অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। ব্যক্তিগত জীবনের নানা আলোচিত ঘটনায় এখন নিজেকে পর্দার আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব প্রভা। সেখানে নিয়মিতই ভক্তদের সঙ্গে নিজের ভাবনা-চিন্তা ও দৈনন্দিন জীবনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন প্রভা। যেখানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে দেখা যায় তাকে। ভিডিওটির নেপথ্য পুরুষ কণ্ঠের কথাগুলো বিশেষভাবে নজর কেড়েছে ভক্তদের।
যেখানে বলতে শোনা যায়, অবিবাহিত থাকার কারণে কেউ মারা যায়নি। কিন্তু ভুল পার্টনারের কারণে অনেকে মারা গেছেন। জীবন খুবই ছোট। সুতরাং ভুল ব্যক্তির সঙ্গে সময় নষ্ট করার মতো সুযোগ নেই।’
ভিডিওটির ক্যাপশনে সাদিয়া জাহান প্রভা লিখেছেন— ‘সব সম্পর্ক বিয়ের দিকে নিয়ে যাবে না; কেউ কেউ আপনাকে অবিবাহিত থাকতে অনুপ্রেরণা দেবে।’
নায়িকার এমন মন্তব্যের সঙ্গ একমত পোষণ করেছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। সেই সঙ্গে ভিডিওতে প্রভার লুক দেখে প্রশংসাও করেছেন তারা। অনেকেই আবার তাকে পর্দায় নিয়মিত দেখতে চেয়েছেন।
এস এম জাকির হোসেন: পর্বঃ আট
দুর্গম যাত্রা শুরু
এপ্রিলের নয় তারিখ ঢাকা থেকে বাড়ির পথে শুরু হলো আমাদের দুর্গম যাত্রা। সারা শহর নিস্তব্ধ। শান্ত, নিরিবিলি। কে বলবে এ শহরের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। পাকিস্তানি মিলিটারী নামক আতঙ্ক। ঘর থেকে বের হয়ে মামি বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছে। মনে প্রশ্ন এই সাজানো সংসার ঠিকঠাক থাকবে তো! মামা তাড়া দিলেন। অবশেষে আমরা বড় মামার গোরানের বাসা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। তখনও রাতের অন্ধকার পুরোপুরি কাটেনি। ফজরের নামায শেষে মুসুল্লিরা সবে ঘরে ফিরে গেছে। ফাঁকা রাস্তার পাশের মাঠে জমানো ময়লার স্তুপের কাছে কয়েকটা কুকুর কু-লি পাকিয়ে শুয়েছিলো কেবল। আমরা নিঃশব্দে সামনে এগোলাম।
এলাকার গলিপথ ধরে পূবদিকে কিছুদূর এগিয়ে গেলে অনেকটা জায়গা জুড়ে খোলা জমি। বর্ষাকালে এই জমিগুলো পানিতে ডুবে থাকে। এই জমির শেষপ্রান্তে বিচ্ছিন্নভাবে ছোট ছোট গ্রাম। শহরটাকে ডান দিকে রেখে খোলা জমির পাশ দিয়ে সরু পথ ধরে আমরা এগিয়ে চললাম। আধো অন্ধকারে দূরে গ্রামগুলোকে দেখা যায় ঝাপসাভাবে। শীতের আমেজ শেষ হয়েছে মাত্র কিছুদিন আগে। সবজিও এখন প্রায় শেষদিকে। অনেক জমিই পরিত্যাক্ত। কিছু কিছু জমিতে দেখতে পেলাম টমেটো, লাউ ও শিমের মাচা। পূবদিক থেকে আসা ভোরের হাওয়ায় কিছুটা ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছিলো।
এমনিতে আমাদের চলার পথটা মোটেই মসৃণ ছিলো না। তার উপর সাথে মহিলা ও বাচ্চারা ছিলো। আমি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছিলাম মহিলা আর শিশুদের নিয়ে পথচলা খুব একটা সহজ হবে না। আসলে এই পথে সাধারণত মানুষ যাতায়াত করে না, তাই নির্দিষ্ট কোনো রাস্তাও নেই। মাঝে মাঝেই নালা, খানা-খন্দ আর নর্দমা। এগুলো এড়িয়ে আমাদের পথ চলতে হচ্ছিলো। আমি দাদাকে কাঁধে নিয়ে হাঁটছি। রানুর নিজেকে সামলানোই কষ্টকর, তাই মা, মেজচাচি আর বড় আপাই সামলাচ্ছে আনুকে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো আলো ফোটার আগেই এই এলাকা ছেড়ে দূরে চলে যাওয়া।
