শারীরিক আকৃতিতে ছোট হওয়ায় তাকে সবাই ‘শিশুবক্তা’ বলেন । শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি কিন্তু শিশু নন। জানা যায়, রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম ২০ দলীয় জোটভুক্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও রাবেতাতুল ওয়ায়েজিনের সঙ্গে যুক্ত আছেন । বৃহস্পতিবার মোদির সফরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে আটক হয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন রফিকুল ইসলাম। অবশ্য রাতেই রফিকুল ইসলামকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এক ওয়াজ মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারির সমালোচনা করে তার প্রকৃত বয়স উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখা হয়। আজহারি সাহেবের দ্বারা যদি ইসলামের খেদমত হয় তাহলে আমার কোনো আপত্তি নাই। আজহারি সাহেব ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, আর আমি ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছি। এখনো আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন? আমাদের বয়স মাত্র তিন-চার বছরের ব্যবধান। আল্লাহ তাআলা বানাইছে। দেখতে এমন লাগে। আমার করার কিছু আছে? এজন্য আমি শুকরিয়া আদায় করি।
নিজের পড়াশোনা নিয়ে বলেন, আমি ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে বাংলা ইংরেজি অঙ্ক পড়েছি ও শিখেছি। তারপর ক্লাস সিক্স পর্যন্ত স্কুলে পড়েছি। এরপর মাদ্রাসায় ভর্তি হই। নূরানিতে পড়েছি এক বছর। আল্লাহর রহমতে দুই বছরে হেফজ শেষ করেছি। এখানে তিন বছর, আগের ১২ বছর মোট হলো ১৫ বছর। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েছি। কেন বলতেছি এগুলা? ইউটিউবে আমার নামে এতো মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। আমি নিজেকে জ্ঞানী মনে করি না।