শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে আপনাকে গ্রাস করে রাখবে ক্লান্তিভাব, ত্বক, চুল এবং নখের উপর তার প্রভাব পড়বে৷ ক্লান্ত থাকার পাশাপাশি গরমের মধ্যেও শীতভাব অনুভব করবেন, ফ্যাকাশে দেখাবে৷ কমবে আপনার প্রতিরোধক্ষমতা, নিউরোলজিকাল কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হবে না৷ সেই সঙ্গে ডাক্তার ও প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে৷ একটু সচেতন হলেই কিন্তু শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমানো সম্ভব৷ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সামান্য রদবদল আনুন, তাতে সমস্যা কমবে৷
যে খাবার গুলো খেয়ে আয়রণের ঘাটতি কমানো সম্ভব সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন:
ভিটামিন সি: রোজের খাদ্যতালিকায় যেন প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাতে শরীরের আয়রন শোষণের মাত্রা বাড়বে৷ লেবু, আনারস, আম, আমলকী থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি মিলবে৷
বাদাম: হেজ়েলনাট, কাজুবাদাম, আখরোট, আমন্ড, কিশমিশ খান৷ সেই সঙ্গে কুমড়ো আর তিসির বীজ রাখুন খাদ্যতালিকায়৷ বিকেল বা সন্ধের দিকে কখনও খিদে পেলে এগুলি দিয়ে মুখ চালাতে পারেন৷
শাকপাতা: বাঁধাকপি, পালং, মেথিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে৷ যাঁরা সবজি খেতে ভালোবাসেন না বা কেটেকুটে রান্না করার সময় নেই, তাঁরা এগুলি স্যালাড হিসেবে খেতে পারেন, স্মুদিও খাওয়া চলে৷
ডাল: কালো ছোলা, রাজমা, কাবুলি ছোলা, সোয়াবিনের দানাতেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে৷
মাংস: যাঁরা নন ভেজ খাবার খান, তাঁরা যে কোনও ধরনের লাল মাংস খেতে পারেন৷
লৌহযুক্ত খাবার: শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি।
ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।