অর্থের বিনিময়ে পর্যটকদের মহাকাশ ভ্রমণে নিয়ে যেতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা করছিল ভার্জিন গ্যালাক্টিক। অবশেষে চূড়ান্ত বাধাটি অতিক্রম করল তারা। ফেডারেল সরকারের অনুমতি পেল ব্রিটিশ-আমেরিকান স্পেসফ্লাইট কোম্পানিটি। ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন নিউ মেক্সিকো থেকে গ্রাহকদের সরাসরি মহাকাশ ভ্রমণে নিয়ে যেতে পারবে।
সম্প্রতি রিচার্ড ব্র্যানসনের মালিকানাধীন এ মহাকাশ সংস্থা ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) লাইসেন্স পেয়েছে। তবে গ্রাহকদের জন্য মহাকাশ ভ্রমণের দরজা খোলার আগে আরও কিছু কাজ বাকি আছে ভার্জিন গ্যালাক্টিকের।
আপাতত এ গ্রীষ্ম ও শরতে তারা আরও তিনটি মহাকাশ যানের পরীক্ষামূলক যাত্রা করবে। সেগুলো ঠিকঠাকভাবে উতরে গেলেই শুরু হবে যাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিক মহাকাশ যাত্রা। যদিও এ যাত্রাগুলো হবে স্বল্প সময়ের জন্য। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের শুরুতেই যাত্রী পরিবহন শুরু করতে পারবে সংস্থাটি।
এরই মধ্যে ব্লু অরিজিনের মালিক জেফ বেজোস ঘোষণা দিয়েছেন, নিজের প্রতিষ্ঠানের রকেটে আগামী ২০ জুলাই টেক্সাস থেকে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। অবশ্য সেটি কোনো বাণিজ্যিক ভ্রমণ হবে না। বেজোস তার ভাই ও দুজন সঙ্গীসহ সেদিন মহাকাশে যাবেন। এদের মধ্যে একজন বেজোসের সঙ্গী হতে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে নিলামে জয়ী হয়েছেন। অবশ্য এ সঙ্গী দুজনের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
গত মে মাসে ভার্জিন গ্যালাক্টিকের সর্বশেষ ফ্লাইটটি মহাকাশে যায়। সে সময় তাদের সব প্রস্তুতি ঠিকঠাক থাকায় এফএএর অনুমোদন পায় সংস্থাটি। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনের লাইসেন্স পেল তারা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল কলগ্লাজিয়ের এক বিবৃতিতে বলেন, ২২ মে তারিখের ফ্লাইটটি সফলভাবে পরিচালনা করার কারণেই এফএএ আমাদের অনুমোদন দিয়েছে। এখন প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইটটিও সফলভাবে পরিচালনার ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী আমরা।
ভার্জিন গ্যালাক্টিকের বাহনে চড়ে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য এরই মধ্যে ৬০০-এর বেশি মানুষ আসন সংরক্ষণ করে রেখেছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিজনের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে আড়াই লাখ মার্কিন ডলার। তবে এ দাম আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
সংগ্রহীত