মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান: স্বামী-স্ত্রী,নারী-পুরুষ,বিএনপি-আওয়ামীলীগ আর হিন্দু-মুসলমান নিয়ে কথাবার্তা বলতে যে পরিমাণ ঝুঁকি, এমন ঝুঁকি মনে হয় গামছা কোমরে বেঁধে খালি গায়ে পায়ে বরফে ঢাকা এভারেস্টের চুড়ায় উঠতেও নাই।
বিয়ের পরে মহিলাদের পুরুষ বন্ধু অথবা পুরুষদের মহিলা বান্ধবী কোন হিসেবে থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য হয় না। স্কুল কলেজের ল্যাং মারা ঠ্যাং চাটা দুষ্টুচক্ররা মামা খালুর জোরে ঘুষ দিয়ে পদ পদবী পেয়ে বৃদ্ধকালে জোট বেঁধে তাকত দেখায় আমার বন্ধু অমুক তমুক আর স্বামী হচ্ছে চদু।
এই ব্যাচ ভিত্তিক বন্ধুচক্র নষ্ট করছে সংসার আর সমাজ। মাজা কোমর ভাঙা মহিলারা ঘরে চেয়ার ছাড়া বসতে পারে না, বাথরুমে কমোড লাগে, ২০০ গজ হাটতে রাস্তায় হাঁটু গেড়ে বসে যায়, একমাস খোঁচাখুঁচি করলেও স্বামী কে দিতে পারে না, সেই সব মহিলারা নায়িকার মত ডিসটেম্পার মেরে, কাপড়ের তলায় সেন্ট স্প্রে করে থুরথুরা বুড়া,ধ্যাতরা চামড়াওয়ালা, মুখে মেচতা পরা বাল্য বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে যায়। সারাটা সমাজ নষ্ট করেছে তারা।
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশী ঝুঁকি এবং বৈরী সম্পর্ক বেশীরভাগ স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে। তালাক তো ঘরে ঘরে। বর্তমানে তালাক প্রাপ্ত মহিলাদের জয়জয়কার। তাঁরা সবচেয়ে বেশী স্বাধীন, ক্ষমতাশালী এবং শক্তিশালী বিত্তশালী মহাপরাক্রমশালী বিজয়ী। সম অধিকারের চেয়ে বেশী অধিকার তাদের কায়েম হয়েছে মাশাল্লাহ। আমি তাদের নিয়ে কিছু বলছি না। আজাদ নারীদের নিয়ে কথা বলতে আমার তেমন একটা আগ্রহ নাই। ভালো মন্দ নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই আছে। ফুটফুটে সুন্দর নারীদের পা চাটা পুরুষের অভাব নাই। অবৈধ পয়সার পুরুষদের পয়সা ঢালার প্রথম পুন্যস্থান এই ফুটফুটে সুন্দর নারীদের পদতল।সেই সুযোগটা ই যৌবনে গ্রহণ করেন নোংরা নারীরা।কিন্তু বিপত্তি টা বাঁধে যখন বয়স বাড়ে তখন।
দ্বীনদার স্বামী রা কখনো ই মানসিকভাবে সুস্থ সভ্য ভদ্র নম্র মিষ্টি মার্জিত ধর্মানুরাগী পত্নীকে অসম্মান অনাদর করেন না।চিরকাল প্রেমিকার মত প্রতিষ্ঠা পেতে এবং স্বামী’র কাছ থেকে সারাজীবন সমান অধিকার,কাব্যিক আচরণ পেতে দ্বীনদার নারীরা কয়েকটি কাজ কখনোই করেন না।
স্বামী কে তাঁরা আর যাই হোক অসম্মান করেন না। ঠকান না। স্বামীর নামে মিথ্যাচার করেন না। স্বামীর জন্মস্থান সহ পুরো পরিবার কে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন না।স্বামী – স্ত্রী’র শারিরীক সম্পর্কের মধ্যে প্রচুর আত্মসম্মান জড়িত থাকে। ভালোবাসা মন্দবাসা জড়িত থাকে। স্বামী কে অসম্মান অপমান অপদস্ত করলে, স্বামী’র সঙ্গে তুইতোকারি করলে স্বামী হয়তো সামাজিক কিংবা আত্মমর্যাদা অথবা লোকলজ্জার ভয়ে সাময়িক চুপ থেকে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন কিন্তু কোনো অন্ধ-বধির- বোবা স্বামীও বাজে ব্যবহার পেয়ে স্ত্রী র প্রতি প্রেম বলবৎ রাখতে পারেন না। এটাই তো স্বাভাবিক।
স্ত্রীদের যদি সন্তান আর সম্পদ দখল করার মানসিকতা থাকে তাহলে স্বামী স্ত্রী বলতে যা বুঝায় তা কি প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে?স্বামীরা কি শখ করে, বিশ্বাস করে স্ত্রী র নামে সম্পদ কিনবে না? কিনলেই কি স্ত্রী সেটা দখল করে ফেলবে ? তাহলে তো দুনিয়ায় সবচেয়ে ভয়ংকর সম্পর্কের নাম হবে স্বামীস্ত্রী।
সম্পদ, টাকা-পয়সা,রোজগার, গাড়ি বাড়ি চাকরি ব্যাবসা এগুলোর সঙ্গে ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক নাই। সম্পদ কখনো থাকে কখনো থাকে না কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকলে স্বামী স্ত্রী র আমৃত্যু থাকে। এমনকি পরকালেও থাকে।
যদি স্বামী স্ত্রী মনে করেন যে, দুজনের মধ্যে তিন কথার সম্পর্ক তাহলে বিবাহ কেন করলেন তারা। সারাজীবন অবিবাহিত থাকলেই তো পারেন। সন্তান জন্মের পরেও যারা মনে করে তিন কথার সম্পর্ক তাদের জাত ই খারাপ। পারিবারিক শিক্ষা পরিচয় তাদের নাই। ফাঁপরে চলে।