রাজধানী ঢাকার ১৯টি থানা এলাকার করোনা শনাক্তের হার ৩১ থেকে ৪৬ শতাংশ। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি ও শনাক্ত বিবেচনায় দুটি এলাকাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রাজধানীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দুটি থানা এলাকা হলো- রূপনগর ও আদাবর। এই দুই জায়গায় করোনা শনাক্তের হার সবচেয়ে বেশি।
অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (আইএসএস) করোনার নমুনা পরীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণ করে শনিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় গত ২৭ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত ৫১ হাজার ১০৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তা বিশ্লেষণ করেছে আইইডিসিআর।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় করা ১৪ হাজার ৩৩২টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৫ হাজার ১০৩ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ। আর উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ৩৬ হাজার ৭৭১টি নমুনা পরীক্ষা করে ১০ হাজার ৮৪৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে। শনাক্তের হার ২৯ শতাংশ।
অধিদফতরের তথ্য মতে, উত্তর সিটি করপোরেশনের রূপনগর থানা এলাকায় শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ এবং আদাবর থানা এলাকায় শনাক্তের হার ৪৪ শতাংশ, যা রাজধানীর মধ্যে সর্ব্বোচ্চ।
তথ্য মতে, সারাদেশের করোনা রোগী শনাক্তের হারের সঙ্গে তুলনা করলে ঢাকায় শনাক্তের হার অনেক বেশি। ঢাকার ১৯টি থানায় শনাক্তের হার ৩১ শতাংশের ওপরে, ২৩টি থানা এলাকায় ২০ শতাংশের ওপরে এবং ৭টি থানা এলাকায় সংক্রমণের হার ১১ শতাংশের বেশি।
রূপনগর ও আদাবর ছাড়া যেসব থানা এলাকায় সংক্রমণের হার ৩১ শতাংশের বেশি সেগুলো হলো- মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, চকবাজার, শাহ আলী, রামপুরা, তুরাগ, মিরপুর, কলাবাগান, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ, মতিঝিল, দারুসসালাম ও খিলগাঁও।
সংক্রমণের হার ২১ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে আছে শ্যামপুর, বাড্ডা, বনানী, উত্তরখান, শেরে বাংলা নগর, সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী, পল্লবী, কাফরুল, ডেমরা, ওয়ারী, শাহবাগ, বংশাল, লালবাগ, শাহজাহানপুর, রমনা, কামরাঙ্গীরচর, ভাটারা, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, কদমতলী, উত্তরা পূর্ব ও পল্টন থানা এলাকা।
শনাক্তের হার ১১ থেকে ২০ শতাংশের মধ্যে গুলশান, ক্যান্টনমেন্ট, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, তেজগাঁও, উত্তরা পশ্চিম, ভাষানটেক এবং বিমানবন্দর থানা এলাকা।