আগামী ১৭ মার্চ যাত্রী নিয়ে সড়কপথে ঢাকায় আসবে এমনই এক ব্যতিক্রমী নৌকা। যেটি নির্দ্ধিধায় রাস্তা ও নদীতে চলতে পারে। এই নৌকায় আছে গাড়ির মত স্টিয়ারিং, আবার নদীতে চলার জন্য পিছনে দুটি পাখা আছে । বিমানের আদলে সিঁড়ি নৌকাতে ওঠার জন্য রয়েছে। গিয়ার, ফলোক্যামেরা, হেডলাইট, ইন্ডিকেটর, এসি ফ্যান, হর্ন ও মিটার বোর্ড ।
হাসিনার ছবি আঁকা। এ নান্দনিক ডিজাইনের নৌকাটি বানিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের পূর্ব চর কলাকোপা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও নৌকা তৈরির কারিগর মো. ইউসুফ। তিন বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমে ১৪-১৫ লাখ টাকা ব্যয় করা এ নৌকাটির কাজ প্রায় শেষ। এখন প্রতিদিনই ব্যতিক্রমী এই উভয় চর নৌকাটি দেখতে ভিড় করছে গ্রামের শতশত মানুষ।
এদিকে ইউসুফের বাবা আবুল কালাম জানান, ১৯৭০ সালের বন্যার পরে স্থানীয় চর পোড়াগাছা গুচ্ছগ্রামে আসেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময় আবুল কালামের বাবা মাটি কেটে ওই কিল্লা স্থাপনে সহযোগী ছিলেন। বাবার মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে তখন থেকেই বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন ইউসুফের বাবা কালাম। নিজের ছেলে ইউসুফও বাবা ও দাদার মতোই একইভাবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন।মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান জাতির জনকের প্রতি ভালোবাসা আর নিজের পরিশ্রমে বানানো নৌকা, জল ডাঙা মুজিব পরিবহন। সর্বপ্রথম বাবা আমাকে ৫০ হাজার টাকা হাতে তুলে দিয়ে নৌকা তৈরির জন্য অনুপ্রেরণা দেন। স্থানীয় মো. করিম ও মো. আলাউদ্দিনের সহযোগিতার পাশাপাশি আমার স্ত্রীও সব সময় নানাভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, জানিয়েছেন নৌকার কারিগর ও মালিক ইউসুফ।
আওয়ামী লীগের প্রতি প্রবল ভালোবাসা ইউসুফের। নৌকাটি নির্মাণে ২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরু করেছিলো ইউসুফ। দিনের বেলায় নিজের কাজ শেষে রাত জেগে নৌকা তৈরি করেছিলেন , জানায় স্থানীয়রা।সারাজীবন মানুষের নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত ছিলো মো. ইউসুফ মিস্ত্রী ও তাদের পরিবার। নিজেদের কোনও নৌকা না থাকলেও স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। তিনি সেজন্য সকলের সহযোগিতা চান।