কিছুদূর চলতেই আমাদের সামনে আরেকটি দলকে দেখতে পেলাম। তারাও সামনে এগিয়ে চলেছে। মনে মনে ভাবলাম যাক, ওদেরকে অনুসরণ করে সামনে এগোনো যাবে। আমরা নিঃশব্দে পথ চলছিলাম। খুব প্রয়োজন না হলে কেউ কথা বলছিলাম না। সবার সামনে আসাদ ভাই, ছোট চাচা আর মেজ চাচার ছেলে মতিনকে দেয়া হয়েছে। তারা চারিদিকে নজর রেখে পরিস্থিতি বুঝে আমাদের নির্দেশনা দিবে। সবশেষে ছোট মামা, চন্দন (ছদ্ম নাম চান মিয়া) আর বড় মামার কাজের ছেলে মনাকে রাখা হয়েছে। সবাই ঠিকমতো এলো কিনা সে খেয়াল রাখার জন্য। বড় মামাকে সামাল দেয়ার জন্য আমি বাবাকে তার সাথে মাঝামাঝি জায়গায় থাকতে বললাম। সোহেল মাঝখানে আমার পাশে পাশে হাঁটছে।
গতরাতের আলোচনা অনুযায়ী আমরা চলছিলাম। এই পথে পায়ে হেঁটে বড়রাস্তায় উঠবো। তারপর মেইন রোড ক্রস করে নারায়ণগঞ্জে ঢুকে পড়বো। চারিদিক এখনও পরিষ্কার হয়নি, আমরা ধীর গতিতেই চলছিলাম। কাঁধে বৃদ্ধ দাদা, তাই খানা খন্দ দেখে আমাকে খুব সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছিলো। আমার সামনে ছিলো মেজ চাচার ছেলে মতিন, ও-ই আমাকে পথ নির্দেশনা দিচ্ছে।
আরও আধাঘণ্টা চলার পর চারিদিক ক্রমশ ফর্সা হয়ে আসছিলো। এলাকা ছেড়ে অনেকদূর চলে এসেছি। দিনের প্রথম আলোয় দেখলাম আমাদের থেকে বেশ কিছুটা সামনে আরও কয়েকটি দল এগিয়ে যাচ্ছে।
মা বললেন ‘একটু জিরাইয়া নেওয়া দরকার। বাচ্চাগুলান কাহিল হইয়া পড়ছে।’
মহিলা আর বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে আমরা একটা বড় গাছ দেখে তার তলায় থামলাম। তখন চৈত্র প্রায় শেষের দিকে। গাছে গাছে কাচা আম ঝুলছে। সুমন আর হাসান গাছে ঢিল ছুড়তে যেতেই বড় মামা ধমকে উঠলেন। দুজনেই ফিরে এসে চুপচাপ যার যার জায়গায় বসে পড়লো।
আমি হাসানকে নিচু স্বরে বললাম, সামনে অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। আম খাওয়ার অনেক সুযোগ পাবি। একসময় আর কিছুই খাওয়ার ইচ্ছে থাকবে না। শুধু সময় গুনবি কখন বাড়ি পৌঁছাবি।
প্রায় মিনিট বিশেকের মতো আমরা বিশ্রাম নিলাম। তারপর আবার শুরু হলো পথ চলা। দাদাকে কাঁধে নিতে যেতেই আসাদ ভাই হাসতে হাসতে বললো, ‘এবার বুড়ারে আমার কাছে দাও, তুমি বরং বুড়ির কাছে যাও। দেখো তাঁকে কোলে নিতে হয় কি না।’
সোহেল আমার পেছনেই ছিলো। দাদির পাশে পাশে হাঁটছিলো। আসাদ ভাইয়ের কথাগুলো শুনে সোহেল মিটিমিটি হাসছে। ফিসফিস করে আমার উদ্দেশ্যে বললো, ‘দাদা, দ্যাখো না দাদির কোনো হেল্প লাগে কি না।’ আমিও দাদির দিকে তাকিয়ে হাসছিলাম। সে হাসির মানেটা ছিলো অনেকটা এরকম ‘কী দাদি, উঠবে না কি কোলে?’ দাদি কি বুঝলো জানি না, সে আমার দিকে ফিরে মুখ ভেংচালো। তারপর সেই ফোকলা দাঁতে হেসে আমার কানের কাছে বললো, ‘আগে নিজের বিবিরে সামলা। দ্যাহো না ও আটতে পারতেছে না। পারলে ওরে কোলে নে।’
মেজচাচি দাদির পাশ থেকে হাসছিলেন। আমি ওখান থেকে নিঃশব্দে সরে গেলাম। সোহেল নিচু স্বরে বললো, ‘কী রকম ধরা খাইলা দাদা? দাদি তোমার থেকে এককাঠি উপরে, বুঝছো?’
