রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন, জোহার সাহারা মৌজার মানিকদী এলাকায় দুর্ধর্ষ ভূমি দস্যুরা কৌশলে নানাহ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নিরীহ কয়েকটি পরিবারকে বঞ্চিত করে তাদের সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে। এ প্রতারক ও জালিয়াত চক্র বর্তমানে এলাকার প্রকৃত নিরীহ ভূমি মালিকদের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে।
জোয়ার সাহারা মৌজার মানিকদী ও এর আশপাশের এলাকার সি.এস. ৩২৫নং খতিয়ান, আর.এস. ২৩১৪নং খতিয়ানভুক্ত সি,এস-১৩, ১৪, ১২৭, ১৭২, ১৮০, ১৮১, ১৬৯, ১৭০, ৪৩৬, ৩২৬, ৬৩১, ৬৮৭, ৩৪, ৩৩, ২৪৭ ও ২৬৭ নং দাগ, সর্ব দাগে সর্বমোট জমির পরিমান ২১ একর ২২ শতাংশ, সি,এস রেকর্ডে জমির মালিক বারকু মাদবর। তিনি লোকান্তরে।
ওয়ারিশসূত্রে জমির মালিক আরব আলী ও ফুলজান। পারিবারিক আপোষ এওয়াজ বন্টনসূত্রে আর,এস-৩৭৯, ৩২০, ৪১৬, ৪১৯, ৪২০, ৪২১, ৪১৭, ২০৮, ২৩৩, ২৩১, ৩২২, ২৯৩, ৫৮৭, ৭৯১, ৫৩৯, ২৪৭, ২৮০, ২৭৯, ২৮৮, ৫৭৯, ৬০, ১০১নং দাগ, সর্ব দাগে সর্বমোট জমির পরিমান ৭ একর ২৩ শতাংশ। এই জমির একমাত্র মালিক ফুলজান।

বর্তমান জবরদখলকারী জালিয়াতরা হলো ১। লেহাজ উদ্দিন, ২। আশরাফ উদ্দিন, ৩। সফিকুল ইসলাম (বাবু), ৪। টিপু সুলতান, ৫। শামীম আহম্মেদ, ৬। আতিকুর রহমান, ৭। শাহাদাত হোসেন, ৮। শরিফুল ইসলাম (শরিফ), ৯। মোঃ নাহিদ, ১০। সাজ্জাদ হোসেন গং।
প্রকাশ্য ও গোপনে ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে এই জমিগুলো ফুলজান এর ওয়ারিশান চক অনুযায়ী প্রকৃত মালিক ১। পরশ আলী (৫৫), ২। মেহের আলী (৫৬), ৩। শুক্কুর আলী (৫১), ৪। মোঃ কুরবান আলী ওরফে হামেস আলী (৫৩), ৫। নুর বানু (৫৮), ৬। জয় বানু (৪৮), ৭। মজিবুর রহমান (৮২), ৮। রাহাতুন নেছা (৭৭), ৯। রোকেয়া বেগম ওরফে রেকাতুন নেছা (৭০), ১০। তাছলিমা বেগম (৫৪), ১১। মোঃ সেলিম উদ্দিন (৪৭), ১২। মোঃ কলিম উদ্দিন দেওয়ান (৪৪), ১৩। মোঃ আলীম উদ্দিন (৪৩), ১৪। মোঃ হালিম উদ্দিন (৩৭), ১৫। মোঃ ডালিম উদ্দিন দেওয়ান (৩৫), ১৬। জয়নাব বানু (৩৮), ১৭। শারমিন আক্তার (৩৪), ১৮। শিরিন আক্তার (৩২), ১৯। মোঃ ছামির আলী ওরফে সামির আলী দেওয়ান (৮৩), ২০। মোঃ সামসুদ্দিন দেওয়ান (৮৪), ২১। সোনা বানু ওরফে সোনাবান বিবি (৬৪), ২২। মোঃ মোকসেদ আলী (৬৫), ২৩। সুফিয়া বেগম (৪৯), ২৪। শাহিনুর ইসলাম (২৮), ২৫। সহিদা আক্তার (৪১), ২৬। হোসনে আরা (৫০), ২৭। শাওন ইসলাম (৩২), ২৮। ইয়াসমিন আক্তার (৩৫), ২৯। নার্গিস আক্তার (৩১), ৩০। মোঃ আমান আলী (৬৪), ৩১। মোঃ বাবুল মিয়া (৪৪)। আরো কয়েকজন মালিক আছেন তারা কে কোথায় আছেন তা কেউ জানায়নি।
ভূমিদস্যুরা অনেকে বর্তমানে উল্লেখিত সম্পত্তি ভোগ দখল ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কেনাবেচা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ও নিচ্ছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত প্লট ও দাগের মালিকরা ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় তাদের আত্মসাৎকৃত সম্পত্তি ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদে এক অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ এর প্রাথমিক অনুসন্ধানে এ লোমহর্ষক জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসে। অসহায় ভূমির ওলি ওয়ারিশ ও বর্তমান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা ও তাদের সন্তানরা এ বিষয় নিয়ে বসে থাকবেন না। তারা অচিরেই সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনে দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সমাধানের জন্য জানাবেন এবং আইনি লড়াইয়ের জন্য অগ্রসর হবেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে ন্যায়ের স্বার্থে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ফোন নং-০১৯৮৮৮৮২৮৪৬।