মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান: হযরত ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা রাসূল (সাঃ) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোর বেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে (পা দিয়ে) নাড়া দিলেন এবং বললেন মা মনি ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হইও না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যেই রিজিক বন্টন করে থাকেন। (সহীহ আত তারগিব হাদিস নাম্বারঃ ২৬১৬)।
এমন মানুষের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে যে কিনা দুই আয়াত কোরআন পড়েন নাই তার মানে জানেন না কিন্তু পবিত্র ইসলামের ঘোর বিরোধী তিনি। আগে জানুন তারপর বিরোধিতা করুন। মরলে তো আপনাকে জানাজা ই দেয়া হবে, কবরেই রাখা হবে, কুলখানি চল্লিশা করবে আপনার আত্মীয়রা।
অনেক মানুষ ইসলামি পোস্টে কমেন্ট করেন না।
ফজরের নামাজ আদায়ের পর ঘুমানো আজকাল অনেকেরেই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শহরের মানুষের এই অভ্যাস তো নিত্যদিনের। আগেকার সময়ে মানুষ সাধারণত ফজরের পরে ঘুমাতো না। ফজর নামাজের পর তারা হয়তো কোরআন তেলাওয়াত করতো জিকির-আজকার করত কিংবা বই পড়তো বা পড়াশোনা করতো। অথবা নিজ নিজ কাজে বের হয়ে যেত ইসলামের শিক্ষা ও মূলত এটাই।
আজকাল মহিলারা সকালের নাশতায় উপস্থিত থাকেন না ঘুমিয়ে থাকেন আল্লাহর লানত মাথায় নিয়ে।
রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে এশার পর তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতে বলেছেন, আর সকালবেলা আমাদের মধ্যে বরকতের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেছেন। তাই অধিক রাত্রি পর্যন্ত জাগ্রত না থেকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া আমাদের রাসূল (সাঃ) এর একটি সুন্নত।যাতে ফজরের পর ঘুমিয়ে বরকত থেকে বঞ্চিত হতে না হয়।
হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছেঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন→ এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার নামাজের পর অপ্রয়োজনীয় অহেতুক গল্প গুজব করতে অপছন্দ করতেন (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫১৪)।
ফজরের পরে সময়টাতে রাসূলে পাক (সাঃ) তার উম্মতের জন্য বরকতের দোয়া করেছেন। প্রিয় নবী (সাঃ) ভোরবেলায় কাজে বরকতের জন্য দোয়া করেছেন। হযরত সাখার আল-গামেদি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) এ দোয়া করেছেন, হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুতে বরকতময় করুন। (আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ২৬০৬)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তার এক সন্তানকে ভোরবেলায় ঘুমোতে দেখে বলেছিলেন!ওঠো তুমি কি এমন সময় ঘুমিয়ে আছো, যখন রিজিক বন্টন করা হয় (সূত্র যা’দুল মাআ’দ ৪/ ২৪১)।
সুতরাং আমরা এশার পর বিশেষ করে বাড়িতে কোন কাজ না থাকলে বা মেহমান না থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাব কিছুক্ষণ স্ত্রীর সাথে গল্পগুজব করা যেতে পারে তবে অহেতুক কোন গল্পগুজব করব না।স্ত্রী চাইলে সারারাত জেগে থাকুন, না হয় তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে আধা রাত জাগুন । ফজরের নামাজ আদায় করে কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকার করব তারপর না ঘুমিয়ে হালাল রিজিকের অন্বেষণে বেরিয়ে পড়বো।
আল্লাহ পাক কবুল করুন।