ভালো জীবন পেতে আগে ভালো মানুষ হও ;
সত্য সুপথ ধৈর্য সাহস ত্যাগের শপথ লও।
পারলে হতে ভালো মানুষ থাকবে না অভাব,
নিজে প্রথম বদলে ফেলি আপনার স্বভাব।
সব সাধনা পূর্ণ হবে ভালো মানুষ হলে,
চরণতলে সুখ লুটাবে দুঃখ যাবে চলে।
ভালো মানুষ সাদা মনের সহজ সিধে কথা,
সৃষ্টি সেরা মানব মনে দেয়না কভু ব্যথা।
তার ছায়াতে হয় নিরাপদ অন্য সকল জন,
সাদা কালো সবই ভালো দেখে দুই নয়ন।
ভালো মানুষ বড় সোজা পানির মতো সরল,
হাতে দিলে বিষের শিশি ভাবেই না এ গরল।
ভালো মানুষ তৃপ্ত সদা অল্প কিছু পেয়ে,
দেখে না সে কার কিবা ধন বেশি তার চেয়ে।
ভালো মানুষ যদি কেঁদে তুলে দুটি হাত,
কেঁপে ওঠে সৃষ্টিজগত আরশ মাখলুকাত।
ভালো মানুষ সত্যবাদী কায়মনে চায় যা,
যায় না বৃথা মিলবে সুফল আল্লাহ্ দেবেন তা।
ভালো মানুষ পথ ভুলে না, সরল পথে চলে,
দেয় না আঘাত, মিষ্টি মুখে সঠিক কথা বলে।
এই দুনিয়ায় ভালো মানুষ বাড়ুক সে সুজন,
গড়তে হবে সোনার জীবন, আলোকিত মন।
ছড়িয়ে দিলাম ভালোবাসার ফুলের রেণু সবার মাঝে ;
কুড়িয়ে নিও সকাল-দুপুর নিশীথ রাতে বিকেল-সাঁঝে।
ভুলে ভরা অন্ধ প্রেমের অথৈ জলে ডুবে ছিলাম,
সবার মাঝে সুখ-বসন্তে ভালোবাসার গোলাপ দিলাম।
ভালোবাসা মিষ্টি-মধুর, শান্তি সুখে সাগর ভরে,
ভালোবাসায় দিচ্ছি সঁপে হৃদয় মণি-মুক্তা করে।
সুখ-বসন্তে গোলাপ চেয়ে বিঁধলো কাঁটা যেদিন বুকে,
ভালোবাসার বীজ ছড়ালাম, ভরলো বাগান পরম সুখে।
ভালোবাসা অমূল্য ধন, যায়না পাওয়া যথা-তথা,
সুগন্ধি ফুল মন মাতানো, রঙিন আলোয় শ্রেষ্ঠ কথা।
আবেগমাখা ভালোবাসা মায়ের কাছে প্রথম শেখা,
ভালোবাসা পেলো যে জন, অমর হলো সবার দেখা।
সৃষ্টি মূলে ভালোবাসা, সৃজন হলো বিশ্বজাহান,
ভালোবাসার আধার তিনি দয়ার সাগর আল্লাহ্ মহান।
যায় না পাওয়া ভালোবাসা অর্থবিত্তে কে না জানে ?
