মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান: মানব জীবন বিচিত্র বিস্তৃত বিস্তর শাখা-প্রশাখায়। সামান্য ক’দিনের বিচরণ,বিচিত্র আচরণে চিত্রিত মানুষের জীবনকাব্য । মানুষ দুই প্রকার, পুরুষ এবং নারী। আপনার ভালো না লাগলেও পড়েন উপকার হবে। পুরুষ এবং নারীর খাচলাত এক নয়। এক জাতের খাচলাত কাজকর্ম আরেক জাতের মধ্যে সংক্রমিত হলে আর রক্ষা নাই। দাবানলের মত ছারখার হবে দুনিয়া এটা নিশ্চিত। বন্যেরা বনেই সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। পুরুষ বন্য প্রাণী। নারী পুরুষের জন্য ঘরকে প্রাকৃতিক বাগানে পরিণত করবে এটাই পবিত্র কোরআন এবং হাদিসের শিক্ষা।
সন্যাস জীবনেও পুরুষ নিরাপদ কিন্তু নারী ‘ফুটফুটে সুন্দর’। সন্যাস জীবনে নারী নিজে তার সচ্চরিত সংরক্ষণ করতে পারেন না। এটাই ই বাস্তব। চরিত্রহীন নারীকে বেশ্যা বলা হয় কিন্তু পুরুষের কোনো চরিত্র ই নাই। যার কোনো পরিচয় ই নাই তার আবার চরিত্র কি! তাকে কোনো উপাধিতে ই ভুষিত করা যায় না।
পুরুষ সুযোগ পেলেই ‘ফুটফুটে সুন্দর’ হয়ে যাবে। নারীর কাজই পুরুষদের আকৃষ্ট করে নিজের দিকে মনোযোগী করে রাখা। নারী বেশ্যা না হয়ে নিজের স্বামী ও রাখতে অক্ষম। নিজের স্বামীর জন্য যে নারী বেশ্যা হয় সেই নারী ই হচ্ছে জান্নাতি নারী।
৷ পতিতালয়ের নারীরা নাকি সেজেগুজেই থাকেন। আমি পতিতালয়ে যাই নাই, কাওসারের কাছে শুনেছি। কাওসার কে ভারতের এক পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিল স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়। যে পতিতা কাওসারকে ক্রয় করে নিয়েছিলেন তিনি ছিলেন কাওসারের মা। মা তাঁর নিজের সন্তান কে চিনতে পেরে আর শারিরিক কর্ম করেন নাই। পরে সীমান্ত পার ক’রে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান।এপার এসে কাওসার জানতে পারে তিনি ছিলেন কাওসারের আপন মা। সে গল্প আগে লিখেছিলাম।
তাহলে সেখানে তাঁরা কেন সাজেন? নিশ্চয়ই পুরুষদের আকৃষ্ট করবার জন্য ! তখন তো তাঁরা স্বাধীন, না সাজলেও পারেন !
আসলে এমনই সৃষ্টি। পুরুষের কোনো চরিত্র নাই। ঐ এক জায়গায়, তা হচ্ছে নারীর উদার উষ্ণ বক্ষ আর কমল হস্তদ্বয়ে।
আজকাল নারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুরুষদের শারিরীক যাদু দেখায়। আরে ভাই পুরুষ খুব বাস্তববাদী। নিজেদের ধ্বংস করতে চাচ্ছেন বাস্তবেই তো করছেন। মাধ্যমের প্রয়োজন কি?
বাইরের ব্যস্ততায় একজন পুরুষ কে আরো দায়িত্বশীল আর উদার বানায়, জ্ঞানী ক’রে তোলে শক্ত শক্তিশালী বানায় আর বাইরের ব্যস্ততায় একজন সুযোগ্য নারীকেও অযোগ্য ক’রে তোলে ধীরে ধীরে।অধৈর্য ক’রে তোলে। অসম্পূর্ণ ক’রে তোলে। বেহিসেবী ক’রে তোলে।খিটখিটে মেজাজী হয়ে যায় । তাঁর চেহারার বরকত কমে যায় । কারণ বেপরোয়া বেপর্দা বেহিসেবী বহির্মুখী বহির্গামী নারীকে ফুটফুটে সুন্দর পুরুষেরা মনে মনে চাটে। বহুজনে বহু দিন বহুবার চাটতে চাটতে তাদের আসল সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। আকর্ষণ থাকে না।
