দেশে গত বছর জুন-জুলাই মাসে করোনার সংক্রমণের প্রথম ঢেউ ছিল বেশ তীব্র। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। প্রথম ঢেউয়ের শনাক্তের চেয়ে দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই দৈনিক রোগী শনাক্ত বেশি হচ্ছে।
প্রতিদিন দেশে ভাইরাসে শনাক্তের নতুন রেকর্ড হচ্ছে। মৃত্যুও বাড়ছে। গত বছরের মার্চে সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এতটা খারাপ পরিস্থিতি আর দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের ২৫ জুন থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিন সংক্রমণ বেশি ছিল। সে সময় দৈনিক গড়ে ৩ হাজার ৭০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গড়ে দৈনিক মৃত্যু হয় ৪১ জনের।
সাধারণ মানুষ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি।পড়ছেন না ঠিক মতো মাস্ক ,সামাজিক দুরুত্ব মানছে না। পর্যটকদের জায়গা গুলোতে বাড়ছে জনসমাগম । কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন , সাফারি পার্ক ,সাজেক বেলী ,বান্দরবন ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যটক জায়গা গুলোতে মানুষের উচ্ছে পড়া ভিড়। বিয়ে বাড়ি বিভিন্ন ধরণের গণসমাবেশ এ মানুষের বাড়ছে যাতায়াত। করোনা মোকাবেলাই সাধারণ মানুষ সচেতন না। শপিং মল গুলোতে উচ্ছে পড়া ভিড়। দেশে হটাৎ করোনা নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। সনাক্তের সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুন এবং মৃত্যু ছাড়িয়েছে অনেক। হাসপাতাল গুলোর আই সি ইউ খালি নেই। এ পরিস্থিতিতে সরকার করোনা নিয়ন্ত্রনে লক ডাউন দিতে বাধ্য হয়েছে । কিছু টা হলে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
তা না হলে পরবর্তীতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।এজন্যই সরকার বাধ্য হয়েছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন দিতে ।