আনন্দ-রস, বেহেশতি সুখ, প্রেমিক-সুজন সবাই মানে।
ভালোবাসা স্বর্গ সুধা, হৃদয় জুড়ে লালন করি ;
ভালোবাসা ধারণ করে ভালোর মাঝে জীবন গড়ি।
ভালোবাসা বুক ভরে নাও, প্রাণ খুলে গাও সুর মিলিয়ে,
ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে চতুর্দিকে দাও বিলিয়ে।
‘জাওয়ান’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেছেন দক্ষিণী অভিনেত্রী নয়নতারা। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম সারির অভিনেত্রী হয়েও শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তুতিতে এতটুকুও অবহেলা করেননি তিনি। অনেক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন নয়নতারা। ‘জওয়ান’ নিয়ে উত্তেজনার পাশাপাশি, হিন্দি সিনেমার নতুন মুখ হিসেবে নয়নতারাকে নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই দর্শকদের। সেদিক থেকে তার দাপুটে অভিনয় বলিউড বাদশার বিপরীতে নিঃসন্দেহে সবার মন কেড়েছে। তবে সম্প্রতি ছিমছাম সাজে মুম্বাই বিমানবন্দরে নয়নতারাকে দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছে নেটদুনিয়া।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, ‘জাওয়ান’ মুক্তির পর পুরো বিশ্ব যখন শাহরুখ খান ও নয়নতারার অভিনয়ে মুগ্ধ তখন বৃহস্পতিবার রাতে ছিমছাম সাজেই মুম্বাই বিমানবন্দরে ধরা দিলেন অভিনেত্রী নয়নতারা। এসময় তার পরনে গোড়ালি ঝুল লম্বা হাতা নীল আনারকলির সঙ্গে সাদা পালাজো, কাঁধের উপর আলতো করে ফেলে রাখা নীল ওড়না, চুল পনিটেল করে বাঁধা আর হালকা মেকাপে নয়নতারাকে দেখে অনেকেই অবাক।
নায়িকা হলেও তিনি সাধারনত হালকা সাজগোজই পছন্দ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে বেশির ভাগ সময়ই তার পরনে দেখা যায় ঘেরওয়ালা আনারকলি বা শাড়ি। তবে সব ধরনের পোশাকেই সমান সাবলীল ৩৮-এর নয়নতারা।
‘জাওয়ান’ সিনেমায় দর্শক যেন নতুন করে আবিষ্কার করেছে নয়নতারাকে। শাহরুখকে নিয়ে উন্মাদনার পাশাপাশি নয়নতারার প্রশংসায়ও পঞ্চমুখ অনেকেই। দর্শকের ভাষায় শাহরুখের বিপরীতে একেবারে যোগ্যভাবেই মানিয়েছেন নয়নতারা।
নয়নতারা মূলত দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী। ২০০৩ সালে মালয়ালাম সিনেমার হাত ধরে অভিনয়ে আসেন তিনি। প্রায় দু’দশক ধরে তার দাপুটে অভিনয় দিয়ে শক্ত জায়গা করে নিয়েছেন দক্ষিণী সিনেমার জগতে। এবার জয় করতে চলেছেন বলিউড । নয়নতারা এ পর্যন্ত প্রায় ৭৫টি সিনেমায় কাজ করেছেন।
মিন্টু রহমান: বিগত ১০০ বছর নজরুলকে অসম্মান,অবহেলা ও অমর্যাদা করে রাখার প্রেক্ষিতে ও একটি সাম্প্রদায়িক হিন্দু গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯২১ ঢাকার সালে মুসলিম নবাব সলিমুল্লাহ কতৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরও কলকাতা থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত হিন্দু শিক্ষকদের একচ্ছত্র আধিপত্যের বদৌলতে শুধুমাত্র রবীন্দ্র সাহিত্য ব্যতীত নজরুল সৃষ্টিকর্মকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দিয়ে বাংলা বিভাগ চালু করা হয়।
অথচ ১৯২১ সালে কবিতা “ প্রলয়োল্লাস “ ও ১৯২২ সালে জানুয়ারীতে ঐতিহাসিক কবিতা “ বিদ্রোহী “প্রকাশিত হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রদায়িক হিন্দু শিক্ষক গণ পরবর্তীতে এই দুটি কবিতা ও ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হিন্দু+মুসলিম সম্মিলনের নিদর্শণ ও নজরুল রচিত ১ম কাব্যগ্রন্থ “ অগ্নিবীণা “ গ্রন্থে অন্তর্ভূক্ত কবিতা গুলোর মূল্যায়ণ করে তা পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্তি অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে “নজরুল সাহিত্য” কে একটি বিষয় হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি, বরং নজরুল কে একজন সাধারণ মাপের কবি হিসাবে গণ্য করে তাদের মৌলবাদী আচরণ প্রদর্শণ করেছেন— অথচ ওই রকম কবিতা রবীন্দ্রনাথ আমৃত্যু কাব্য সাধনায় কখনো রচনা করতে সমর্থন হয়নি-কবিতা গুলের নন্দনতত্ব পর্যালোচনা করলে এর সত্যততা মিলবে।
