টেক্সাসের ভ্যান হর্ন শহরে ব্লু অরিজিনের কার্যালয় থেকে ২০ জুলাই ফ্লাইটটি মহাকাশে যাবে।
১১ মিনিটের জন্য মহাকাশে যাবেন মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা এবং অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) জেফ বেজস। সাব অরবিটাল স্পেস ট্রিপে নিয়ে যাবেন আরও কয়কেজন নভোচারী। এজন্য খরচ পড়বে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গেল মাসেই টিকিটের নিলামের ব্যবস্থা করেছিল অ্যামাজান। তখনও কেউ জানতেন না, খোদ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস আর তার ভাই মার্ক বেজসও যাবেন নিউ শেফার্ড রকেটে করে এই অভিযানে।
ব্লু অরিজিনের বিক্রয় প্রধান আরিয়ানে কর্নেল জানান, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় ১৫৯টি দেশ থেকে ৭ হাজার ৬০০ মানুষ নিবন্ধন করেছিলেন। শনিবারের (১২ জুন) নিলামে অংশও নিয়েছিলেন অনেকে। তবে নিলামে কে জিতেছেন, সেটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। টেক্সাসের ভ্যান হর্ন শহরে ব্লু অরিজিনের কার্যালয় থেকে ২০ জুলাই ফ্লাইটটি মহাকাশে যাবে।
রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০০ সালে। গেল এক দশকের সবচেয়ে দুর্দান্তভাবে নিউ শেফার্ড রকেট তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ৬০ ফুট উচ্চতার এ রকেট আর ক্যাপসুল সিস্টেমটিই পাড়ি দেবে মহাকাশে। ২০১৫ সাল থেকে ক্রু ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে ১৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে নিউ শেফার্ড। এবারই প্রথম স্বাধীন এ মহাকাশযান মানুষ নিয়ে যাবে মহাকাশে। সাধারণ মানুষের কাছে টিকিট বিক্রি করাই ছিল কোম্পানির লক্ষ্য। পৃথিবী থেকে ৬২ মাইল ওপরে উঠবে নিউ শেফার্ড। মানুষ দেখবে মহাকাশ। আন্তর্জাতিকভাবে মহাশূন্যের আগে এই উচ্চতাই সর্বোচ্চ। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এটি ৫০ মাইল নির্ধারণ করে দিয়েছে।
নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ চলে যাবে ব্লু অরিজিন ক্লাব ফর ফিউচারে। তরুণ শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিতে শিক্ষা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ভার্জিন গ্যালাটিক কিংবা স্পেস এক্সের টিকিটের চেয়ে নিউ শেফার্ডের টিকিটের দাম অনেক বেশি। মহাকাশ অভিযানের জন্য ব্লু অরিজিন ৬০০ টিকিট বিক্রি করেছে ২ থেকে আড়াই লাখ টাকায়।
ইলন মাস্কের স্পেস এক্স তো অরবিটাল ট্রিপের জন্য অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। তার ট্রিপে স্পেসে মানুষের থাকার ব্যবস্থা থাকবে। থাকতে পারবেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনেও। এতে খরচ পড়তে পারে ৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
সূত্র: সিএনএন
সংগ্রহীত