কালো রংবাজের ষাঁড়টি ওজন ২৫ মণ। আর বিন্দাসের ওজন সাড়ে ২৩ মণ।
ষাঁড় দুটি নাম কালো রংবাজ ও বিন্দাস। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় আলোড়ন তুলেছে ফিরোজার খামারের এ দুটি ষাঁড়। আসছে কোরবানি উপলক্ষে ৩০ লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে ষাঁড় দুটির।
দুই বছর আগে স্থানীয় হাট থেকে কালো রংবাজকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় এবং ১ বছর আগে বিন্দাসকে ২ লাখ টাকায় কিনে আনেন ফিরোজা।ফিরোজা, ছেলে রহমান ও মেয়ে রূপা রংবাজ ও বিন্দাসকে নিয়েই যেন সারাদিন ব্যস্ত। শ্যাম্পু দিয়ে গোসল থেকে শুরু করে খাবার তৈরিসহ নানা কাজ করেন ধাপে ধাপে। কালো রংবাজের রংবাজিও দেখার মতো।খামার মালিক ফিরোজা বলেন, কালো রংবাজ ও বিন্দাসকে নিয়মিত আপেল কমলা খাওয়ানো হয়। আপেল-কমলা ওরা খুব পছন্দ করে। এদের লালন-পালন অনেক ব্যয়বহুল। কালো রংবাজের ওজন ২৫ মণ। আর বিন্দাসের ওজন সাড়ে ২৩ মণ। আমি দুইটার দাম যাচ্ছি ৩০ লাখ। এই দামে বিক্রি করতে পারলে আমার খরচ ওঠাসহ বেশ লাভও হবে।
রংবাজিতে কালো রংবাজ সেরা। আর বিন্দাস শান্ত। রংবাজি করেই এলাকায় সৃষ্টি করেছে আলোড়ন। দিনভর কালো রংবাজ ও বিন্দাসকে দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় এবং দূর-দূরান্তের নারী-পুরুষ।
কয়েকজন জানান, গরু দুইটা অনেক সুন্দর ও বেশ বড়। তারা যত্ন করে কালো রংবাজ ও বিন্দাসকে বড় করেছে।হলেস্টার ফ্রিজিয়ান জাতের কালো রংবাজ ও বিন্দাসকে হরমোন ছাড়াই দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করার কাজে বিভিন্ন পরামর্শ দেয় উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার গৃহবধূ ফিরোজার খামারে বড় হওয়া কালো রংবাজ ও বিন্দাসের ওজন মোট ১ হাজার ৯২০ কেজি। এছাড়াও ৭০ কেজি ওজনের রকি নামে একটি রাম ছাগলও রয়েছে ফিরোজার।