ইয়াহিয়া কারাগারে
হাটহাজারীতে এক শিশু শিক্ষার্থীকে বেধরক পেটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে আইনানুগ কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববারের মধ্যে তা চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হাটহাজারী থানার ওসিকে জানাতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিষয়টি নজরে আনার পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদা শুনানি শেষে ইয়াহিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, হেফজ বিভাগের শিশুটির জন্মদিন ছিল বুধবার। এ উপলক্ষে তাকে দেখতে মঙ্গলবার বিকালে মা-বাবা মাদ্রাসায় আসেন। তারা চলে যাওয়ার পরপরই শিশুটি মাদ্রাসা থেকে বাইরে বের হয়। তখন শিশুটিকে ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন শিক্ষক ইয়াহিয়া। ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসার ভেতরে নিয়ে যান। পরে তিনি শিশুটিকে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান।
মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।