লোকসংগীতের প্রাণপুরুষ আব্দুল আলীমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৫ সেপ্টেম্বর) । পল্লীগীতি, মুর্শিদি, ভাটিয়ালি, দেহতত্ত্ব, ইসলামি ইত্যাদি গানের শিল্পী হিসেবে আজও অপ্রতিদ্বন্দ্বী তিনি।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) কালজয়ী এই কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৪ আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এ শিল্পী।
উল্লেখ্য অমর শিল্পী আব্দুল আলীম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের মূরর্শীদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বলাবাহুল্য অমর শিল্পী আব্দূল আলীম লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন, জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তাঁর হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন এবং বিভিন্ন পালা-পার্বণে সেগুলো গাইতেন। এভাবে পালা পার্বণে গান গেয়ে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
আব্দুল আলীমের প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় গ্রামোফোন রেকর্ডে গান শুনে গান গাইবার জন্য আগ্রহ জন্মে। ছোটবেলায় তাঁর সঙ্গীত গুরু ছিলেন সৈয়দ গোলাম আলী। ওই অল্প বয়স থেকেই বাংলার লোকসঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তাঁর গানের প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হলো “তোর মোস্তফাকে দে না মাগো” এবং “আফতাব আলী বসলো পথে”। এত অল্প বয়সে গান রেকর্ড হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। পরে তা আর বিস্ময় হয়ে থাকেনি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার লোকসঙ্গীতের এক অবিসংবাদিত-কিংবদন্তি পুরুষ।
আব্দুল আলীম গান শেখার জন্য একদা কলকাতায় যান এবং সেখানে আব্বাসউদ্দিন ও কাজী নজরুল ইসলামের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে গান করেন। তিনি লোক ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ওপর দীক্ষা নিয়েছিলেন বেদার উদ্দিন আহমেদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখের কাছে। লেটো দলে ও যাত্রা দলেও তিনি কাজ করেছেন।
দেশ বিভাগের পরে আব্দুল আলীম ঢাকায় চলে আসেন এবং রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। তিনি পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। এছাড়াও তৎকালীন বাংলাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’ সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রে আব্দুল আলীম গান করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রটি হল- ‘লালন ফকির’। সব মিলিয়ে ৫০০টির মতো গান রেকর্ড হয়েছিল তাঁর। আব্দুল আলীম তাঁর আধ্যাত্মিক ও মরমী মুর্শিদী গানের জন্য অমর হয়ে থাকবেন। কবি ও বাংলার লোকসঙ্গীতের গবেষক কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, “সমাজকে যাঁরা জাগিয়েছেন আব্দুল আলীম তাঁদের একজন”। পেশাগত জীবনে আবদুল আলীম ছিলেন ঢাকা সঙ্গীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক।
আব্দুল আলীম বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- একুশে পদক, পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার।পাকিস্তান মিউজিক কনফারেন্স, লাহোরেসঙ্গীত পরিবেশন করে আব্দুল আলীম পাঁচটি স্বর্ণ পদক পেয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৭ সালে তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।
তিনি প্রায় ৬১টি ছবিতে নেপথ্যে কন্ঠশিল্পী ছিলেন। যেমন- এদেশ তোমার আমার, জোয়ার এলো, সুতরাং, পরশমণি, বেদের মেয়ে, রূপবান, সাত ভাই চম্পা, পদ্মা নদীর মাঝি ইত্যাদি।
তাঁর কিছু অবিস্মরণীয় গান হলো- নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা, সর্বনাশা পদ্মা নদী, হলুদিয়া পাখী, মেঘনার কূলে ঘর বাঁধিলাম, এই যে দুনিয়া, দোল দোল দুলনি, দুয়ারে আইসাছে পালকি- কেন বা তারে সঁপে দিলাম দেহ মন প্রাণ, মনে বড় আশা ছিল যাবো মদীনায়’ বন্ধুর বাড়ি মধুপুর ইত্যাদি।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজের উচ্ছ্বসিত তারকা। ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনি।
মঙ্গলবার দুপুরে ফেসবুকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলন্ত গাড়ির ২ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পরীমনি।
পরীমনি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন- সবাই খুশি! ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পেয়ে খুশি সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ। প্রথম দফায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এর প্রথম অংশের উদ্বোধন হয়েছে শনিবার। এই অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
পরদিন থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এটি। এর মাধ্যমে যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দ্রুতগতির এ উড়াল সড়কে কাওলা, কুড়িল, মহাখালী, বনানী, তেজগাঁও ও ফার্মগেটে টোলপ্লাজা আছে।
সন্তান জন্মের আগে থেকেই নিজেকে শুটিং থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আবারো আজ থেকে শুটিংয়ে ফিরলেন তিনি। বিষয়টি জানান পরীমনি।