রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে কথিত ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে নেত্রকোনারমাদানী দু’ বছর আগে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়াকে বিয়েও করেছেন। তবে বিয়ের বিষয়টি তাদের পরিবারের কেউও জানতো না। নিজ বাড়ি থেকে বুধবার (৭ মার্চ) ভোরে শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে আটক করে র্যাব। এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, আটক রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল ফোনে একাধিক পর্নো ভিডিও’ পাওয়া গেছে। মাদানীর ব্যক্তিগত ম্যাসেঞ্জার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন জনকে আপত্তিকর ছবি পাঠানোর প্রমাণও পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয় নি শিশুবক্তা’।
র্যাব জানায়, মাদানী দু’ বছর আগে দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়াকে বিয়েও করেছেন। তবে বিয়ের বিষয়টি তাদের পরিবারের কেউও জানতো না।
জানা যায়, মাদানী তার ভাবির এক আত্মীয়াকে ২০১৯ সালে গোপনে বিয়ে করেন। এ বিয়ে শুধু কলেমা পড়েই করা হয়েছিল, কোনো কাবিননামা বা রেজিষ্ট্রেশন করা হয়নি। মাদানীর ভাবি ছাড়া এই বিয়ের কথা আর কেউ জানতো না বলেও জানিয়েছে তারা।
রফিকুল তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মাদানীর গোপনে বিবাহিত স্ত্রী’র বাড়িতে আনুষ্ঠানিক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায়। তবে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে মেয়েটির পরিবার। মৃত শাহাবুদ্দিনেট পাঁচ ছেলের মধ্যে রফিকুল ইসলাম সবার ছোট। নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর রাজধানীর বারিধারার জামিয়া মাদানীয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা সম্পন্ন করেন মাদানী। তার শারীরিক গঠন শিশুদের মতো হলেও প্রকৃতপক্ষে “শিশু বক্তা” মাদানীর বয়স প্রায় ২৬-২৭ বছর।
সম্প্রতি এক বক্তৃতায় শিশুবক্তা’ “রাষ্ট্রপতি মানি, যদি সে ইসলাম মানে। প্রধানমন্ত্রী মানি, যদি সে ইসলাম মানে। এই কচুর প্রধানমন্ত্রী মানি না যদি সে ইসলামের বিরুদ্ধে যায়।” বলার পর সেই বক্তৃতাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।
“রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক” বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাসে শিশুবক্তা’ জানিয়েছেন, মঞ্চে উঠে বক্দেত্বিতার সময় অতিরিক্ত উত্তেজনায় কি বলছেন তার হুঁশ ছিল না। “জোশের কারণে হুঁশ ছিল না” দাবি করে ভবিষ্যতে এ ধরনের মন্তব্য আর না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
গত ২৫ মার্চ মতিঝিল এলাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরবিরোধী মিছিল ও ভাঙচুরের সময় পুলিশ আটক করেছিল শিশুবক্তা’ রফিকুলকে । তবে কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ।