মেসেজিং প্লাটফরম হোয়াটস অ্যাপ চলতি বছর ফোন কলের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের জন্য দারুণ সব ফিচার এনেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের শুরুতেই পিকচার-ইন-পিকচার নামের আরেকটি ফিচার আনতে যাচ্ছে জনপ্রিয় অ্যাপটি।
এ ফিচারের সুবিধায় কোনো ভিডিও কলে থেকে একই ডিভাইসে অন্যান্য কাজ করতে পারবেন ব্যবহারকারী। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে মেটা জানায়, ২০২৩ সালে আইওএস অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীদের জন্য এই ফিচার আনতে যাচ্ছে হোয়াটস অ্যাপ।
পিকচার-ইন-পিকচার ধরনের এ প্রযুক্তিগত আপডেটের কারণে ব্যবহারকারী যে ডিভাইসে ভিডিও কলে থাকবেন, সেই ডিভাইসে অন্যান্য কাজও করতে পারবেন। বর্তমানে এটি বেটা অর্থাৎ পরীক্ষামূলক ব্যবহারে আছে। এ ছাড়া ২০২২ সালে ফোন কলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে যেসব ফিচার যুক্ত করা হয়, হোয়াটস অ্যাপ সেগুলোর পুনরাবৃত্তিও করে।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করবে যুক্তরাজ্য।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এই আগ্রহের কথা জানান।
বেসিস কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে দক্ষ জনবল তৈরি এবং বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) ম্যাচমেকিং সেশন আয়োজনে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মধ্যে সংযোগ ঘটাতে তিনি উভয় দেশে রোডশো আয়োজনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। এছাড়া বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অবদান রাখার জন্য যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের আগ্রহী করে তোলার বিষয়েও কাজ করতে আগ্রহী তিনি।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারিতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যপ্রযুক্তিকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। সেই ঘোষণার সাথে তাল মিলিয়ে বেসিস ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পাঁচটি লক্ষ্যমাত্রা – মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, স্থানীয় বাজার উন্নয়ন, রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণ এবং ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশনের কাজ শুরু করেছে।
বেসিস সভাপতি আরও বলেন, চলতি বছর আমাদের খাতের বার্ষিক ফ্ল্যাগশিপ ইভেন্ট ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২২’ সরাসরি অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করতে পারবেন এবং সেমিনার, বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন, টেক টকসহ অন্যান্য কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাই কমিশনের হেড অব ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) খালিদ গফফার, ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অফিসার আবির বড়ুয়া, বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, পরিচালক হাবিবুল্লাহ নেয়ামুল করিম, একেএম আহমেদ ইসলাম বাবু, সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, তানভীর হোসেন খান, রাশাদ কবির প্রমুখ।
AKM Ahmedul Islam Babu: Technology has shaped the economy of the South Asian country in last one decade giving pace in graduation from least developed country status. It is driving on digital economy backed by information and technology-enabled services (ITeS). Prime Minister Sheikh Hasina initiated the Digital Bangladesh programme on December 12, 2008 to ensure effective use of technology to turn Bangladesh into a developed nation. Bangladesh has projected to earn US$ 5 billion from exporting information technology-enabled service services on year-end of 2023. The government announced tax exemption for 22 types of tech-enabled services until 2024 to achieve the target. ICT Division and Basis are working together to extend the timeline to 2030 for development of the technology sector. Tech-sector’s apex trade body, Bangladesh Association of Software and Information Services (BASIS) has worked together with government to attain the national goal in public private partnership