অপরদিকে স্কুল- কলেজে পাঠ্যসূচিতেও নজরুলের শ্রেষ্ঠ ও বিখ্যাত কবিতা গুলো পাঠ্য করা হয়নি-কিন্তু পশ্চিম বংগের হিন্দু কবিদের রচিত অখ্যত-কুখ্যাত কবিদের কবিতা সংযোজন করতে ভুল হয়নি, এমনকি তথাকথিত পন্চকবি ( অখাদ্য) কবিরাও বাদ যায়নি। অমাদেরকে যে বিষয়গুলো খুঁজে বের করে ঐসব কর্মের বিস্তারিত প্রকাশ করতে হবে তা নিন্মে প্রদাণ করা হলোঃ——
(১) ঐ সময় শিক্ষা বোর্ডে পাঠ্যপুস্তক নির্বাচন কমিটিরে কারা দায়িত্ব পালন তরেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ কাদের দ্বারা পরিচালিত হতো ও কলকাতার কোন কোন ব্যক্তির নির্দেশে বাংলা বিভাগ পরিচালিত হয়েছে। কাদের প্রদত্ত স্বাক্ষরে নজরুল বিষয় বা সাহিত্য পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্তি হয়নি। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট পর্যন্ত কেন নজরুল সাহিত্যকর্ম আবহেলা ও অমর্যাদা করা হয়েছে , সে সকল শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রণযণ করা।
(২) পাকিস্তান সৃষ্টি হবার পর হিন্দু শিক্ষক গণ কত জন কত বছর বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেছে, ওদের নাম ও সময়কাল খুঁজে বের করা ,ওদের সংগে কয়জন মুসলিম শিক্ষক নিয়েগ পেয়েছে এবং তাদের সময়কাল জানতে হবে।সে সময়কার কবি সাহিত্যিক গণ নজরুল কে কতটা মর্যাদা প্রদাণের জন্য কাজ করেছে বা বিরোধিতা করেছে।
বিশেষ করে কবি গোলাম মেস্তফা ও কবি ফররুখ আহমদের এর নিস্ক্রিয়তা কতটুকু নজরুলের অবহেলায় অবদান রেখেছে যা তৎকালীন সাম্প্রদায়েক হিন্দু শিক্ষকদের সহায়ত প্রদাণ ও পেছন থেকে শক্তি জুগিয়েছে। ফলে ২৪ বছর পাকিস্তান সময়কালে নজরুল পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম কবি ও সাহিত্যিকদের দ্বারা নিগৃহিত হয়েছে।
(৩) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর ও স্বাধীনতা লাভের পরবর্তিতে এদেশের কবি-সাহিত্যিকদের নজরুলের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা কতটুকু জাতীয় কবি হিসাবে সর্বক্ষেত্রে প্রদাণ করা হয়েছে , কিংম্বা নজরুল অধ্যাপক বা নজরুল চেয়ার প্রাপ্ত ব্যক্তিরা কতটুকু তাদের উপর অর্পিত করণীয় কাজ সম্পন্ন করেছে।
(৪) নজরুলের সৃষ্ট গদ্য ও পদ্য সাহিত্য একেবারে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গান বিষয়ে কেন সকল নজরুল চর্চাকারীরা অন্ধের মতো পড়ে রইলেন বা পড়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন একটু ভেবে দেখতে হবে।সম্ভবত নজরুলের মহৎ সৃষ্টিকে আড়াল করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

এ রকম হাজারো জিজ্ঞাসা আজ নজরুল অনুরাগীগের কাছে প্রতিদিন আলোচিত হচ্ছে , তাই সমস্ত অজানা বিষয় গুলো চিহ্নিত করে নজরুলের প্রতি অসম্মান , অবহেলা ও অমর্যাদার কারণ নির্ণয় করে বাংলাদেশের প্রতিটি নজরুল অনুরাগীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে, এবং এ থেকে উত্তরণে এই অবহেলার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি এই নজরুল বিরোধী দের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব ও ঘৃণা প্রকাশ করে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, তবেই দ্রোহের কবি, সাম্যবাদী কবি, মানবতাবাদী কবি, সহ অবস্থানের কবি ও প্রৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি প্রকৃত সম্মান এ মর্যাদা প্রদর্শণ করা হবে।
