অল্প কিছু খাবার `সুপারফুড` এর তকমা পায়। চকলেট বাচ্চা-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেরই প্রিয় খাবার। কিন্তু ডার্ক চকলেট দারুণ জনপ্রিয় এক সুপারফুড। ডার্ক চকলেট স্বাস্ব্যের পক্ষে উপকারি।কারণ এটি খাওয়া যায় কেক, মাফিনবা মিল্কশেক হিসেবেও, এতে থাকা ভিটামিন বি-12 বাকো বালামিন বাড়ায় মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা , বলছেন পুষ্টিবিজ্ঞানীরা।সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ এবং জ্বরে কাবু বহু মানুষ। তাই বলে হুট করে কফ সিরাপ মুখে ঢালবেন না যেন! ওষুধও খেতে হবে না। বরং চকোলেট খান। ঢের ভাল কাজ দেবে। এমনটাই দাবী চিকিৎসকদের।
ওরিফ্লেম ইন্ডিয়া অ্যান্ড মেহের রাজপুত এর ওয়েলনেস অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের বিশেষজ্ঞ সোনিয়া নারাং ডার্ক চকলেটের বেশ কয়েক ধরনের স্বাস্থ্যগুণ তুলে ধরেছেন।
১. ডার্ক চকলেটে থাকে ভক্ষণযোগ্য অতি জরুরি কিছু মিনারেল এবং ফাইবার । আরো আছে ওলেইক এসিড, স্টিয়ারিক এসিড আর পালমিটিক এসিডি।
২. এই খাবার থেকে অর্গানিক উপাদানও মেলে । এসব উপাদান দেহে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। ডার্ক চকলেট উচ্চ রক্তচাপ সামাল দেয়। দেহে রক্তপ্রবাহ সুষ্ঠু করে তোলে। এটা পুরুষের দেহে ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনে।
৩. ডার্ক চকলেটে আছে ৬৫ শতাংশ পলিফেনোল-সমৃদ্ধ কোকোয়া। এটি উচ্চ রক্তচাপ অনায়াসে কমিয়ে আনতে পারে।
৪. এতে আছে ফ্লাভানলস। এটি রক্তচাপ কমিয়ে এনে হৃদযন্ত্রের দেখাশোনা করে । হৃদযন্ত্র থেকে মস্তিষ্কে সুষ্ঠু রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে ফ্লাভানলস। ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় ডার্ক চকলেট।
৫. ইনসুলিনের কার্যকারিতা ঠিকঠাক বজায় রাখতে ডার্ক চকলেট অতুলনীয়। ইনসুলিনের সমস্যার জন্য ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং হৃদযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা হয়ে থাকে।
৬. ডার্ক চকলেটে আরো আছে থিওব্রোমাইন নামের এক বিশেষ অ্যালকালয়েডের উচ্চমাত্রার মিশ্রণ। এটা দেহকে আরাম পেতে সহায়তা করে। রক্তবাহী নালীরও দেখভাল করে।