মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান: গৃহিণী বা Housewife নন, ঘরের রাণীঃ
আলহামদুলিল্লাহ, কত সুন্দর এই ইসলাম।
আরবিতে গৃহিণীকে বলা হয় ‘রব্বাতুল বাইত’ অর্থ : ঘরের পরিচালিকা, প্রতিপালিকা, অভিভাবিকা।
একজনে লিখেছেন, প্রেম করার জন্য মেয়ের অভাব না হলেও সংসার করার জন্য মেয়ের অভাব রয়েছে। প্রেম করা যায় এমন সকল মেয়েই সংসারী হতে পারেনা, কিন্তু সংসারী প্রত্যেকটা মেয়েই প্রেমময়। সংসারী বলতে কী বুঝায়?
যে পুরুষ প্রেমময় দ্বীনদার স্ত্রী পেলেন না সে পুরুষ দুনিয়াতেই জাহান্নাম ভোগ করলেন, তা সে স্বীকার করুন আর নাই করুন।
ইসলাম একজন মুসলিমাহকে ঘরের রানী হিসেবে সাব্যস্ত করেছে এবং তার জন্য জান্নাতকে সহজ করে দিয়েছে।প্রেমময় নারী ই স্বামীর জন্য জান্নাতী উপঢৌকনের নমুনা। কিন্তু বর্তমান সময়ের অধিকাংশ নারী জান্নাত নিজের জন্য কঠিন বানিয়ে ফেলেছে। শান্তির খোঁজে অর্থের মোহে তারা অন্ধকার সময়ের মতো নিজেদের প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে, যার দরুন স্বাধীন-সার্বভৌম এ দেশটিতেই আজ নারীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক জরিপ অনুযায়ী গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৭০৩ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়, এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয় ২৩৭ জন । ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ৭৭ জনকে, ধর্ষণের ঘটনায় আত্মহত্যা করে ১৯ জন, প্রকাশিত খবরের বাইরে আরো অপ্রকাশিত অনেক খবর রয়েছে যার সাক্ষী আমরা নিজেরাই। দুঃখজনক হলেও সত্য, অধিকাংশ নারী নিজেরাই নিজেদের সম্মান নষ্ট করছে, পথ উন্মুখ করে দিচ্ছে ধর্ষণ ও নির্যাতনের এক ভয়াল চিত্রের। পশ্চিমা নারীদের খোলামেলা জীবনযাপন দেখে মনে হয় তারা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের জীবন কাটাচ্ছে অথচ পশ্চিমা নারীরাই সবচেয়ে বেশি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ । আর এ বিষয়টি না বোঝার কারণে নানা প্রকার অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটে চলছে প্রতিনিয়ত এবং আমার বোনেরা আঁধারে হারিয়ে যাচ্ছেন ।
স্বামীরা যখন বিশ্বাস করে বাইরে যেতে দেন তখন সময়মত ঘরে ফিরে আসেন না স্ত্রী রা।স্কুল কলেজের বন্ধুদের আড্ডায় মেতে উঠছে বিবাহিত নারীরা। নাউজুবিল্লাহ।
একজন প্রকৃত মুসলিমাহ ও তার দায়িত্ব : নারী পরম শ্রদ্ধেয় মা, আদরের বোন এবং প্রেমময় স্ত্রী কিংবা কলিজার টুকরা স্নেহভাজন কন্যা হিসেবে পুরুষের চিত্তজগতকে আলোকিত করে, বলা হয়ে থাকে, একজন নারী সমাজের অর্ধেক। নারীর সক্রিয় উপস্থিতি ছাড়া একটি সুন্দর ও নৈতিক পরিবার গঠন করা অসম্ভব, নৈতিক পরিবার ব্যতিরেকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ আশা করা যায় না। একজন নারী যদি তার হিজাবের খেলাপ করে চাকরির দুনিয়ায় পাশ্চাত্যের