দাঁড়ি থাকায় ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় আড়ংয়ের একটি শো-রুমে চাকরি দেওয়া হয়নি- এমন অভিযোগ হস্ত ও কারুশিল্প ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আড়ং এর বিরুদ্ধে ।
গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন ইমরান হোসাইন লিমন নামের এক যুবক। ভিডিওতে লিমন বলেন- ‘‘সম্প্রতি আমি আড়ং, সেইলর, জেন্টেল পার্কসহ বেশ কয়েকটি শো-রুমে সেলসম্যান পদের জন্য সিভি ড্রপ করি। শুক্রবার আমাকে আড়ংয়ের ইন্টারভিউর জন্য তেজগাঁওয়ে ডাকা হয়। ইন্টারভিউর সময় আমি মাস্ক পরা ছিলাম। সেখানে যারা ছিলেন, আমি তাদের সব প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিয়েছি। ইন্টারভিউর শেষ পর্যায়ে তাদের কথা ও ভঙ্গি দেখে মনে হয়েছে তারা আমাকে নিয়ে নেবেন, তারা আমার কথায় সন্তুষ্ট।
কিন্তু কথা শেষ করে চলে যাওয়ার সময় তারা আমাকে দাঁড়াতে বলেন। তারা হয়তো আমার মাস্কের পাশ দিয়ে গালে দাড়ি দেখতে পান। আমাকে তারা বললেন, ‘মাস্কটা খোলো।’ আমি মাস্ক খুলতেই তারা বললেন, ‘উই আর ট্রুলি স্যরি (আমরা সত্যিই দুঃখিত)।’ আমি বললাম, ‘কেন, কী হয়েছে?’ উনারা বললেন, ‘আপনাকে আমরা কনফার্ম করতে পারছি না। আপনি যদি দাড়িটা ক্লিন শেভ করতে পারেন তাহলে আপনার জবটা আমরা এখানে কনফার্ম করলাম ইনশাআল্লাহ।’
লিমন বলেন, আড়ংয়ের লোকজন আমাকে বলেন, ‘আমাদের আড়ংয়ের রুলস হচ্ছে সেলসম্যানের জব করতে হলে আপনাকে ক্লিন শেভ করতে হবে।’ তাদের এ কথা শুনে আমি হতভম্ব। আমি ফিরে আসার সময় আমি তাদেরকে বলি, তাহলে আমি এই জবটা করবো না। আমি একথা বলে চলে আসছিলাম। তবে আমি আবারও তাদের কাছে ফিরে যাই। তাদেরকে বলি যে, আমি খুবই নিডি (অভাবগ্রস্ত)। আমাকে কি কোনোভাবে চাকরিটা দেয়া যায়? তারা বলে, ‘না এটা আড়ংয়ের রুলসে নাই।’সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে সেই ভিডিও ।
সমালোচনার ঝড় উঠে ফেসবুকে । মঙ্গলবার তেজগাঁও শো-রুমে লিমনকে চাকরি করার অফার দেন আড়ং কর্তৃপক্ষ।
আড়ং কর্তৃপক্ষ সোমবার একটি লিখিত বিবৃতিতে ওই ঘটনার জন্য দু:খও প্রকাশ করেন , ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর যাতে না ঘটে- সে ব্যাপারে তারা সতর্ক থাকবেন বলে বিবৃতিতে জানান।
আড়ংয়ের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা রেদওয়ান আহমদ বলেন, ওই যুবককে ফোন করে চাকরির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিনি চাইলে তেজগাঁও শো-রুমে চাকরি করতে পারবেন। রেদওয়ান আহমদ বলেন, আড়ংয়ের চাকরির নীতিমালায় দাড়ি বিষয়ক কোনো নেতিবাচক শর্ত নেই,সেদিন ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা ছিলেন তাদেরকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রয়োজনে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।