রুটি-রুজির জন্য আমরা প্রত্যেকে অদৃশ্য এক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। অথচ কেউ কেউ রাস্তায় ঘুরে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। অবিশ্বাস হলেও সত্যি, দুবাইয়ে এক ভিক্ষুক মাসে আয় করে ১৯ লাখ টাকা।
বলছি আরবে ঘুরতে আসা একজন নারীর কথা। তিনি ভিক্ষা করেই মাসে প্রায় ১৯ লাখ টাকা আয় করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঘটেছে এই ঘটনাটি, যথারীতি পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই নারীকে।
আব্দুল্লাহ আল হাসিমি নামে একজন দুবাই পুলিশের কর্মকর্তা জানান যে, ‘আরব আমিরাতের বাসিন্দা নন ওই ভিক্ষুক। তিনি ভ্রমণ ভিসায় কোনো পর্যটন কোম্পানির মাধ্যমে ভিক্ষা বৃত্তিতে এসে যুক্ত হন দুবাইয়ে। গত মাসে তিনি ভিক্ষা করে এক লাখ দিরহাম আয় করেছেন।’
তিনি জানান যে ‘এখানে এসে টুরিস্ট হয়ে ভিক্ষা করছে এরকম ব্যক্তি ধরা পড়লে তার দুই হাজার দিরহাম জরিমানা করা হবে। যে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসেছে তারও জরিমানা হবে। এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি হলে কালো তালিকা ভুক্ত করা হবে উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে।
দুবাইয়ের সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমস জানায়, ২০১৮ সালে দুবাই থেকে প্রায় ২৪৩ জনকে গ্রেফতার করেছিল দুবাই পুলিশ। আগের বছরগুলোর তুলনায় সেটা ২০১৮ সালে অনেকটাই কমেছে বলে জানিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। রমজান মাসে ভিখারির সংখ্যা বেড়ে যায় দুবাইতে। তাই রমজান মাসে দেশটির পুলিশেরা ততপর থাকে এই অনিয়ম সামাল দিতে।
ফুটবল বিশ্বের দুই পরাক্রমশালী দল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। দুই দেশ মিলে এখন পর্যন্ত জিতেছে ৭টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ, মহাদেশীয় আসর সহ প্রায় সবখানেই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্য দেখিয়েছে দল দুটি। কিন্তু জানেন কি? এই দুটি দেশের কাছে কখনোই হারেনি বাংলাদেশ!
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থক। বিশ্বকাপ বা কোপা আমেরিকার মতো আসর তো বটেই, স্বাভাবিক যেকোনো প্রীতি ম্যাচেও দুদলের খেলা হলেই জমে ওঠে কথার লড়াই। কখনো কখনো তা গড়ায় মারামারি পর্যন্ত!
তবে যে দুই দলকে নিয়ে এত আলোচনা, সে দুই দলের কাছে কখনো হারেনি বাংলাদেশ। ফুটবলীয় ঐতিহ্য ও শক্তিতে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও নেই লাল সবুজরা। এমন শক্তিশালী দুই দলের বিপক্ষে কখনো হারেনি এটা ভাবলেই অন্যরকম রোমাঞ্চ অনুভব করতে পারেন ফুটবলভক্তরা।
ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে বাংলাদেশ হারেনি, এটা অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য লাগতে পারে। তবে এটা নিতান্তই বাস্তব। কারণ এই দুই দলের বিপক্ষে তো কখনো খেলতেই নামেনি বাংলাদেশ! যেহেতু কোনো ম্যাচ খেলেনি, কাজেই হারার প্রশ্নই আসে না।
বর্তমানে ফিফা র্যাংকিংয়ে ব্রাজিলের অবস্থান তৃতীয়, আর্জেন্টিনা অষ্টম ও বাংলাদেশ ১৮৪তম। স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে লাতিন আমেরিকার দুই পরাশক্তির মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতে নেই। ততদিন এই দুই দলের বিপক্ষে অপরাজিত থাকার একটা দুষ্টু-মিষ্টি অনুভূতি অনুভব করতেই পারেন সবাই।
বিয়ের সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিয়ে বাড়িতে বরযাত্রীও হাজির হয়েছিল। এমনকি ছাঁদনাতলায় বসে বর-কনে। খুব আনন্দ উৎসবে চলছিল বিয়ে অনুষ্ঠান। ঠিক তখনই সেখানেই ঘটে গেল অঘটন।
বরের চোখে সমস্যা, ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তির কারণে হিন্দি পত্রিকা পড়তে পারেননি। আর এই কারণে ক্ষেপে গিয়ে বিয়ে ভেঙে দিলেন কনে। শুধু তাই নয় মামলাও দিলেন বর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উত্তর প্রদেশের আয়োরাইয়া জেলায় আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠানের। নিয়ন্ত্রিত অতিথিরা সবাই চলে এসেছিল। বিয়ের আসরে বর-কনে বসা। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর অল্প সময় বাকি। এ সময় কনে লক্ষ্য করে বরের চোখে একটা মোটা পাওয়ার চশমা পরে থাকতে।