ঘরের ব্যস্ততায় এক জন পুরুষ কে ভিখারী বানায়। ঘরের ভিতরের যে কোনো কাজকর্ম একজন পুরুষ কে হীনমন্য ক’রে তোলে, হীনমন্যতায় ভোগায়, দুর্বল করে তোলে। ধীরে ধীরে মন ছোট হয়ে যায় পুরুষের। ছোট মনের একজন মানুষ ধীরে ধীরে স্ত্রী কেও ছোট ক’রে দেখতে শুরু।যে নারী তার পুরুষটিকে সমাজের কাছে ছোট বানায় সে নারী আদতে নিজেরই ক্ষতি করলো কারণ ছোটলোক তো কখনোই আরেকজনকে বড়লোক মনে করবে না কারণ সেতো ছোটলোক। ধীরে ধীরে ছোটলোক স্বামী তার বড়লোক স্ত্রী কে ও ছোটলোক হিসেবে গন্য করতে থাকে। তখনই স্ত্রী আহত হতে থাকে। তখন আর তার চিকিৎসা দেয়া যায় না । এভাবেই আল্লাহ পাক মানুষ তৈরী করেছেন।দুই জাতের চরিত্র দুই রকম করেই সৃষ্ট।
পুরুষ বাসা বোনে অন্যের জন্যে। হন্যে হয় অন্যের জন্যে। পুরুষের নিজের কোনো বাসা নাই সে অন্যের বাসায় থাকে অন্যের বাসায় ডিম পাড়ে। পুরুষের নিজের কোনো ভাণ্ড-ভাণ্ডার নাই, তারা অন্যের ভাণ্ড ভাণ্ডারে জমা করে, উৎপাদন করে, বৃদ্ধি করে।
পুরুষের বহু গোপন পাখা আছে। পুরুষের বহু ঠ্যাং কিন্তু হাত মাত্র দুটি। আপনাকে বুঝতে হবে।
পুরুষের বসবাস – ডালপালা শক্ত মজবুত না হ’লে তারা শক্ত শক্তিশালী ডালপালা কাণ্ডজ্ঞানী কাণ্ডারী খুঁজতে খুঁজতে অজান্তেই অজানায় গমন করে। আল্লাহ পাক এমনই তৈরী করেছেন।
পুরুষের নাকে গোপন লাগাম আছে। নারী হচ্ছে পুরুষের সওয়ার। সে পুরুষের পিঠে চড়ে উপুড় হয়ে চলবে যেন গায়ে বাতাস না লাগে । নারীর বুকের উষ্ণতায় পুরুষের পিষ্ঠ উষ্ণ হবে এবং আরো গতি বাড়াবে পুরুষ কিন্তু নাকের লাগাম ধরে নারী টান দিতে পারবে না । টান দিলে লাগাম ছিড়ে নীচে পড়ে যাবে আর পুরুষ উড়ে চলে যাবে।এমনই সৃষ্ট দুই জাত।
পুরুষের নাকের গন্ধ শক্তি অনেক বেশী।একটি মাত্র গন্ধে পুরুষ সন্তুষ্ট থাকে না ব’লে নারীর শরীরে ৬ টি সুগন্ধি দান করেছেন আল্লাহ পাক। নারী সেই সুগন্ধি এক পুরুষে ঢালবেন যদি সংরক্ষণ করতে পারেন।ঐ সুগন্ধি বরাদ্দ শুধুমাত্র জান্নাতি নারীর জন্য । একজন জান্নাতি পুরুষ জান্নাতি নারীর শরীরের ৬ টি স্থান থেকে সুগন্ধি খুঁজে নিতে পারেন। নারী ব্যর্থ হ’লে সে সুগন্ধি দিতে পারে না। সেই সুগন্ধি খুঁজে না পেলে কোনো ভালো পুরুষ সেই নারীর সঙ্গে থাকেন না।
এসব কথা আমি সনি কে ভালো করে বুঝিয়ে বলেছি। সনি আমার আপন বোন, একমাত্র বোন। পিতা হারা সনিকে আমরাই মানুষ করেছি।বিয়ের পর তাকে বলেছি————–
আজ থেকে আপনি আপনার ভাইদের কাছে মৃত। আপনাকে স্বর্গে পাঠালেও পাঠিয়েছি আর ‘ঝোলারে দিলেও দিছি’। ঝোলার অর্থ আপনি পটুয়াখালীর মানুষের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন ভালো করে।
বলেছি যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার গায়ে হাত তুলবে না স্বামীর বাড়ির মানুষেরা, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার স্বামীর বাড়ির নালিশ আমাদের কাছে করবেন না। আমাদের বাবা ছিল না। সনিকে আমরাই মানুষ করেছি। আজও সে আমাকে অনুসরণ করে।আমাকে বিশ্বাস করে । সে অসাধারণ মেয়ে। আমার বোন বলে বলছি না। সে পরচর্চা পরনিন্দা থেকে মুক্ত রেখেছে নিজেকে ।

পরকালের পথ আলোকিত করতে সাহায্য করে এই নারীরাই। এই জমানায় উত্তম মানুষের সংখ্যা কম। উত্তম চরিত্রের মেয়ে ও বিরল।
ভালো থাকবেন সবাই ইনশাআল্লাহ। এই দোয়া ই করি যখনই মনে পরে আপনাদের কথা, আমার ফেইসবুক দুনিয়ার বন্ধুদের কথা তখন দুঃশ্চিন্তা ভর করে মাথায়। কি হবে আমাদের! হায় — আমার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তো দোয়া করি সবসময়।
সবাই যেন আল্লাহর কাছে কোরআন চায়।