ওকে ধমক দিয়ে আমি সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। চারিদিক আলোকিত হয়ে উঠতেই মনে হলো আরেকটি দিনের শুরু। মনে উৎকণ্ঠা কেমন যাবে আজকের দিনটি? লোকজন ঘরবাড়ি থেকে বের হয়ে আসছে। অনেকে উৎসুক দৃষ্টিতে আমাদের দেখছে। আবার নতুন করে কিছু দল যোগ হচ্ছিলো আমাদের সাথে। সবার উদ্দেশ্য একটাই এই অঞ্চল ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাওয়া। এই দিকটা শহরের বাইরে। কিছুটা নিরাপদ। তাই অনেকেই এলাকা থেকে বের হবার জন্য এই পথটাকেই বেছে নিয়েছে। ছোট চাচা আর মতিন কিছুটা দ্রুত হাঁটছিলো। অন্যরা ওদের সাথে তাল মেলাতে পারছিলো না। সাথে মহিলা ও বাচ্চারা রয়েছে। বড় মামারও বেশ বয়স হয়েছে। তাই আমি ছোট চাচাকে আস্তে হাঁটতে বললাম। পেছনে এসে দেখলাম বড় মামা হাঁপাচ্ছেন। আমি ঘুরে তাঁর কাছাকাছি চলে আসলাম। কথা বলে বুঝলাম তার কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সবাইকে থামতে বললাম।
আমরা আবার কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। ‘চল, আর দেরি করা যাবে না। সামনে অনেক পথ বাকি।’ বড় মামাই তাড়া দিলেন।
আবার এগিয়ে চললাম। বড় মামার বাসা গোরান থেকে বেরিয়েছি প্রায় তিনঘণ্টা। এতটা পথ হেঁটে অবশেষে আমরা বড়রাস্তায় উঠে এলাম। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। এখন কারফিউ নেই। ছোট চাচা আর আমি পরিস্থিতি যাচাইয়ের জন্য সামনে এগিয়ে গেলাম। আশেপাশে তেমন কিছু চোখে পড়লো না। কেবল মানুষজন ছুটছে। যেনো মানুষের ঢল নেমেছে। এছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মানুষ রাস্তার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া করছে। আমরা ফিরে এসে পরিস্থিতি জানাতেই বড় মামা সামনে চলার জন্য মতামত দিলেন। আমরা বড়রাস্তা ক্রস করে উল্টাদিকের এলাকায় ঢুকে পড়লাম। এখন এসব এলাকায় ঘন বসতি গড়ে উঠলেও তখন বেশিরভাগই ছিলো নিম্নাঞ্চল। কোথাও চাষের জমি, কোথাও পুকুর ডোবা।
মেইনরোড এড়িয়ে অপেক্ষাকৃত গ্রামাঞ্চল আর লোকজনের বাড়িঘরের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছি। আসাদ ভাই থেকে এবার দাদাকে কাঁধে তুলে নিলো ছোট চাচা। আমি হাঁটতে হাঁটতে মায়ের পাশে চলে এলাম। মা সারাটা পথই আনুকে কোলে নিয়ে হেঁটেছেন।
আমি বললাম, ‘এবার ওকে আমার কাছে দাও।’
আনু এতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলো, এবার জেগে উঠলো। আমার দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে গলা জড়িয়ে ধরলো। মা হাসতে হাসতে বললেন, ‘দেখো না, বাবাকে পেয়ে কী খুশি! আমি যেনো আর কেউ না।’
মায়ের কথা শুনে এত কষ্টের মধ্যেও হেসে ফেললো মিনু ফুপু। আমি আনুকে কোলে নিয়ে পুরো দলটাকে একবার ভালো করে দেখে নিলাম। সবাই ঠিকঠাকই আছে। দলের অল্পবয়সী ছেলেদেরকে দেয়া হয়েছে সবার ব্যাগগুলো বহন করার দায়িত্ব। ওরা তা ভালোভাবেই পালন করছিলো। দেখলাম বড় মামা আর বাবা কোনো একটা বিষয় নিয়ে আলাপ করছেন। আমি তাদের ছাড়িয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।

