ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘আইন সবার জন্য সমান নয়। হেফাজতে ইসলামের নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী একজন ইডিয়ট।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের বড়বড় কর্তাব্যক্তিরাও বলছেন যে, আহমদ শফীর হত্যাকারীদের মধ্যে একজন জুনায়েদ বাবুনগরী। রাষ্ট্রের যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে আছেন, তাদের সাথেই বৈঠক করেন বাবুনগরী। তাহলে এখানে তো আইন বৈষম্যমূলক হয়ে গেল। আমার জন্য এক রকম, সাধারণ মানুষের জন্য আরেক রকম আর বাবুনগরীর জন্য আরেক রকম। একটা অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে আছি।’
এ সময় মোকতাদির চৌধুরী বলেন, হত্যা মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি কমিটি করে। সেই কমিটিতে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়, তারা তো একজনও ভালো লোক হওয়ার কথা না। তারাও অনেকে অনেক মামলার আসামি। তাদের তোয়াজ করছে রাষ্ট্রের যারা আইন প্রয়োগের দায়িত্বে আছেন তারা। এর চেয়ে ন্যক্কার ও নিন্দাজনক আর কী হতে পারে?
ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতের দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে দেওয়া নিজের এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের লাখ লাখ মানুষ দেখেছে এবং শুনেছে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার লোকেরা আমার বিরুদ্ধে কী বলেছে। আমার নেতৃত্বে নাকি ছাত্রলীগ-যুবলীগ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় হামলা চালিয়েছে। আমি নাকি পাখির মতো মানুষ মেরেছি। পাখির মতো যদি মেরে থাকে, তাহলে পুলিশ মেরেছে। আমি একজন এমপি, একজন দায়িত্বশীল মানুষ। আমি একটা মামলা করেছি, সেই মামলার এজাহারে দেওয়া ফেসবুক লিংক নাকি সিআইডি খুঁজে পায়না। এখন আইন বৈষম্যমূলক হয়ে গেছে। আইন সবার জন্য সমান নয়।