একবারের জন্যও চশমা খোলেননি। এতে সন্দেহ হয় কনের। তাহলে কি বরের চোখে সমস্যা, সে কি চোখে কম দেখে? সন্দেহ থেকে একটি পত্রিকা এনে বরকে পড়তে দিয়ে তার চশমা নিয়ে নেন। বর জানান তিনি চশমা ছাড়া কিছুই দেখেন না। তবে বিয়ের ব্যাপারে কথা চলার সময় তিনি লেন্স পরে এসেছিলেন। আর এ কারণে বিয়েতে অসম্মতি জানায় কনে।
মেয়ে চশমা পরা ছেলেকে বিয়ে করবেন না বলে বিয়ে ভেঙে যায়। বরের মন ভেঙে যায়। তবে কনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয় যে, বর বিয়ের শুরুতে তার চোখে না দেখার কথা লুকিয়ে রেখেছিলেন। আর এই প্রতারণার জন্যই থানায় দৌড়াতে হয় বরকে।
সাভার মডেল থানায় সাড়ে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে আলোচিত নায়িকা পরীমণি ও তার সহযোগী কস্টিউম ডিজাইনার জিমিকে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে দুটি গাড়ি নিয়ে সাভার মডেল থানায় উপস্থিত হন পরীমণি। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফির কক্ষে তাকে বোট ক্লাবের সেই রাতের ঘটনা নিয়ে পুলিশ বিভিন্ন প্রশ্ন করেছে। জানতে চাওয়া হয়, কী কারণে তিনি বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন? সেখানে কী হয়েছিল? পরীমণি তার বক্তব্য পুলিশের কাছে তুলে ধরেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হয় সাভার থানায়। এ সময় মিডিয়াকে সাভার মডেল থানায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। থানার মূল ফটকটি বন্ধ করে রাখা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ৯ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে মধ্যরাতে পরীমণি দুটি গাড়িসহ দলবল নিয়ে প্রবেশ করেন। সেখানে বোট ক্লাব পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের সঙ্গে মদপান নিয়ে তার ঝামেলা হয়। এরপর পরীমণি নাসির ইউ মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরে দেখা গেছে বোট ক্লাব ঘটনার আগের দিন পরীমণি মধ্যরাতে ঢাকার অল কমিউনিটি ক্লাবে গিয়েও মাতলামি ও ভাঙচুর করেন। অল কমিউনিটি ক্লাব সেই সব ভাঙচুর ও মাতলামির দৃশ্য মিডিয়াতে প্রচার করে। অন্যদিকে বোট ক্লাব কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে সে রাতে অমি, জিমি, বনিসহ চারজনকে নিয়ে মধ্যরাতে পরীমণি গিয়ে জোর করে বিদেশি মদের বোতল নিয়ে রওনা হলে নাসির ইউ মাহমুদ বাধা দেন। একপর্যায়ে কথা কাটাকাটির রেশ ধরে পরীমণি ক্লাবে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার একপর্যায়ে নাসির তাকে চড় মারেন বলে জানা যায়। এরই রেশ ধরে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা ও সংবাদ সম্মেলন করেন পরীমণি। পুলিশ সবকিছুর তদন্ত করে দেখছে।
আধুনিক যুগে দাঁড়িয়েও কুসংস্কারের বলি হলো মেয়ে শিশু। সাপে কামড়ানোর পর নাবালিকাকে হাসপাতালে নয়, ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই ওঝার বিরুদ্ধে ঝাড়ফুঁক করে শিশুকে কলার ভেলায় ভাসানোর নিদান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গোসাবা থানার ছোট মোল্লাখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ নম্বর কালিদাসপুর গ্রামে।মেয়ে বেঁচে উঠবে, এই আশায় তাকে কলার ভেলায় ভাসিয়ে দেন তার বাবা। খবর পেয়ে সারসা নদী থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার গোসাবা থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত শিশুর নাম পূজা মৃধা, বয়স ১০ বছর। তার মৃত্যুতে অভিযুক্ত ওঝার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের লোকেদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ওঝা বলেছিলেন, নদীতে কলার ভেলায় ভাসালে নাকি মৃত মেয়ে প্রাণ ফিরে পাবে। সেই কথা শুনে কলার ভেলায় মেয়েকে ভাসিয়ে দেন তার বাবা দীপ মৃধা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার রাতে বাবার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল পূজা। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ঘুমন্ত অবস্থাতেই সাপে কামড়ায় পূজাকে। সেসময় মেয়েকে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান তার বাবা দীপ। অভিযোগ, সেখানেই প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে ঝাড়ফুঁক করা হয়। তার পর মেয়েকে কলার ভেলায় নদীতে ভাসানোর কথা বলেন অভিযুক্ত ওঝা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে বাঁচানো যেত।
খাসির মাংস নেই খাবারের তালিকায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে খাসির মাংস খেতে না পেরে বিরক্ত বরযাত্রীরা। খাবারের তালিকায় খাসির মাংস না থাকায় শেষ পর্যন্ত বিয়েই ভেঙে দিলেন বর। শুধু তাই নয়, কনে বাড়ি থেকে বাসায় ফেরার পথে অন্য একটি মেয়েকে বিয়েও করে ফেলেন তিনি।
ভারতের উড়িষ্যার রাজ্যের সুকিন্দা এলাকায় গত বুধবার এ ঘটনা ঘটে। পাত্রের নাম রমাকান্ত। ২৭ বছরের ওই যুবক উড়িষ্যার সুকিন্দা ব্লকের বাঁধাগাঁও গ্রামে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। এসময় বরযাত্রীরা খেতে বসে খাসির মাংস খাবার বায়না ধরেন। কিন্তু এত দ্রুত খাসির মাংসের আয়োজনের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কনের বাড়ির লোকজন। বিষয়টি জানতে পেরেই রেগে যান রমাকান্ত। ক্রমেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। পরে বিয়েবাড়ি ছেড়ে বের হয়ে আসেন বরযাত্রী এবং বর। রাতে আশ্রয় নেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। কেওনঝড়ে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে সেই রাতেই আর একটি মেয়েকে বিয়ে করেন রমাকান্ত।
সবুরা খাতুন ও রাশেদা সর্বশেষ খাদিজাসহ তিন বোনকেই একে একে বিয়ে করেন ফেনীর আবদুল হক চৌধুরী। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তার বোনকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যু হলে আরেক বোনকে বিয়ে করেন। আর এভাবেই পর্যায়ক্রমে তিন বোনকে বিয়ে করেন আবদুল হক।
প্রতিটি বিয়েই তিনি করেছেন পারিবারিক সিদ্ধান্তে। এই বিয়েগুলোর পেছনে রয়েছে একটি বিয়োগান্তক অধ্যায়। একই সঙ্গে সন্তানদের ভালো রাখার নিরন্তর চেষ্টা। আবদুল হক চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ফেনীর সাউথ অফিসের ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। তিনি ফেনী সদর উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের গুনক গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হক চৌধুরী ১৯৯৫ সালে ১৪ ডিসেম্বর একই ইউনিয়নের বাদুরিয়া গ্রামের সেকানদার বাদশার বড় মেয়ে সবুরা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। প্রায় ১৯ বছর সংসার শেষে নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সবুরা। কয়েক মাস পার হলে উভয় পরিবারের সম্মতিতে সবুরার ছোট বোন রাশেদাকে বিয়ে করেন তিনি।
এ সংসারে একটি কন্যাসন্তান হয়। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। ৬ বছর সংসার করার পর রাশেদাও অসুস্থ হয়ে মারা যান। এদিকে পরপর দুই স্ত্রীর মৃত্যুতে আবদুল হক চৌধুরী ও তার শ্বশুরের পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। দুই স্ত্রীকে হারিয়ে তিন এতিম মেয়ে নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটে আবদুল হকের। মা-খালার মৃত্যুতে শোকে কাতর মেয়েরা অবস্থান করে নানা বাড়িতে। অন্যদিকে স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বনিবনা না হওয়ায় সংসার ভেঙে যায় আবদুল হক চৌধুরীর মেজ শ্যালিকা খাদিজার। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সম্মতিতে এতিম মেয়েদের কথা চিন্তা করে খাদিজাকে বিয়ে করতে সম্মত হন আবদুল হক। সে অনুযায়ী গত মাসে সামাজিকভাবে তাদের দু’জনের বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়।