আমার সামনে সামনে হাঁটছিলেন নুরুল ফুপা। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিলো কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম, ‘ফুপা, কষ্ট হচ্ছে?’ তিনি আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললেন, ‘না। আমার আর কষ্ট কি? ছোট ছোট শিশু আর তোমার বৃদ্ধা দাদির জন্য চিন্তা হচ্ছে।’
কাঁচাপাকা শ্মশ্রুমন্ডিত ছোটখাটো গড়নের নিরীহ মানুষ নুরুল ফুপা একজন কেমিস্ট। ঢাকা মেডিকেলে চাকরি করেন। ফুপার কাছে অফিস আর বাসাই একমাত্র জগৎ। নিজের ধর্মকর্ম নিয়েই থাকেন। তাঁর দুই ছেলেমেয়ে চৌদ্দ বছরের সুমন এবার ক্লাস এইটে পড়ে আর মেয়ে সুমি স্কুল শুরু করেছে মাত্র। দুই সন্তান নিয়ে মিনু ফুপুর ছোট সুখী পরিবার। যুদ্ধের এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি নুরুল ফুপার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর। ফুপা আমাকে নিচু কণ্ঠে বললেন, ‘সুরুজ, মনে মনে দোয়া ইউনুস পড়। আল্লাহ আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।’

আমি ফুপার দিকে তাকিয়ে বললাম, ‘জ্বি ফুপা।’
আমরা কখনও ধানি জমি ঘেঁষা সরু রাস্তা আবার কখনও মানুষের বাড়ির পাশের মেঠোপথ ধরেই এগিয়ে চলেছি। বয়স্ক ও মহিলাদের কথা ভেবে কিছুক্ষণের জন্য আবারও একবার বিশ্রাম নিয়ে নিলাম। মেজ চাচার মেয়ে তানিয়া বললো, ‘সুরুজ দাদা, পানি খাবো।’
তানিয়ার দেখাদেখি আরও কয়েকজন পানি খেতে চাইলো। আমাদের সাথে আনা পানি শেষ। তাই পাশের বাড়ির টিউবওয়েল থেকে বোতলগুলোতে খাওয়ার পানি নিয়ে নিলাম।
এগারোটা বাজে। আমরা আবার চলতে শুরু করলাম। সকাল থেকে একই ধরণের পথে চলতে হচ্ছে। তাই এখন আর কাউকে নির্দেশনা দিতে হচ্ছে না। সবার আগে আগে সোহেল, তারপর আসাদ ভাই আর মেজ চাচা। আমি, ছোট মামা আর চন্দন দলের সবার দিকে লক্ষ রাখছি। আসাদ ভাই আমাদের আবার স্মরণ করিয়ে দিলেন কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়াতে পাকবাহিনী বেশকিছু নিরীহ মানুষকে গুলি করে মেরেছে। বড় মামা সবাইকে নির্দেশনা দিলেন, এখন থেকেই অনেক সাবধান হতে হবে। সামনে পেছনে যারা থাকবে তারা চোখ কান খোলা রাইখো। মাকে ডেকে বললেন, ‘জয়নাব, সুরুজের ছেলেকে তোর কাছে রাখ। ওকে এখন থেকে সামনে থাকতে হবে।’ চন্দনের দিকে তাকিয়ে আবার বললেন, ‘চান মিয়া, তুমি পেছনে চলে যাও।’
মা আবার আনুকে কোলে তুলে নিলো। বড় মামা সোহেল আর মতিনকেও আমার সাথে সামনের দিকেই রাখলেন। দাদাকে কাঁধে নেয়ার দায়িত্ব পড়লো পালাক্রমে মেজ চাচা ও ছোট চাচার উপর। তবে আসাদ ভাইও তাদের সাথে যোগ দিলো।
বড় মামা আজ সকালে তাঁর বাসা থেকে রওনা দেবার আগেই সবাইকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘চন্দন নামটা তোমরা সবাই ভুলে যাও। ওকে আর কেউ চন্দন নামে ডাকবা না। আজ থেকে ওর নাম চান মিয়া।’ আমরাও তখন থেকে চন্দনকে চান মিয়া নামেই ডাকছি। বড় মামা চান মিয়ার সাথে তাঁর কাজের ছেলে মনা আর ছোট মামাকেও দলের পেছন দিকে রাখলেন।
চলমান…