রবীন্দ্র-নজরুল ছাড়া সবাই অযোগ্য
মিন্টু রহমান : ‘পঞ্চকবি’ শব্দটি একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী কতৃক তৈরী মিথ্যাচার–যার মধ্যে রবীন্দ্র-নজরুল ছাড়া সবাই অযোগ্য। ১৯২২ সালে মহা বিশ্বকবি নজরুল এর “বিদ্রোহী” কবিতা প্রকাশিত হওয়ার পর কলকাতা সহ সারা ভারতে বিরাট হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল, কারণ এর আগে কোন কবি বৃটিশ-বিরোধি কবিতা, গদ্য কিম্বা সাহিত্য সৃষ্টি করার কথা ভাবেনি—-রবীন্দ্রনাথ এর বয়স তখন ৬১বছর, ৩/৪ ভাগ সৃষ্টিকর্ম তার শেষ,বৃটিশের দালালী, তোষামোদি করে রবীন্দ্রনাথের জীবন অধ্যায় প্রায় শেষ-প্রান্তে অর্থাৎ এরপর তিনি কলকাতা’র জোড়াসাকো ঠাকুর বাড়ী ছেড়ে শান্তিনিকেতনে কাটিয়েছেন—১৯২২ সাল হতে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত মোট ২৫ বছর বৃটিশ-বেনিয়া ভারতে থেকেছে, যদি ও রবীন্দ্রনাথ ১৯৪১অর্থাৎ ৬ বছর আগে মারা গেছে — একটা প্রশ্ন কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ উঠাতে চেষ্টা করেনি বা উঠায়নি, রবীন্দ্রনাথ কেন বৃটিশদের কাছ থেকে অনেকটা দূরে সরে রইলেন এবং লোক দেখানো নজরুল প্রীতি প্রদর্শন করলেন,তিনি তো একজন মুসলিম-বিদ্বেষী কবি যে তার বিশাল সাহিত্য জুড়ে একফোটা মুসলমানের জন্য লিখেনি, এমনকি নজরুল এর সাথে একএে একটি ষ্টিল ছবি তোলা বা ভিডিও করার প্রয়োজন মনে করেণি, অথচ একটি চাটুকার গোষ্ঠী রবীন্দ্রনাথের নজরুল প্রীতি ও ভালবাসা’র গল্প শোনাতে শোনাতে মুখে ফেনা তুলে সবার মুখে ছিটিয়ে দুর্গন্ধময় করে ফেলছেন, হায়রে মূর্খ গৃহপালিত কুকরের দল—–মাণুষ হতে আর পারলিনা।
রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় বৃটিশ-বিরোধি কবিতা, গদ্য, গান লিখেছেন বলে কেউ দেখাতে পারবেনা, তবে বৃটিশের দালালি যে কত করেছেন, তা লাইনে লাইনে দেখানো খুব সহজ, (১) নোবেল প্রাইজ পাওয়া (২) জমিদারি ও এর সাথে ৪৩ টি বেশ্যা পাড়া’র আয় প্রাপ্তি (৩) নাইট (স্যার) উপাধি, নগদ অর্থ প্রাপ্তি উল্লেখ্য।
মুসলমানের বিরোধিতা’র নমুনাঃ————————-
(ক) পূর্ব বংগে চাষা-ভূষা মুসলমান যাতে শিক্ষিত ও উন্নতি করতে না পারে, ১৯০৫ সালে বংগভংগ বাতিলের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান এবং ১৯১১ সালে বাতিল উল্লেখযোগ্য। (খ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সরাসরি হস্তক্ষেপ ও বাতিল করা’র জন্য চিকন ধুতি পরে কলকাতার রাজপথে মিছিলে নেতৃত্ব প্রদাণ (গ) মুসলমান দের অত্যাচার করতে পশ্চিম বাংলা ছেড়ে