নবীজির প্রথম স্ত্রী বিধবা ছিলেন। (একবার না, তার ২ জন হাজবেন্ড মারা যায়) নবীজির মেয়ে ডিভোর্সি ছিলেন।
নবীজির একমাত্র কুমারী স্ত্রী উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রাঃ) অল্প বয়সের হওয়া সত্ত্বেও কোনো সন্তানের মা হতে পারেনি।
উম্মুল মু’মিনীন খাদিজা (রাঃ) ৪০ বছর বয়সে বিয়ের পরও ৬ সন্তানের মা হতে পেরেছিলেন। নিঃসন্দেহে গোটা পৃথিবী এখনো ‘সিংগেল মাদার’ কনসেপ্ট মেনে নেয়ার মত যথেষ্ট আধুনিক সামগ্রিকভাবে হতে পারেনি। ইসলামে সিংগেল মাদার কোনো অসম্মানের ব্যাপার না।
ইসলামের অনেক বড় বড় স্কলার এর মা ‘সিংগেল মাদার’ ছিলেন। হযরত মরিয়ম (আঃ) এর জীবনী, সাফা এবং মারওয়া পাহাড়ে ৭ বার পানির খোজে ছুটে বেড়ানো হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর স্ত্রী হাজেরার (pbuh) কাহিনী কিংবা সন্তানকে সিন্দুকে ভরে পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হযরত মূসা (আঃ) এর মায়ের কথা সবার জানা। আল্লাহ কেনো এসব কাহিনী বর্ণনা করেন?এই নারীদের একক দায়িত্ব নেয়ামত হিসেবে তাদের মানসিক এবং আত্মিক শক্তির প্রতিনিধিত্ব করে। এগুলা সব ই নেয়ামত! গিফট!ডিভোর্সি, বিধবা, নিঃসন্তান, বয়ষ্ক বিবাহ, সিংগেল মাদার. এসব কোনো অবস্থাতেই একজন মেয়ের জন্য অপমানজনক কিছু না। বরং ইসলামে অপছন্দনীয় হওয়া সত্ত্বেও ডিভোর্সের অধিকার কারো কারো জন্য একটি নেয়ামতও হতে পারে যদি সে একটা টক্সিক রিলেশনের মধ্যে থাকে যেখান থেকে বের হওয়া টা জরুরী হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের সমাজের প্রশ্নবোধক চিহ্নগুলো এত বিষাক্ত যে আমরা মানুষের ব্যক্তিজীবনকে মাঝেমাঝে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে ফেলি। একটু আধুনিক হওয়া প্রয়োজন সবার যেখানে ডিভোর্সি, বিধবা, নিঃসন্তান, বয়ষ্ক বিবাহ, সিংগেল মাদার টার্মগুলো শুনলেই চোখ-মুখ জিজ্ঞাসু হয়ে উঠবে না। একজন মেয়ের সম্মানের সাথে এসব টার্ম জড়িত না। কোনোভাবেই না।
(সংগ্রহীত)