model. Bangladesh reached annual export earnings of US$ 1.4 billion from tech-enabled services by end of 2021, according to trade body data. However, the figure is lower in the formal statistic of Bangladesh Bank and Export Promotion Bureau(EPB) under Ministry of Commerce. For exploring global opportunities, BASIS has set up ten dedicated international desks including Japan, Africa and Denmark to support local companies in expanding business abroad and welcome foreign entrepreneurs to scale business in Bangladesh. There are new desks are offing. From the government side, ICT Division launched a dedicated portal for attracting investment from the Netherlands which is also a significant move from policy level. The trade body, BASIS installed a fresh executive committee recently. The new executive leaders have pledged to enhance the productivity of tech sector for leading the country to a knowledge economy. Bangladeshi companies now export software to 100 countries around the world. And the transformation is mandatory to face of challenges in fourth industrial revolution, better known as 4IR. In the future driven by the automation, from lifestyle to industries, every segment will have to adopt the blessing of technology. Till now, some 3,800 unions have been connected with high-speed internet which was a daydream before Digital Bangladesh programme. The number of internet users in country reached 126.60 million in November last year from only 5.6 million in 2008. There is a big question that would automation replace human interaction? It is never possible as far as I am concerned. The society moves forward in contributions of human since its inception period. Technology means productivity. For getting simple example, we can review the transformation of Digital Bangladesh. In 2008, the export earnings from software business was only 26 million US dollar which has surpassed 1.4 billion in last calendar year exploring wide arena of ITeS. There is no alternation to research and development to achieve the target oriented goal. For smoothing the journey, the trade body has farmed out strategies based on some key arenas. Till now, the country has fetched 6 billion taka in investments from local and foreign companies while the government invested 10 billion taka for developing infrastructures for tech businesses, according to Bangladesh Hi-Pech Park Authority (BHTPA). The total investment from the public-private sector in hi-tech parks stood at 16 billion taka where the government injected 10 billion for infrastructural development. Private sector investment reached 6 billion taka while the government has earned 600 million from hi-tech parks, according to official data. Now, it is time to act proactively for leading Bangladesh to next level of the development using vehicle of technology. We want to announce the US$ 5 billion export earning in December 2023, and will do so! The writer is a director of Bangladesh Association of Software and Information Services BASIS and Managing Director & CEO of TechKnowGram Limited. He can be reached over email at ahmedulbabu@techknowgram.com ৫ বিলিয়ন ডলারের আইটিইএস রপ্তানির স্বপ্ন বুনছে একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু: প্রযুক্তি গত এক দশকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির অর্থনীতিকে রূপ দিয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে স্নাতকের গতিতে। এটি তথ্য ও প্রযুক্তি-সক্ষম পরিষেবা (আইটিইএস) দ্বারা সমর্থিত ডিজিটাল অর্থনীতিতে চালিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 12 ডিসেম্বর, 2008-এ ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির সূচনা করেন। 2023 সালের শেষের দিকে তথ্য প্রযুক্তি-সক্ষম পরিষেবা পরিষেবা রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ 5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে বলে অনুমান করেছে৷ সরকার লক্ষ্য অর্জনের জন্য 2024 সাল পর্যন্ত 22 ধরনের প্রযুক্তি-সক্ষম পরিষেবাগুলির জন্য কর অব্যাহতি ঘোষণা করেছে৷ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নের জন্য টাইমলাইন ২০৩০ পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আইসিটি বিভাগ এবং বেসিস একসঙ্গে কাজ করছে। টেক-সেক্টরের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব মডেলে জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সাথে একত্রে কাজ করেছে। বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে, 2021 সালের শেষ নাগাদ প্রযুক্তি-সক্ষম পরিষেবাগুলি থেকে বাংলাদেশ 1.4 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বার্ষিক রপ্তানি আয়ে পৌঁছেছে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানে এই সংখ্যা কম। বৈশ্বিক সুযোগ অন্বেষণের জন্য, বেসিস বিদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে স্থানীয় কোম্পানিগুলিকে সহায়তা করার জন্য জাপান, আফ্রিকা এবং ডেনমার্ক সহ দশটি ডেডিকেটেড আন্তর্জাতিক ডেস্ক স্থাপন করেছে এবং বিদেশী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়াতে স্বাগত জানায়। সেখানে নতুন ডেস্ক চালু হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে, আইসিটি বিভাগ নেদারল্যান্ডস থেকে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি নিবেদিত পোর্টাল চালু করেছে যা নীতি স্তর থেকেও একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বাণিজ্য সংস্থা বেসিস সম্প্রতি একটি নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করেছে। নতুন নির্বাহী নেতারা দেশকে জ্ঞান অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো এখন বিশ্বের 100টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করে। এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রূপান্তর বাধ্যতামূলক, যা 4IR নামে বেশি পরিচিত। অটোমেশন দ্বারা চালিত ভবিষ্যতে, লাইফস্টাইল থেকে শিল্প, প্রতিটি বিভাগকে প্রযুক্তির আশীর্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত, প্রায় 3,800টি ইউনিয়ন উচ্চ-গতির ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়েছে যা ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আগে একটি দিবাস্বপ্ন ছিল। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা 2008 সালে মাত্র 5.6 মিলিয়ন থেকে গত বছরের নভেম্বরে 126.60 মিলিয়নে পৌঁছেছে। একটি বড় প্রশ্ন আছে যে অটোমেশন মানুষের মিথস্ক্রিয়া প্রতিস্থাপন করবে? যতদূর আমি উদ্বিগ্ন তা কখনই সম্ভব নয়। সমাজ তার সূচনাকাল থেকেই মানুষের অবদানে এগিয়ে চলেছে। প্রযুক্তি মানে উৎপাদনশীলতা। সহজ উদাহরণের জন্য, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তর পর্যালোচনা করতে পারি। 2008 সালে, সফ্টওয়্যার ব্যবসা থেকে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র 26 মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত ক্যালেন্ডার বছরে 1.4 বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে ITeS এর বিস্তৃত পরিসরে। লক্ষ্যভিত্তিক লক্ষ্য অর্জনে গবেষণা ও উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। যাত্রাকে মসৃণ করার জন্য, বাণিজ্য সংস্থা কিছু মূল অঙ্গনের উপর ভিত্তি করে কৌশল তৈরি করেছে। বাংলাদেশ হাই-পেচ পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) অনুসারে, এখন পর্যন্ত, দেশটি দেশি এবং বিদেশী কোম্পানিগুলির কাছ থেকে 6 বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছে যেখানে সরকার প্রযুক্তি ব্যবসার জন্য অবকাঠামো উন্নয়নে 10 বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছে। হাই-টেক পার্কগুলিতে সরকারি-বেসরকারি খাতের মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে 16 বিলিয়ন টাকা যেখানে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য 10 বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে। সরকারী তথ্য অনুসারে, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ 6 বিলিয়ন টাকায় পৌঁছেছে এবং সরকার হাই-টেক পার্ক থেকে 600 মিলিয়ন আয় করেছে। এখন সময় এসেছে প্রযুক্তির বাহন ব্যবহার করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করার। আমরা 2023 সালের ডিসেম্বরে 5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় ঘোষণা করতে চাই এবং তা করব! লেখক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস বেসিসের একজন পরিচালক এবং টেককনোগ্রাম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ahmedulbabu@techknowgram.com-এ ইমেলের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে। এখন থেকে বিজ্ঞাপনদাতারা আর ফেসবুক ব্যবহারকারীর লিঙ্গ পরিচয়, ধর্ম বা রাজনৈতিক বিশ্বাসের মতো বিষয়বস্তু লক্ষ্য করতে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন না।
