দীর্ঘ ২৬ দিন পর সম্প্রতি জেল হাজত থেকে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি! এর পরেও ঢাকার গোয়েন্দা বিভাগ এবং নিজের অনুগামীদের বিরুদ্ধে একের পর এক বার্তায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তিনি।

কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে পরীমণি বলেন, তাঁর ফোন থেকে সমস্ত ভিডিও নেট মাধ্যমে ফাঁস করে গোয়েন্দা বিভাগ। ব্যক্তিগত জীবনের কোনও ঘটনা এভাবে সর্বসমক্ষে ফাঁস করার অধিকার তাদের নেই। এরপরেই সংবাদমাধ্যমকে পরীমণি বলেন, ২৬ দিন জেলে থাকাকালীন সময়টা তাঁর কাছে দুঃস্বপ্নের মতন। তবে সেটা দুঃস্বপ্ন বলেই তিনি ভুলে যেতে চান। আবার কাজে ডুবে যেতে চান। তবে জীবনের ওই ২৬ দিন তিনি বহু কিছু শিখেছেন। যা আজীবন মনে রাখতে চান পরীমণি।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর বহু অনুগামী এবং বাংলাদেশের পরিচিত মুখেরা আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিল। অন্যদিকে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁরাই আবার ভালবাসি, মিস করেছি এই ধরনের বার্তা লিখেছেন।
অবাক হয়েই পরীমণি সাফ জানান, ‘এইধরনের ভালবাসা আমার চাই না।’ একইসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘দুঃস্বপ্নের ডিউরেশনটা একটু লং। ২৭ দিন হয়ে গেছে, টেরই পাইনি। ২৭ দিন ঘুমে ছিলাম, এটাকে দুঃস্বপ্ন মনে করছি। যাঁরা আমার মুক্তির জন্য রীতিমতো লড়াই করেছেন, তাঁরাই আসলে আমাকে ভালবাসে। তাঁদের অবদান আমি সারাজীবন মনে রাখব। তাঁদের সকলকে আমরা প্রণাম।’

কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর পরীমণি আরও বলেন, তাঁর বাসা নিয়েও বহু সমস্যায় তিনি জর্জরিত। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ঘরে ঢোকার আগে বাড়িওয়ালার থেকে ঘর ছাড়ার নোটিশ পেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বাড়ির আশেপাশে সাংবাদিক এবং পুলিশের ভিড় যেভাবে জমছে, তাতে অত্যন্ত বিরক্তও প্রকাশ করেছেন।
পরীমণি ক্লান্তির সুরেই বলেছেন, ‘এই বাড়িতে শুধু আমি থাকি না। অন্য অনেক পরিবার থাকেন। তাঁদের এ ভাবে নিয়ত বিরক্ত করার অধিকার কারওর নেই। এ ভাবে চারদিক থেকে আমায় ঘিরে ধরা হচ্ছে! আমি আর পারছি না !’ – আজকাল