মুসলিম শিল্পীরা শ্যামা সঙ্গীত গাইবার জন্য নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম রাখতেন। এবার হিন্দু শিল্পীরা ইসলামি সঙ্গীত গাবার জন্য মুসলিম নাম রাখা শুরু করলেন। ধীরেন দাস হয়ে যান গণি মিয়া, চিত্ত রায় হয়ে যান দেলোয়ার হোসেন, গিরিন চক্রবর্তী হয়ে যান সোনা মিয়া, হরিমতি হয়ে যান সাকিনা বেগম, সীতা দেবী হয়ে যান দুলি বিবি, ঊষারাণী হয়ে যান রওশন আরা বেগম।
তবে বিখ্যাত অনেক হিন্দু শিল্পী স্ব-নামেও নজরুলের ইসলামি সঙ্গীত গেয়েছেন। যেমনঃ অজয় রায়, ড. অনুপ ঘোষল, আশা ভোঁসলে, মনোময় ভট্টাচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়।
দুই.
কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামি গান লেখার সহজাত প্রতিভা ছিলো। খাতা কলম দিয়ে যদি কেউ বলতো, একটা গান লিখুন, তিনি লিখে ফেলতেন।
একদিন আব্বাস উদ্দীন নজরুলের বাড়িতে গেলেন। নজরুল তখন কী একটা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আব্বাস উদ্দীনকে হাতের ইশারায় বসতে বলে আবার লেখা শুরু করলেন। ইতোমধ্যে যুহরের আযান মসজিদ থেকে ভেসে আসলো। আব্বাস উদ্দীন বললেন, “আমি নামাজ পড়বো। আর শুনুন কাজীদা, আপনার কাছে একটা গজলের জন্য আসছি।”
কবি শিল্পীকে একটা পরিস্কার জায়নামাজ দিয়ে বললেন, “আগে নামাজটা পড়ে নিন।” আব্বাস উদ্দীন নামাজ পড়তে লাগলেন আর নজরুল খাতার মধ্যে কলম চালাতে শুরু করলেন।
আব্বাস উদ্দীনের নামাজ শেষ হলে নজরুল তাঁর হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “এই নিন আপনার গজল!” হাতে কাগজটি নিয়ে তো আব্বাস উদ্দীনের চক্ষু চড়কগাছ। এই অল্প সময়ের মধ্যে নজরুল গজল লিখে ফেলছেন? তা-ও আবার তাঁর নামাজ পড়ার দৃশ্যপট নিয়ে?
“হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড়ো আজ,
দিলাম তোমার চরণতলে হৃদয় জায়নামাজ।”
তিন.
কাজী নজরুল ইসলাম বিখ্যাত হয়ে আছেন তাঁর রচিত নাতে রাসূলের জন্য।
১। ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়
আয় রে সাগর আকাশ-বাতাস দেখবি যদি আয়’
২। ‘মুহাম্মদ নাম জপেছিলি, বুলবুলি তুই আগে,
তাই কি রে তোর কন্ঠের গান, এমন মধুর লাগে।’
৩। ‘আমি যদি আরব হতাম মদীনারই পথ
আমার বুকে হেঁটে যেতেন, নূরনবী হজরত’
৪। ‘হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু ও কে আসে হায়
সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা খুলে যায়।
সে যে আমার কামলিওয়ালা, কামলিওয়ালা।’
..
গানগুলো ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে। গানগুলো রচনার প্রায় নব্বই বছর হয়ে গেছে। আজও মানুষ গুনগুনিয়ে গানগুলো গায়।
সংগৃহীত…।
আগামী নির্বাচনে দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’য় ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার (১ জুলাই) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা এনেছে, এ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দেশবাসীর জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তাই আগামী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলে যায়।’ এ সময় তিনি গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য তার সরকারের প্রচেষ্টা সংক্ষেপে তুলে ধরেন। পাশাপাশি এসব উন্নয়ন যারা দেখতে পায়না তাদের কঠোর সমালোচনা করে তিনি তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তারা এই উন্নয়নের সুফল কিন্তু ঠিকই ভোগ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগকে কখনো ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং দেশের উন্নয়নও দেখতে পায়না, তাদের ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই।’ যারা দেশের উন্নয়ন চায় না তাদের চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি অবশ্যই দেশের এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজের বাবা-মা ও ভাই হারিয়েছি। আপনারাই (কোটালীপাড়ার মানুষ) আমার আপনজন। আপনারা সবসময়ই আমার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘তার নিজের আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান্যের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় না করেই তিনি কোটালীপাড়ার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গোপালগঞ্জে এসেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পৌঁছালে নিম (মারগোসল), বকুল (স্প্যানিশ চেরি) এবং আমের তিনটি কাঠ, ফল ও ভেষজ গাছের চারা রোপণ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ায় তার দুই দিনের সফরের অংশ হিসেবে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে তিন ঘণ্টার গাড়িতে পদ্মা সেতু পার হয়ে সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা ও একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে ছিলেন।
রোববার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। পরে বিকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। -বাসস