এর আগে ফেসবুক ব্যবহারকারীর লিঙ্গ পরিচয়, ধর্ম বা রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট, পড়ার ধরন বা পছন্দ করার ইতিহাসের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন ঠিক করে দেওয়ার সুযোগ পেতেন বিজ্ঞাপনদাতারা। ফেসবুক এখন সে সুবিধা বন্ধ করে দিচ্ছে। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্ল্যাটফর্মসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাস থেকে তারা বিস্তারিত টার্গেটিং অপশন মুছে ফেলবে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন পোস্ট, জাতি বা জাতিসত্তা বিষয়ক কথাবার্তা, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, ধর্ম, যৌনতা, সংস্থা বা ব্যক্তির সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াগুলোর ওপর ভিত্তি করে ব্যবহারকারীদের খুঁজে বের করতে পারতেন।
মেটা প্ল্যাটফর্মসের প্রোডাক্ট মার্কেটিং বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট গ্রাহাম মাড এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন, ‘আমাদের প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপনদাতারা কীভাবে ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে পারে, সে সম্পর্কে আমরা মানুষের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশার সঙ্গে আরও ভালোভাবে মেলাতে চাই। এছাড়া নাগরিক অধিকার বিশেষজ্ঞ, নীতি নির্ধারক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সহযোগীদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া নিয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা টার্গেটিং অপশন অপব্যবহার রোধ করতে চাই।’

টেক ট্রান্সপারেন্সি প্রজেক্টের গবেষণা অনুসারে, গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে আক্রমণের ঘটনার পরও ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে উসকানিমূলক আলোচনার পাশে অস্ত্রের আনুষাঙ্গিক এবং বডি আর্মারের বিজ্ঞাপন পরিবেশন করা হয়েছিল।
গার্ডিয়ান বলছে, মেটার মোট আয়ের ৯৮ শতাংশই আসে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে। বিজ্ঞাপনদাতারা এ প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট জনসংখ্যা ও ভোক্তা লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারে। কারণ, প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীদের অনলাইন কার্যকলাপের ওপর ভিত্তি করে প্রোফাইল তৈরি করে রেখেছে। মেটা তাদের মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমেও বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। এ অডিয়েন্স নেটওয়ার্কের মাধ্যেম তৃতীয় পক্ষের অ্যাপেও বিজ্ঞাপন বিক্রি করে থাকে।
গত বছর মেটা ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি মানুষ ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার করেন।
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত স্তর যোগ করতে আগামী ৯ নভেম্বরের মধ্যে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (দ্বি-পদক্ষেপ যাচাইকরণ) প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করেছে গুগল।
তাই ৯ নভেম্বরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের।চলতি বছরের মে মাসে এ বিষয়ে জানিয়েছিল গুগল।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এই সাইবার সুরক্ষা নীতিতে কোনো ব্যবহারকারী লগ ইনের সময়ে কড়া যাচাই করা হয়। শুধু আইডি আর পাসওয়ার্ড দিলেই অ্যাকাউন্টে যে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীই লগ ইন করছেন কি না, তা যাচাই করতে দিতে হবে আরও কোনো প্রমাণ।

