গাড়ি না বাড়িয়েই অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনায় ভোগান্তিতে মানুষ । বন্ধ হয়নি সভা-সমাবেশ, বইমেলাসহ সামাজিক অনুষ্ঠান । নেওয়া হলো মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা।মানা হচ্ছে না জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নির্দেশনা ও ।
দেশে দ্রুত বাড়তে থাকা করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে অবিলম্বে বইমেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্রসহ যে কোনো ধরনের সমাবেশ বন্ধে সুপারিশ করেছে কভিড-১৯বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সব ক্ষেত্রেই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দেয় তারা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, চলছে বইমেলা। বন্ধ হয়নি সামাজিক আচার অনুষ্ঠানও। হাটবাজার, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চলছে আগের মতোই। কোথাও বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির। এ নিয়ে রাজধানীতে ভোগান্তিতে পড়া মানুষের চলছে বিক্ষোভ।
সরকারি চাকরির পরীক্ষাও চলছে। গতকাল মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাও হয়েছে যথারীতি। পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবার ভিড়ে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক।গতকাল রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচিতেও মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। সবখানেই সমন্বয়হীনতা। মানা হচ্ছে না জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির নির্দেশনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। হাসপাতালগুলোয় আইসিসিইউর তীব্র সংকট। দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। সেগুলো বাস্তবায়নের সঙ্গে অনেক মন্ত্রণালয় জড়িত। সরকারের বিভিন্ন দফতরে চাকরির পরীক্ষা নিয়েও চলছে যাচ্ছেতাই। কোনো কোনো মন্ত্রণালয় বা অধিদফতর পরীক্ষা বাতিল করেছে। আবার কোনো কোনোটি পরীক্ষা গ্রহণ করছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোগ প্রতিরোধের জন্য অবিলম্বে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, বইমেলা ও অন্যান্য মেলা বন্ধ করা দরকার।সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্প্রতি যে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে তা কার্যকরের জন্য বাস্তবায়ন কর্মসূচি বা প্রস্তুতির জন্যও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রয়োজন বলে এ কমিটি মনে করছে।