- এটা হয়তো আপনি রোজই খেয়ে থাকেন। এটা কিন্তু খুব ভালো ভাবেই আপনার মেদ গলাতে সাহায্য করেন। লেবু খুব ভালো ভাবেই জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। তাই রোজ সকালে অল্প গরম জলে একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খান। চিনি দেবেন না, পরিবর্তে দিন মধু। নিয়মিত খান, উপকার পাবেন।
- লেবুর রস তো খাবেন, তার আগে খান রসুন। রোজ সকালে খালিপেটে ২/৩ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন। তারপর খান লেবুর রস। দেখবেন এতে আরও ভালো ফল পাচ্ছেন। রসুন খুব ভালোভাবে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। তাই রসুন খাওয়ার অভ্যেস করুন একটু কষ্ট করে।

- ধনেপাতা রান্নায় তো আলাদা স্বাদ আনে জানেনই। কিন্তু চর্বি কমাতেও কাজ দেয় জানতেন কি? না নিশ্চয়ই। তাহলে আপনি ধনেপাতার জল রোজ সকালে খালিপেটে খেয়ে দেখুন।
- অ্যালোভেরার যে হরেক গুণ আপনার ত্বক আর চুলের জন্য তা তো জানেনই। কিন্তু এবার একে কাজে লাগান আপনার ভুঁড়ি কমাতে। দেখবেন উপকার পাচ্ছেন হাতে-নাতে।
- গোটা জিরে রান্নার পাশাপাশি গোটা জিরে আপনার ক্যালোরিও খুব সুন্দর করে কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনি জিরেকে ব্যবহার করুন রোজ আর সুন্দরভাবে ভুঁড়ি কমাতে থাকুন।
- গ্রিন টিতে কোমরের আকার কমানোর উপাদান রয়েছে, যেটাকে ক্যাটেচিন বলে। পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি হলো একটি পারফেক্ট ডিটক্স ড্রিংক। কফি পানের অভ্যাস থাকলে এখন থেকে এর পরিবর্তে গ্রিন টি পানের কথা বিবেচনা করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন কমাতে দৈনিক চার-পাঁচ কাপ গ্রিন টি পানের প্রয়োজন রয়েছে। গ্রিন টি থেকে সর্বোচ্চ ফল পেতে চিনি ছাড়াই পান করুন, অথবা চিনির পরিবর্তে স্টেভিয়ার মতো ন্যাচারাল সুইটেনার ব্যবহার করতে পারেন। স্টেভিয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।
- পেটের চর্বি কমানোর একটি দ্রুত উপায় হলো প্রোটিন খাওয়ার মাত্রা বাড়ানো ও কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে দেয়া। কিন্তু তাই বলে পালিও ডায়েট অনুসরণ করতে বলা হচ্ছে না। শরীরে প্রোটিনের কাজ হলো পেশি গঠন করা ও পেশির ঘনত্ব বাড়ানো। পেশির ঘনত্ব যত বাড়বে, শরীর তত বেশি চর্বি পোড়াতে পারবে।

- ভার্জিন কোকোনাট অয়েল বা নারকেল তেল খেলে কোমরের আকার ও পেটের চর্বি কমে। প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ বা ৩০ এমএলের বেশি ভার্জিন কোকোনাট অয়েল খাবেন না।
- মানসিক চাপ যে কারণেই সৃষ্টি হোক, তা দীর্ঘস্থায়ী হলে পেটে চর্বি জমতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ করটিসোল নামক হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। করটিসোল ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়। বাড়তি ইনসুলিন ওজন বৃদ্ধি করে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমায়। মানসিক চাপ কমাতে প্রশান্তিদায়ক কাজকর্মে যুক্ত হোন, যেমন- মেডিটেশন, গভীর শ্বাসক্রিয়া, প্রশান্তিদায়ক গোসল ও সবুজ পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো। প্রতিদিনকার জীবনযাপনে মানসিক চাপ কমাতে পারলে পেটের চর্বি কমে যাবে।