জাতীয় নির্বাচন-২৪ এর পর দেশব্যপী আন্দোলন+
# তৃণমূল পর্যায়ে নজরুল অনুরাগী, সংগঠন, প্রতিষ্ঠানকে অংশ গ্রহণের জন্য বিনীত আহবান জানাই- কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি, কবিকুল শিরেমনি এবং মহা বিশ্বকবি ।
মিন্টু রহমান, নজরুল একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এবং নজরুল সংগীতজ্ঞ।
মিন্টু রহমান: সব কিছু’রই শেষ কথা বলে কিছু নেই বলা হয়ে থাকে, তবে নজরুল সংগীত এর বেলায় কোন ভাবেই এই কথা প্রযোজ্য নয় নির্দ্বিধায় বলতে পারি–বাঙালী গীতিকবি তো অবশ্যই– ভিনদেশী, অন্যভাষী গীতিকবি দের বেলায় তা প্রযোজ্য হতে পারে ,কিন্তু নজরুল এর ব্যপারে এখনো কেউ এ কথা প্রমাণ করতে পারেনি– এখানেই নজরুল সবার চাইতে শ্রেষ্ঠতম গীতিকবি, সুরকার ,সংগীতস্রষ্টা, সংগীত পরিচালক ও সংগীতজ্ঞ হিসাবে বিবেচিত। তিনি কেন শ্রেষ্ঠতম বলে দাবীদার তা অবশ্যই ব্যখ্যা করা’র মত যথেষ্ট উপাদা ন তার গানে রয়েছে বলে এর পক্ষে সহজ ও অকাট্য প্রমাণ কিম্বা উদাহরণ দেয়া খুবই সহজঃ—
(১) নজরুল সংগীত এর বাণী,সুর, শব্দচয়ণ,ছন্দ, উপমা উতপ্রেক্ষা,চিএকল্প, বিদেশী শব্দ ও সুর আমদানি, বাণী’র সাথে সুরে’র সফল প্রয়োগ,উর্দু/হিন্দী বন্দিশ অবলম্বনে বাংলা খেয়াল এর সার্থক সৃষ্টি , পারস্যে’র কবি হাফিজ-রুমী’র কবিতা-গানের সফল অনুবাদ করা, বাংলা’য় গজল সৃষ্টি , আধুনিক গানের সৃষ্টি ইত্যাদি আরো কত কি যে বলে শেষ করা যায় না–এ জন্যই বলছি যে সব কথার শেষ না থাকলেও নজরুল সংগীত এর নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ বাণী ও সুর সৃষ্টি’র পর আর শেষ কিছু অাছে বলে মনে হওয়ার কোন কারণ থাকতে পারেনা– এ ক্ষেত্রে আমি ১০০% নিশ্চিত।

(২) নজরুল নিজে গান লিখে সুর করে শিল্পীদের তুলে দিয়েছেন গ্রামোফোন রেকর্ড করার লক্ষে, তাই একজন শিল্পী তার নিজস্ব মেধা, দক্ষতা ও কন্ঠ চর্চা’র বদৌলতে যথাসম্ভব নজরুল এর কাছ থেকে গানটি’র গায়কী/স্টাইল অায়ত্ব করতে সক্ষম হয়েছে সত্য, কিন্তু নজরুল এর হুবুহু(true copy)গায়কী/স্টাইল কে অায়ত্বে আনতে কখনোই পারেনি যা সকলেই স্বীকার করবে–এরি প্রেক্ষিতে যেমন আংগুরবালা,ইন্দুবালা,কমলা ঝুরিয়া,হরিমতি, আব্বাস উদ্দিন, কে মল্লিক, যুথিকা রায়,ধীরেন্দ্র চন্দ্র মিএ,শচীন দেব,জ্ঞাণ গোস্বামী,চিও রায়,গীরিণ চক্রবর্তী, কমল দাশ গুপ্ত ও অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত শিল্পী সহ স্মরনীয়-বরণীয় গুনীজনদের কথা বলতে হয়, নজরুল যে সবার গান শুনে খুশী হয়েছে এ কথা বলা যাবে না–আবার অনেকের গান শুনে মুগ্ধ ও হয়েছেন বললে ভুল হবেনা–তবে তার সম্পূর্ণ চাওয়া যে পূর্ণ হয়েছে এটা কিছুতেই বলাও ঠিক হবেনা , তবুও নজরুল এর অর্ডারি গান, নাটকের গান,সিনেমা’র গান, বিভিন্ন গ্রামোফোন কোং তে চাকুরীকালিন ও ট্রেইনার হিসাবে নিযুক্ত থাকার সময়ে’র গান তাকে পেটে’র ক্ষুধা’র করাণে রচনা ও সুর করতে হয়েছে-তবে নিজের মনের মত বা যে ভাবে তা গাওয়া দরকার ছিল তা কিন্ত পাননি–এখানেই তার creation/creativity প্রতিটি ক্ষেত্রে হোচট খেয়েছে বলা যেতে পারে, তাই নজরুল সংগীত এর সম্পূর্ণ গায়কী/স্টাইল যে আমরা ধরতে পেরেছি বা আয়ওে আনতে সক্ষম হয়েছি, এ কথা বলা ও ঠিক হবে না—নজরুল এর কন্ঠে গীত রেকর্ডে গানগুলো শুনলে তার গায়কী ও তার গানে কতটা পর্যন্ত স্বাধীনতা ভোগ করা যাবে তার কিঞ্চিত হিসাব হয়তো মিলবে, বিশেষ করে “পাষানের ভাংগালে ঘুম” এবং “দাড়ালে দুয়ারে মোর” গান দু’টি উল্লেখযোগ্য।
