আমকে ফলের রাজা বলা হয়। স্বাদ ও সুবাসে আম অন্যান্য ফলের চেয়ে সেরা। ছোট বড় সবাই আম পছন্দ করেন।তবে আম খাওয়ার আগে আসুন জেনে নেয়া যাক আমের কিছু উপকারিতা।
পুষ্টিগুণ
বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণে ভরপুর আমের পুষ্টউপাদান অতুলনীয়। এতে আছে ভিটামিন সি, এ এবং বি-৬। পটাশিয়াম, কপার ও অ্যামাইনো এসিডেরও প্রাচুর্য্য রয়েছে আমে। আমে আরও রয়েছে লিশিয়েন জিলাইক এসিড, বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, ক্যাফিক এসিড ইত্যাদি। আর এইসব উপাদান দেহের জন্য প্রচন্ড উপকারী।
মিনারেলের অভাব পূরণ
শরীরে মিনারেলের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে নানান রোগ। তবে আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়া ও কপার। যে কোনো ভারি কাজের পর আম খেলে দূর হবে এইসকল খনিজের ঘাটতি।
আমে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট
শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস যাতে কোষের ক্ষতি করতে না পারে, তার জন্য প্রয়োজন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের । আম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের কাজ করে । এতে রয়েছে পলিফেনলস, যা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে ।
আম বাড়াবে স্মরণশক্তি
আমে রয়েছে গ্লুটামিক অ্যাসিড যা মস্তিষ্কের কোষ উজ্জীবিত করে থাকে। যা মনযোগ বাড়াতে সহায়তা করে। তাই শিশুদের খেতে দিতে হবে আম। মস্তিষ্কের চাপ বা মানসিক চাপ কমাতেও আম খাওয়া যেতে পারে।
ত্বক ভাল রাখতে
ভিটামিন এ এবং সি-তে পরিপূর্ণ হওয়ায় আম আপনার ত্বককে ভাল রাখে । এটা ত্বককে পরিষ্কার করে এবং বলিরেখার মোকাবিলা করে । ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, যা ত্বকের নমনীয়তা বাড়ায় । গ্রীষ্মে প্রবল উত্তাপে আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মিতে ত্বক নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে আম ।
চোখের পক্ষে উপকারী
আম চোখও ভাল রাখে । এতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখের সমস্যা দূর করতে খুবই উপকারী । অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের সঙ্গে এতে রয়েছে জ়িয়াজ়্যান নথিন এবং লুটেইন, যা পেশীর ক্ষয় আটকাতে সাহায্য করে ।
হৃদরোগ ও আলঝেইমার প্রতিরোধ করে
আমে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা ভিটামিন এ এর উৎস। আর তাই এই ফল হৃদরোগ, ভুলে যাওয়া রোগ আলঝেইমার এবং পার্কিনসন্স ও আথ্রাইটিস প্রতিরোধ করে।
গর্ভবতীদের জন্য উপকারী
আমে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড থাকে, যা গর্ভবতীদের জন্য ও গর্ভে থাকা শিশুর জন্য বেশ উপকারী।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে
আমে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই শরীরে ফ্রি র্যাডিকেল বা ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদানকে প্রতিরোধ করে।
কমায় সর্দি-ঠান্ডা
আমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ এবং ডি। এবং এই দুটি ভিটামিনই ঠান্ডার সমস্যার বিরুদ্ধে বিশাল কার্যকর। তাই ঠান্ডা বা সর্দি দেখা দিলে খেতে পারেন আম। এটি আপনার সুস্থ হয়ে ওঠাকে ত্বরান্বিত করবে।
আম খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেন
উপকারী ফল হলেও খুব বেশি পরিমাণে একসঙ্গে খাওয়া ঠিক না। পাকা আমে চিনির পরিমাণ থাকে বেশি যা ডায়বিটিস রোগির জন্য হতে পারে সমস্যার কারণ। আমে ফাইবারের উপস্থিতিও থাকে। তাই বেশি আম খেলে বদহজমও হতে পারে।