- শরীরচর্চা ছাড়াই পেটের চর্বি কমানোর একটি বিস্ময়কর উপায় হলো প্রতিরাতে যথেষ্ট ঘুমানো। স্থূলতা ও পেটের চর্বির সঙ্গে স্লিপ এপনিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় স্লিপ এপনিয়ার রোগীদের পেটে অতিরিক্ত চর্বি পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রতিরাতে সাত-আট ঘণ্টা ঘুমালে পেটের চর্বি কমতে পারে। পেটের চর্বি কমলে স্লিপ এপনিয়ার ঝুঁকিও কমে যাবে। স্লিপ এপনিয়ার রোগীদেরকে ওজন কমাতে পরামর্শ দেয়া হয়। ওজন কমাতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
- হলুদে বিদ্যমান কারকুমিন হলো শক্তিশালী পলিফেনল, যা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। কারকুমিন চর্বিকে ভেঙে ফেলতে পিত্তরসের প্রবাহ বাড়ায়। কেবল তা নয়, এটি শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধেও লড়াই করে।
- চেয়ারে বসুন। দুই পা ফাঁক করুন যতটা পারেন। এবার হাত দু’টি দু’দিকে সোজা করে মেলে দিন। ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের পাতা ও বাঁ হাত দিয়ে ডান হাতের পাতা ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। দিনে দিনে এর সংখ্যা বাড়ান। এতে পেটে চাপ পড়বে। দিন কয়েকেই বুঝবেন পেটের অতিরিক্ত চর্বি গলছে।
- একটি পোক্ত চেয়ারে বসুন। কাঠের চেয়ার হওয়াই ভাল। এর পর চেয়ারের উপর দু’ হাতের তালু রেখে তাতে ভর দিন। পুরো শরীরটাকেই দুই হাতের তালুর ভরে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। যতটা পারছেন, ততটাই। প্রথমেই জোর করে অনেকটা তুলবেন না। এতে পেশীতে খিঁচ লাগতে পারে। বার কয়েক এমন করলে কোমর ও তলপেটের চর্বি ঝরবে সহজে।
- একটি শক্ত কাঠের চেয়ারে বসে চেয়ারের হেলান দেওয়ার জায়গাটি দু’হাতে ভর দিন। এর পর চেয়ারে বসেই দুই পা হাঁটু পর্যন্ত ভাঁজ করে যতটা পারেন বুকের কাছে আনুন আর সামনের দিকে শূন্যে ভাসিয়ে দিন। এমন করে বার পাঁচেক করুন। ধীরে ধীরে বার ও সময় বাড়ান। এতে পেট ও কোমরের পেশী টান পড়ে ও মেদ ঝরে সহজে।
- চেয়ারে বসে দু’হাত ভাঁজ করে মাথার পিছনে দিন। এবার এক এক করে হাঁটু ভাঁজ করা অবস্থায় মাটি থেকে পা তুলুন। ডান হাতের কনুই দিয়ে বাঁ হাঁটু ও বাঁ হাতের কনুই দিয়ে ডান হাঁটু ছোঁয়ার চেষ্টা করুন। বার পনেরো করুন। এতে আপনার কোমরের মেদ তো ঝরাবেই, সঙ্গে শরীরের একাংশ কিছুটা ভাঁজ হওয়ার দরুন পেটের অতিরিক্ত চর্বিও গলবে সহজে।
- একটা চেয়ারের কোণা এক হাতে ধরে দাঁড়ান। এর পর একটি পা ভাঁজ করে পিছন দিক দিয়ে কোমরের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। গোড়ালির কাছটা ধরে থাকুন অন্য হাত দিয়ে। জঙ্ঘা ও পেটের জন্য এই ব্যায়াম খুব উপকারী। অনেকের পা ভারী হয়। তাদের জন্যও এই ব্যায়াম কার্যকর। প্রতি পায়ে দশ বার করে করুন এই ব্যায়াম।