পূর্ব বাংলায় জমিদারি নিয়ে বারবার দ্বিগুন,চারগুন খাজনা বাড়িয়ে অশিক্ষিত মুসলমানদের নির্যাতন করা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা (ঘ) ১৯০০ সালে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন শিরাজীর কাব্যগ্রন্থ ” অনল-প্রবাহ”বৃটিশের বিরুদ্বে প্রকাশিত হলে তা নিষিদ্ব হয় ও কবি জেলে ঢুকেন, রবীন্দ্রনাথ এর বয়স তখোন ৩৯ বছর—তিনি একটু প্রতিবাদ ও করা প্রয়োজন মনে করেনি—-এ ভাবেই কবি মোহিতলাল, বুদ্বদেব বসু ও কলকাতার কবি, সাহিত্যিক গণ কখনো বৃটিশদের বিরুদ্বে কথা বলেনি বরং বৃটিশদের দালালি করে ঘর-বাড়ী, সহায়-সম্পদ ভোগ করেছে–রবীন্দ্রনাথ নজরুল কে নামকাওয়াস্তে ভালবেসেছেন নিজ স্বার্থ উদ্বারের কারণে—পেছন থেকে কুড়াল মেরেছে কবিতা, কাব্যগ্রন্থ, পএিকা বাজেয়াপ্ত করে, জেলে ঢুকিয়ে,
এরপর কেউ যদি রবীন্দ্রনাথ কে নজরুলের উপকারী বন্ধু ভাবে, আমার বলার কিছু নাই–আমৃত্যু রবীন্দ্রনাথ নজরুলের সাথে বিদ্বেষ করে নিজের কুকূর্তি গুলো স্মরণ করে তিলে তিলে দগ্ধ হয়েছে, ভারতে তার অবস্থান ও ভবিষ্যৎ কি হবে, তাও ভাবতেন—-তবে রবীন্দ্রনাথ এর বিশাল সাহিত্য ভান্ডার রয়েছে, তা অস্বীকার করার কারো সাহস নাই।
এরপর নজরুল এসে রবীন্দ্র-সাহিত্য কে উলট-পালট করে দিয়েছে, নতুন ধারায় সাহিত্য রচনা করে রবীন্দ্র বলয় ভেংগে এক নতুন দিগন্তের যাএা শুরু করে, তাই আজ বাঙলা সাহিত্য পরিপূর্ণ হয়েছে–নজরুল যা দিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের পক্ষে তা দেয়া সম্ভব হয়নি, এ কথা আজ স্বীকৃত–যে কারণে তাকে মহা বিশ্বকবি বিশেষণে ভুষিত করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল কে তাই বাংলা সাহিত্যের দই দিকপাল বলা হয়——কিনৃতু এই বিশাল মাপের দুই কবির সাথে একটি স্বার্থপর মহল সযোগ বুঝে ডিএল রায়, রজনীকান্ত ও অতুল প্রসাদ কে ঐ দুই বিশাল কবি’র সাথে একএিত করে “পঞ্চকবি” নাম দিয়ে নৌকা পার করতে চেষ্টা করেছে—-কতবড় গাধা এই গোষ্ঠী তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, ঐ তিনজন কবি মিলে ১৫০ টি গান ও রচনা করেনি।
এদের কে যারা “পঞ্চকবি” বলে সম্বোধন করবে, তাদের ভাববেন ওরা ওদের জাত-গোষ্ঠী ও গৃহপালিত কুকুর—এদের চেয়ে অনেক ভাল ভাল গতিকবিতা আমাদের দেশের ৩য় গ্রেডের কবি হিসাবে লিখছে—তাই ওদের যেন “পঞ্চকবি “আর না বলা হয়, মিডিয়াতে এ ধরণের প্রোগ্রাম করলে ভাববেন ওরা ঘুষ-সুদ খোর সবিধাবাদি সাম্প্রদায়িক শক্তি ও বাঙালীর শএু।
মিন্টু রহমান
সাধারন সম্পাদক, নজরুল একাডেমি, ঢাকা