সাধারণত ব্যবহারকারীর রেজিস্টার্ড ফোন নম্বরে ওটিপি পাঠানো হয় লগ ইনের সময়ে। সেই ওটিপি দিলে তবেই লগ ইন সম্পূর্ণ হবে। ফলে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পেলেও কোনো অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মোট ১১ কোটি ৬১ লাখের বেশি। এর মধ্যে মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ কোটি ৬৩ লাখ। মূলত, করোনার কারণে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে। সম্প্রতি এক জরিপে এমনটাই উঠে এসেছে। তবে আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী এক জরিপে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের টেলিনর গ্রুপ, গ্রামীণফোন ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, করোনার শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের ৮৬ শতাংশ তরুণ ইন্টারনেটে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ তরুণেই আবার দিনরাত সবসময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ১৫ শতাংশ সন্ধ্যায় আর ২ শতাংশ শুধু স্কুল চলাকালে ইন্টারনেট চালু রাখেন।
বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ড- এ চারটি দেশে জরিপটি পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামীণফোনের করপোরেট কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার তাজরিবা খুরশীদ।
গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরিপে ৩ হাজার ৯৩০ জন অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে ১৬ শতাংশ বাংলাদেশি তরুণ।
জরিপ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশি তরুণদের ৮৫ শতাংশের মনে করেন, অনলাইন বুলিং একটি মারাত্মক সমস্যা। দেশে বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের যে ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তার সঙ্গে তালমিলিয়ে বিষয়টির দিকে নজর রাখা এবং সচেতনতা তৈরির গুরুত্বও এখন অনেক বেড়েছে।

জরিপে অংশ নেওয়া সব দেশের ২৯ ভাগ তরুণ জানিয়েছে, করোনার আগেই তারা বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ জানিয়েছে, করোনা শুরুর পর থেকে তারা আরও বেশি অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হয়েছে।
জরিপে অনলাইনে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে তরুণরা আরও কী কী নির্দেশিকা ও প্রশিক্ষণ চান, সে ব্যাপারেও জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।
তরুণরা অনলাইনে হয়রানি মোকাবিলায় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস (৫৬ শতাংশ), অনলাইনে তাদের গোপনীয়তা রক্ষা (৪৬ শতাংশ) এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উন্নতি (৪৩ শতাংশ) সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী। এ ছাড়াও অংশগ্রহণকারীরা মেসেজিং অ্যাপে (৪০ শতাংশ) অনলাইন বুলিং থেকে সুরক্ষা পেতে এবং গেমিং ও স্ট্রিমিং ভিডিও গেমসের (৩৭ শতাংশ) সময় অনলাইন বুলিং প্রতিহত করতে আগ্রহী।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল ফেসবুক। এ ঘটনায় ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গসহ প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা ক্ষমা চেয়েছেন। ঘটনার সেখানেই শেষ নয়।
ফেসবুকের সেবা বিপর্যয়ের সম্ভাব্য কারণ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র লেসলি গ্র্যান্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশল দলের বিবৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রকৌশল দল জানতে পারে, ব্যাকবোন রাউটারের কনফিগারেশনে পরিবর্তন আনায় এমন সমস্যা হয়। ফেসবুকের ডেটা সার্ভারগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক সমন্বয় করে রাউটারটি। এতে সার্ভারের ডেটা আদান-প্রদান ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেবাগুলো বন্ধ হয়ে যায়।’

বিভিন্ন গণমাধ্যম ও গ্রাহকসূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সময় সোমবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। এরপর মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে সচল হয় ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
ওয়েবসাইট মনিটরিং গ্রুপ ডাউনডিটেক্টর জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী এক কোটির বেশি মানুষ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