আবদুল হকের শ্যালক ইলিয়াস সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হক ভাই ভালো মানুষ। একে একে দুই স্ত্রী মারা যাওয়ার পরও মানবিক কারণে তার কাছে আমার তৃতীয় বোনকে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
আবদুল হক চৌধুরী বলেন, আল্লাহ আমাকে কঠিন থেকে কঠিনতম পরীক্ষা করছে। পরপর দুই স্ত্রীকে হারিয়ে এতিম মেয়েদের নিয়ে কঠিন সময় পার করছি। আল্লাহর রহমত, মা-বাবা ও এলাকাবাসীর দোয়ায় দুর্দিনে শ্বশুর পরিবারের লোকজন আমার পরিবারকে ঠাঁই দিয়েছেন।
বগাদানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক খোকন বলেন, আবদুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমেই সামাজিকভাবে তৃতীয় বোনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।
কথায় আছে, প্রেম-ভালোবাসা মানে না কোনো ধর্ম, বর্ণ বা দেশের সীমানা। প্রচলিত এই কথাটিই যেন ইদানীং প্রমাণিত হচ্ছে বারবার। তবে এই ঘটনাটি শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। তা ছড়িয়েছে পশু-পাখির মধ্যেও। পশু-পাখিও প্রেমের টানে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যায়। যার প্রমাণ একটি গণ্ডার।
জানা যায়, নতুন সঙ্গীর খোঁজে তাইওয়ান থেকে জাপানে গিয়েছে একটি সাদা গণ্ডার। সেখানে এমা নামে ওই মাদী গণ্ডারটির সম্ভাব্য প্রেমিক হতে চলেছে ১০ বছর বয়সী মোরান নামে আরেকটি সাদা গণ্ডার। উভয়ই বর্তমানে জাপানের টোবু চিড়িয়াখানায় আছে। সঙ্গী প্রেমিকের সাহায্যে বংশবৃদ্ধি করবে এমা।
তাইওয়ানে মোট ২৩টি গণ্ডার ছিল। এর মধ্যে জাপানে পাঠানোর জন্য বেছে নেয়া হয়েছে ৫ বছর বয়সী এমাকে। শান্তশিষ্ট চরিত্রের গণ্ডারটি খুব কমই লড়াইয়ে জড়ায়। পৃথিবী থেকে ক্রমশ বিলুপ্ত হতে চলেছে সাদা গণ্ডার। বর্তমানে পুরো বিশ্বে মাত্র এক হাজার ৮০০টির মতো এই প্রজাতি রয়েছে। তাই এশিয়ায় এটির বংশবৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। সে জন্যই এমাকে জাপানে পাঠানো। তাইওয়ানের লিওফু সাফারি পার্ক থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে জাপানের টোবু চিড়িয়াখানায় পৌঁছায় এমা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে আনুশকা শর্মার বহু বছরের পুরোনো অ্যাক্টিং স্কুলের এক ভিডিও। সেখানে অভিনেত্রীকে চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে কাঁদতে দেখা যাচ্ছে।
আনুশকার অভিনয় স্কুলের সেই ভিডিওতে নিজের শিক্ষক ও সহশিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা মিলেছে। একটি আবেগঘন দৃশ্যের অনুশীলন করছিলেন আনুশকা। কালো রঙা ফুলহাতা টপ ও পিচ রঙা স্কার্ট আর খোলা চুলের আনুশকার ছিল নামমাত্র মেকআপ। চোখে গ্লিসারিন লাগিয়ে কাঁদতেও যাচ্ছে এ চিত্রনায়িকাকে।
অনেক দিন রুপালি পর্দা থেকে দূরে রয়েছেন আনুশকা শর্মা। তাঁকে সবশেষ ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া আনন্দ এল রাইয়ের ‘জিরো’ সিনেমায় দেখা গেছে। তবে ভাই কর্ণেশ শর্মার সঙ্গে প্রযোজনার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাহাতাব মোড়ল যশোরের কেশবপুরের একজন বংশীবাদক। সবাই তাকে চেনেন মৌমাছি মাহাতাব নামে। তিনি বাঁশিতে ফুঁ দিতেই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি এসে জড়ো হয় শরীরে।
মধুর চাক ভাঙতে ভাঙতে মৌমাছির প্রতি তার ভালোবাসা তৈরি হয়। প্রথমে টিনের থালার মাধ্যমে একটি দুটি মৌমাছি শরীরে নিতে নিতে এখন বাঁশির সুরে হাজারও মৌমাছি আনতে পারেন তিনি। বাড়িতে বাঁশির সুর শুরু করলে পাঁচ মিনিটে হাজারও মৌমাছি শরীরে জড়ো হয়। সুর বন্ধ হলে মৌমাছিরা উড়ে পাশের বাগানে চলে যায়।
কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় এখন আর ভয় লাগে না মাহাতাব মোড়লকে। মধু আহরণ করেই তার সংসার চলে। সংসারে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বাঁশির সুরে মৌমাছি শরীরের আনার কৌশল আয়ত্ব করায় এলাকায় তার পরিচিতি পেয়েছে মৌমাছি মাহাতাব নামে। বিভিন্ন স্থান থেকে তার বাড়িতে মানুষ ওই দৃশ্য দেখতে আসে।