(৩) নজরুল সংগীতের স্বর্ণযুগে’র শিল্পীদের অনুকরণে সম্ভবতঃ দেবকন্ঠ মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় তার ধারালো কন্ঠে ও বাংলা গানে’র ভান্ডার বলে পরিচিত সুপন্ডিত বিমান মুখোপাধ্যায়(HMV) এর ট্রেনিং-প্রাপ্ত হয়ে নজরুল সংগীত কে মহা মর্যাদা’র অাসনে অবশ্যই পুণঃ প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন –যা আর কোন শিল্পী করতে এতটুকু চেষ্টা করেনি কিম্বা কারো কন্ঠে অাজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি।

(৪) আমাদের দেশের জনপ্রিয় নজরুল সংগীত শিল্পী সোহরাব হোসেন,খালিদ হোসেন,ফেরদৌসি রহমান, জুলহাসউদ্দিন, ফাতেমা তুজ জোহরা,ফেরদৌস আরা, ইয়াকুব আলী খান,ফেরদৌস আরা,রওশন আরা মোস্তাফিজ, সিফাত ই মন্জুর, খায়রুল অালম শাকিল,জোসেফ কমল রড্রিক্স,শবনম মুস্তারী, শহীদ কবির পলাশ সহ অনেক শিল্পী নজরুল সংগীতে’র আদি গ্রামোফোন রেকর্ড হুবুহু অনুসরণ করে ওই সব শিল্পীদের স্টাইলে গান করতে পেরেছে বা করেছে? যদি না-ই পেরে থাকে/ইচ্ছকৃত করেনি তবে এরাও ওতো গ্রামোফোন রেকর্ড অনুসরণ না করার অভিযোগে সমান দোষী বললে ভুল হবেনা–এ ছাড়াও আজকের শিল্পীরা কি নিজেদের ইচ্ছামত কাজকর্ম ও অলংকরণ করে গান গাইছে না?এরা তো “সুধীন দাস মার্কা” স্বরলিপি ভিওিক গান গেয়ে নজরুল কে আরো বেশী styl বিকৃত /অপমান করতে পারে না-তেমনি মানবেন্দ্র ও পারেনি, ধরুন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় যদি শ্রী সুধীন দাস এর শেখানো গান গাইতেন– বলুন তো নজরুল সংগীত কি আর নজরুলীয় স্টাইলে পরিবেশিত হতো, রবীন্দ্রসংগীত হয়ে যেতো না কি?
(৫) আমার মাথায় যতটুকু এসেছে এরি ধারাবাহিকতায় আপনারা এর পক্ষে বা বিপক্ষে আরো একটু এগুতে চেষ্টা করবেন, দেখবেন আপনাদের চোখে নজরুল সংগীত কে স্পষ্ট দেখতে ও উপলব্দি করতে সক্ষম হবেন, মনে রাখবেন যে নজরুল সংগীত উচ্চাংগ অংগের, তাই এর প্রতিটি শব্দে ও সুরে আলাপ, বিস্তার, তান-সার্গাম ও অলংকরণের চেষ্টা অজান্তেই এসে যায় একজন প্রকৃত, সুশিক্ষিত শিল্পী’র মনে-প্রাণে–হ্রদয়-জুড়ে এমনিতেই জেগে ওঠে সুরের মূর্ছনা–এর জন্য আদিযুগের অথর্ব, অযোগ্য শিল্পী দের(রেকর্ডকৃত অনেক শিল্পী’র গীত অনেক গানই শোনার অযোগ্য) অনুকরণে আমরা নজরুল-বিরোধি স্টাইল/গায়কী অলম্বনে এ যুগে এসে মুর্খে’র মত গান গাইতে পারিনা, অথবা বর্তমানকালে’র গৃহ শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে নজরুল সংগীত এর কবর রচনা করতে পারিনা–আমাদের কে আরো সচেতন ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিজ স্বার্থ ত্যগ করে নিরপেক্ষ ভাবে নজরুল সংগীতে’র স্বার্থে সুবিচার করে সমস্ত জটিলতা থেকে মুক্ত হতে হবে।
মিন্টু রহমান, নজরুল একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এবং নজরুল সংগীতজ্ঞ।
সঙ্গীতশিল্পী মমতাজ বেগম ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন। এর আগে চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বহরমপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মমতাজ। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিন আদালতে মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত জানান, ৯ আগস্ট কেন তার মক্কেল (মমতাজ) আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি।
এর পর মমতাজের আইনজীবীর কথা শোনার পর বহরমপুর আদালতের মুখ্য বিচারক অলকেশ দাস জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। তাদের যুক্তি, মামলার অভিযোগ গঠন হয়ে যাওয়ার পরও কীভাবে জামিন পান মমতাজ বেগম। বিচারক এই যুক্তিকে আমলে না নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন।