টুইট বার্তায় ফেসবুক জানিয়েছে, বিশ্বে বিপুল পরিমাণ মানুষ ও ব্যবসায়িক কমিউনিটি যারা আমাদের ওপর নির্ভরশীল : আমরা দুঃখিত। আমরা অ্যাপ ও সেবা চালুর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি এবং তারা অনলাইনে পুনরায় ফিরে এসেছে জানতে পেরে খুশি। আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ইনস্টাগ্রাম টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রাম এখন ফিরে এসেছে কিন্তু ধীরে চলছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত!
এর আগে ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শ্রোফার টুইট করে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ‘আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন।’এত দীর্ঘ সময় ধরে সার্ভার ডাউন হওয়ার ঘটনা বিরল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ফেসবুক ও অন্যান্য অ্যাপে ১৪ ঘণ্টার মতো এ ধরনের সমস্যা হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তালেবান সমর্থিত সব কন্টেন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। গোষ্ঠীটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ বিষয়টি জানায়।
এতে বলা হয়, তালেবানের প্রতি সমর্থনমূলক সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ ও অপসারণের জন্য নিবেদিত দল রয়েছে ফেসবুকের। তারা কন্টেন্ট সরানোর কাজ করছে। এ নীতি প্রযোজ্য হবে ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও।
ফেসবুকের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, মার্কিন আইনে তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ‘বিপজ্জনক সংস্থা’ নীতির আওতায় আমাদের সব পরিষেবা থেকে তাদের নিষিদ্ধ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তালেবানের পক্ষ থেকে বা তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দিচ্ছি। তাদের প্রশংসা, সমর্থন ও প্রতিনিধিত্বকারী লেখা ও ভিডিও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর আগে দু’দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আফগানিস্তান বিষয়ে পোস্ট দিলেই মুছে যাচ্ছে- এমন অভিযোগ ছিল। যথাযথ উত্তর না পেলেও এমনটি কেন হচ্ছিল অবশেষে তা পরিষ্কার করলো ফেসবুক।
সাইবারসিকিউরিটির সাথে ডিলিং হ'ল মাতামাতি এবং দক্ষতার একটি চলমান যুদ্ধ যা প্রায়শই আইটি পেশাদারদের মনে হয় যে তারা সুযোগসুবিধ এক ছাঁক-মোল ডিফেন্সিভ গেমের কখনও শেষ না হওয়া আক্রমণগুলিকে সবেমাত্র আটকাচ্ছে। মাইক্রোসফ্ট এবং কুখ্যাত সোলারওয়াইন্ডস সাপ্লাই চেইন হ্যাকের বিষয়টি বিবেচনা করুন যা গত ডিসেম্বরে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এর ক্ষয়ক্ষতিগুলি এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি শত শত আপোষকৃত ব্যবসায় এবং সরকারী নেটওয়ার্কগুলিতে তীব্রতর হতে থাকে। সোলারওয়াইন্ডস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার একটি বড় সংস্থা, যার কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলি সাইবারেটট্যাকগুলির একটি সিরিজে লঙ্ঘিত হয়েছিল যা তার ক্লায়েন্টগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক মাস ধরে সনাক্ত করা যায়। মাইক্রোসফ্ট সম্প্রতি প্রকাশ করেছে যে এটিও সন্দেহাতীত একই রাশিয়ান-ভিত্তিক হ্যাকার গ্যাংয়ের শিকার যে সোলারওয়াইন্ডস হামলার জন্য দায়ী ছিল। সাইবারেটকের আশেপাশের কিছু বিবরণ যেমন জানা যায়, নির্মোহ প্রকাশগুলি যুক্তিসঙ্গতভাবে একটি ঘ্রাণজনক হাঁসফাঁসের কারণ হতে পারে যে মাইক্রোসফ্টকে লঙ্ঘন করা যায়, তবে সবার জন্য কী আশা থাকবে? মাইক্রোসফ্ট স্বীকার করেছে যে কোনও আক্রমণকারী মে মাসের শেষদিকে নোবেলিয়ামের সাথে জড়িত বলে বিশ্বাস করেছে যে তার গ্রাহক পরিষেবা এজেন্টদের একজনকে তথ্য চুরি করতে বলেছিল এবং তারপরে এটি গ্রাহকদের বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের প্রচেষ্টা চালাতে ব্যবহার করেছিল। মাইক্রোসফ্ট জানিয়েছে যে সোলারওয়াইন্ডস এবং মাইক্রোসফ্টের পূর্বের প্রধান লঙ্ঘনের জন্য দায়ী একটি দল হ্যাকের প্রতিক্রিয়ার সময় এই আপসটি আবিষ্কার করেছে। হাস্যকরভাবে, দেশ-রাষ্ট্র হ্যাকাররা যারা সোলারওয়াইন্ডস সাপ্লাই চেইনের আক্রমণকে অর্পিত করেছিল তারা একটি মাইক্রোসফ্ট কর্মীর কম্পিউটারের সাথে আপোষ করেছিল। সাইবারসিকিউরিটির সাথে চলমান লড়াই সম্পর্কে ফলো-আপ বিবৃতিতে মাইক্রোসফ্টের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ সোলারওয়াইন্ডসকে "বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং পরিশীলিত আক্রমণ বলেছিলেন," প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আক্রমণ অভিযানের পিছনে এক হাজারেরও বেশি হ্যাকার ছিল। সোলারওয়াইন্ডসের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী কেভিন থম্পসন প্রস্তাব করেছিলেন যে সফল লঙ্ঘনের ফলে এমন কোনও ইন্টার্নের ফলস্বরূপ হতে পারে যিনি একটি পাসওয়ার্ড হিসাবে "'সোলারওয়াইন্ডস 123" তৈরি করেছিলেন এবং সেই পাসওয়ার্ডটি গিটহাবে শেয়ার করেছিলেন অবশ্যই, ফিশিং আক্রমণগুলি এইভাবে কাজ করার কথা। আক্রমণকারীরা তাদের কৌশল ছড়িয়ে দেয় এবং আশা করি যতদিন সম্ভব তারা গোপন থাকবে। সাধারণত, সোলার উইন্ডসের মতো বৃহত আকারের আক্রমণগুলি একাধিক আক্রমণকারী ভেক্টরগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়। "আমরা স্বল্প-তীব্রতা, উচ্চ-প্রভাবের সাইবারওয়ারফেয়ার যুগে প্রবেশ করছি। গত দুই দশক ধরে, বিরোধীরা দেশ-রাজ্য এবং শিল্পে সাইবার অস্ত্র চালনা ও সরবরাহের জন্য অত্যাধুনিক ক্ষমতা অর্জন করেছে, তবে আক্রমণকারীরা এখন নতুন হাইপার-সংযুক্ত বিশ্বের ব্যবহার করতে পারে তাদের পক্ষে, "টেকনিউজওয়ার্ল্ডকে অ্যাকুরিজিকের সিআইএসও ওম মুলচন্দানী জানিয়েছেন।
করোনাকালে দেশের ডিজিটাল উদ্যোক্তা লক্ষণীয় পর্যায়ে বেড়েছে। বর্তমানে ওয়েব ভিত্তিক ২ হাজার এবং ফেসবুক ভিত্তিক ৫০ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। সোমবার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ইকোনমি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের করা জরিপের এই তথ্য তুলে ধরে।
আগামী এক বছরে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয় সিপিডি এবং ফ্রেডরিখ-ইবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস), বাংলাদেশ অফিস যৌথ আয়োজনের এই ভার্চুয়াল সংলাপে।
সংলাপে সিপিডি-এর জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী সৈয়দ ইউসুফ সাদাত মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সেখানে বলা হয়, ইন্টারনেটের বিস্তার এবং স্মার্ট ফোনের জনপ্রিয়তার কারণে যদিও প্রচুর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) বাজারে আসছে, সেই অ্যাপগুলোর বিষয়ে এখনও কোনও যথাযথ নীতিমালা তৈরি হয়নি। এছাড়া গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য অনেক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকেই নিজেদের কৌশলগত পন্থায় পরিবর্তন আনতে হবে এবং গ্রাহক সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বের অনলাইনভিত্তিক শ্রমবাজারের ১৬ শতাংশ এখন বাংলাদেশের দখলে এবং বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইনভিত্তিক শ্রম সরবরাহকারী দেশ বলেও জানানো হয় এই সংলাপে।
ইউসুফ সাদাত জানান, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মভিত্তিক অর্থনীতির প্রসারের কৌশল হিসেবে এতে কিছু সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো- পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা, সময়মতো পরিষেবা সরবরাহ করা, ই-শপের জন্য দক্ষ ইনভেনটরি পরিচালনা, নমনীয় রিটার্ন পলিসি, সার্বিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মনির্ভর অর্থনীতির বিকাশ ত্বরান্বিত হবে।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং সংশ্লিষ্ট নানামুখী চ্যালেঞ্জের ওপরে জোর দিয়ে সিপিডি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে হলে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়ানো, আর্থিক সুবিধা এবং নীতিমালা তৈরি করে এ খাতটি থেকে আমরা লাভবান হতে পারব। উদ্যোক্তা ও ভোক্তা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
সংলাপের সূচনা বক্তৃতায় এফইএস বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ফেলিক্স কোলবিৎজ বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মভিত্তিক অর্থনীতি একটি সম্ভাবনাময় খাত। প্রভাবশালী স্টেকহোল্ডারদেরকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে এ ধরনের গবেষণা ও আলোচনা এই নতুন খাতগুলোর প্রসারের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি দেশের অর্থনীতিকে আগামীতে এগিয়ে নিতে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রেক্ষিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ইকোনমির গুরুত্ব তুলে ধরেন। আর সেজন্য বিদ্যমান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মিলিতিভাবে কাজ করতে হবে বলে মত দেন।-ইত্তেফাক