আজ পবিত্র শবে বরাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি ইবাদত বন্দেগিতে কাটান ধর্মপ্রিয় মুসলমানরা। ভাগ্য রজনীতে প্রথম আকাশে এসে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফসহ সব ধরনের দোয়া কবুল করেন।
বান্দার গুনাহ মাফসহ সব আবেদন কবুল করতে ১৪ শাবান সূর্যাস্তের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহ তায়ালা দয়ার দৃষ্টিতে প্রথম আকাশে অবস্থান করেন।বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের গভর্নর ড. কাফীলুদ্দিন সরকার সালেহী বলেন, এ রজনীতে আতশবাজি, বিশেষ খাবার তৈরি করা ইসলাম সমর্থন করে না। আমরা এসব কার্যক্রম থেকে দূরে থাকব।
মসজিদের ইমাম বলেন, শবেবরাত নফল ইবাদত। যে জন্য যারা অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিরা মসজিদে আসবেন না। আর যারা আসবেন তারা অবশ্যই মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।
দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসের ১৪ তারিখ মধ্যরাতে জান্নাতুল বাকীর কবরস্থানে গিয়ে দোয়া করেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) হাদিসে এসেছে, এ রাতে শিরককারী ও অহংকারী ছাড়া সব ধরনের পাপ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন।
আল্লাহর যাদের ক্ষমা করেন না :এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য সনদ বা বর্ণনাসূত্রে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত সাহাবি মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তাঁর সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৫৬৬৫)