মমতাজের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত এদিন আদালতে সিআরপিসি ২০৫ ধারায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী একটি আবেদন করেন।
যদি আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন তাহলে ভারতীয় আদালতে নিয়মিত সশরীরে হাজিরা দিতে হবে না মমতাজের। তবে আদালতের নির্দেশ থাকলে হাজিরা দিতে হবে।
এর আগে ২০০৮ সালে শক্তিশঙ্কর বাগচি নামে এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট অর্গানাইজার মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন মমতাজ।
শক্তিশঙ্কর বাগচী অভিযোগ করেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ২০০৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল তার। ওই অনুষ্ঠানে আসার জন্য তাকে ১৪ লাখ রুপিও দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু রুপি নিয়ে অনুষ্ঠানে যাননি বাংলাদেশের এই সঙ্গীতশিল্পী। এমনকি রুপিও ফেরত দেননি। রুপি ফেরত চাইলে তা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এজন্য বিভিন্ন সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় শিবশঙ্কর বাগচীকে। বাধ্য হয়ে বহরমপুর আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এখন পর্যন্ত ২৯৬ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় চারদিকে হাহাকার করছেন মানুষ। হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে হওয়া ভূমিকম্পে ধসে গেছে রাবাত ও মারাকাশের বহু বাড়ি। খবর আল-আরাবিয়্যাহ নিউজ ও স্কাই নিউজের।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মরক্কোর বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানা ভূমিকম্পে অন্তত ২৯৬ জন নিহত হয়েছেন।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে যে, ৫০০ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় এত বড় ভূমিকম্প হয়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল দেশের চতুর্থ বৃহত্তম শহর মারাকেশ থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার (৪৪ মাইল) দূরে আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেডিনের স্কি রিসোর্টের কাছে।
শুক্রবার গভীর রাতে হওয়া ভূমিকম্পকে কেঁপে ওঠে রাবাত ও মারাকাশসহ গোটা এলাকা। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।ইউএসজিএস জানিয়েছে, ৫০০ বছরের মধ্যে ওই এলাকায় এত বড় ভূমিকম্প হয়নি।
স্পেক্টেটর ইনডেক্স সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স প্লাটফর্মে এক পোস্টে জানিয়েছে যে, একটি ভবন ধসে মরক্কোর ডেমনাটে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ভূমিকম্পের ফলে অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে গেছে। এই কারণে ধুলোর মেঘ তৈরি হয়। সারারাত মানুষ রাস্তায় রাত কাটায়।
অন্যান্য পোস্টে দেখানো হয়েছে হতবাক বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য, স্থানীয় ভবনের বাইরে এবং রাস্তায় দৌড়াচ্ছে।
মারাকেশের একজন বাসিন্দা ব্রাহিম হিমি রয়টার্সকে বলেন, তিনি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে শহরের ঐতিহাসিক পুরাতন শহর ছেড়ে যেতে দেখেছেন। তিনি আরও বলেন, মাটি কেঁপে ভবনের সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসাওইরার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা বলেন, খুব বেশি ক্ষতি হয়নি তবে লোকজন আতঙ্কিত। কম্পনের সময় আমরা চিৎকার শুনেছি। খবরে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে ভূমিকম্পগুলো অস্বাভাবিক তবে অপ্রত্যাশিত নয়। এই মাত্রার কোনো ভূমিকম্প ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে দেখা যায়নি।