মতো বিচরণ করে এবং নিজের গৃহের দায়িত্ব পরিবারের দায়িত্ব থেকে মাহরুম থাকে তবে এর বিপরীতে সমাজের শতাধিক শিক্ষিত ছেলে বেকারত্বের করাল গ্রাসে নিপতিত হয়। একজন পুরুষ যিনি হন পরিবারের কর্তা, যার ওপর পরিবারের দায়িত্ব ওয়াজিব করে দেয়া হয়েছে সে যদি বেকার বসে থাকে তবে এ চিত্র সমাজে বিপর্যয় সৃষ্টির জন্য যথেষ্ট, ইসলাম নারীদেরকে পুরুষের সমান অধিকার দেয় তবে দায়িত্ব কর্তব্যের ভিন্নতা রয়েছে। কুরআনে উল্লেখ আছে, ‘নারী-পুরুষের যে কেউ ঈমান অবস্থায় নেক আমল করবে আমি অবশ্যই তাকে শান্তিময় জীবন দান করব এবং আখিরাতে তার কৃতকর্মের উত্তম প্রতিদান দেবো।’ (সূরা নাহল-৯৭)।
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার উত্তম জীবন এবং পরকালের উত্তম প্রতিদান দেয়ার ব্যাপারে যেমন পুরুষদের সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তদ্রুপ মহিলাদের সাথেও অঙ্গীকারবদ্ধ, এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের কোনো পার্থক্য করেননি। তবে শর্ত হলো, প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে যত্নবান হতে হবে, সুতরাং মহিলারাও যদি ঈমানকে পরিশুদ্ধ করে নেককাজ তথা ইবাদত-বন্দেগি, স্বামীর খেদমত ও তার আমানতের হেফাজত এবং সন্তান লালন-পালন করে তা হলে এক দিকে যেমন তারা দুনিয়াতে উত্তম জীবনপ্রাপ্ত হবে, সুখময় দাম্পত্য জীবনের অধিকারী হবে এবং আত্মার প্রশান্তি লাভ করবে, অন্য দিকে আখিরাতেও তারা উত্তম প্রতিদান পাবে, চির সুখশান্তিসমৃদ্ধ জান্নাত লাভ করবে এবং অভাবনীয়, অকল্পনীয় ও অপূর্ব নিয়ামত ভোগ করবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা: বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, নারী হলো আবরণীয়। যখন সে বের হয় তখন শয়তান তার অনুসরণ করে। যখন সে ঘরে আবদ্ধ থাকে তখন আল্লাহর রহমত লাভের অতি কাছাকাছি থাকে।’ (মুসনাদে বাজজার) কিন্তু বর্তমানে চাকরির প্রতি আকর্ষণ নারীদের নিজেদের স্বকীয়তা থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে (পরিপূর্ণ ইসলামী ব্যবস্থানুযায়ী নারীদের চাকরির ক্ষেত্র না থাকায়) । নারী স্বাধীনতার নামে মাতৃজাতির সরলতা তাদের হায়া-শরম ছিনিয়ে নিচ্ছে। ফলে প্রতিটি ঘর আজ ফেতনার আখড়ায় পরিণত হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্ব, ভাইবোনে মনোমালিন্য। কোথাও ছেলেমেয়ে, পিতামাতার অবাধ্য, কোথাও পিতামাতা সন্তানের হক আদায় থেকে উদাসীন, সামান্য কারণে তালাকের ঘটনা ঘটে সুখের সংসার দোজখে পরিণত হচ্ছে। গভীরভাবে লক্ষ করলে বোঝা যাবে, এর কারণ হলো মহিলাদের দ্বীনি জ্ঞানের অভাব এবং নিজ দায়িত্ববহির্ভূত অঙ্গনে অবাধ বিচরণ ।
আল্লাহর জান্নাতে সবাই যেতে চায় কিন্তু আল্লাহর আইন মানতে চায় না।আল্লাহ পাক বানিয়েছেন নারী হতে চায় পুরুষ। আল্লাহ পাক বৈধ পুরুষের সাথে কামনা বাসনা মেটাতে বলেছেন তারা কুকুরের সঙ্গে ও ঢলাঢলি করে।