পেটুক খাইয়া মরে পেটের জ্বালায়
খাইতে না পাইলে মরে ক্ষুধার জ্বালায়।
বাঁদরের হাতে দিয়া মশাল মশাই !
স্বদেশ করিলো শেষে শ্মশান কসাই ।
শিক্ষিত শয়তানে দিলো কানপড়া
মুর্খ শাসক শুনে পুরোপুরি ধরা ।
নিজের ওজন বুঝে কাজ করো গুণী
পরিতাপ হইবে পারে বৈতরণী ।
ইন্দ্রজালের ফাঁদে পড়িয়া সে কাঁদে
কাঁদিবে ভুবন তার করুণ আর্তনাদে ।
আমারে যে চেয়েছিলো ভুলে বারবার
আমায় ছাড়িয়া ভুল করিলো আবার ।
আমায় পাইয়া ফের পায়ে পিষে হায় —
মরার প্রহর গোণে খাদ কিনারায় ।
একজনে এক ভুল কতবার করে !
অহংকারে’র পাপের দাপটে সে মরে ।
স্বভাব যায় না যদি শয়তানে পায়
স্বাধীন হইলে নারী জাহান্নামে যায়।
সাতসমুদ্র ঐ তেরো নদী পাড়ে
জতুগৃহে বসি সে কাঁদে অনাহারে।
মর্ত্যে গর্ত খুড়ে লাভ নাই কারো
চাইলে শান্তি দুনিয়াদারী ছাড়ো।
কতজনে আশা দিয়া করিলো নিরাশ
এখন আমার চেয়ে তারাই হতাশ ।
সুখ-দুঃখ তিতা মিঠা নিজের কাছে
শান্তনা নিয়ে নাহি পরান বাঁচে ।
ভালোবাসা পেলে যেতে পারি বহুদূরে
তারচেয়ে উত্তম একা ভবঘুরে।
ভবিষ্যৎ ব’লে আসলে কিছু নাই
পাগল ছাগলে গোনে টাকা অযথা ই।