বেতন বৈষম্য দূর না করে ও বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তড়িঘড়ি করে অ্যাডমিন অর্ডার জারি করায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা।
এ জন্য আগামী ৩০ জুলাই সময়সীমা বেধে দিয়েছে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার (১৪ জুলাই) বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বাপার। এই বৈঠক থেকেই আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

পাইলটরা জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৫৭ জন পাইলট কর্মরত রয়েছেন। ২০২০ সালের মে মাস থেকে তাদের বেতন ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দীন আহমেদের একটি অফিস আদেশে সংস্থাটির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। কিন্তু পাইলটদের বেতন কাটার বিষয়টি বহাল থাকে। এরপর থেকেই ক্ষুব্ধ হন তারা।
এদিকে ফ্লাইট অপারেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যদি পাইলটরা এগ্রিমেন্টের বাইরে ফ্লাইট না করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে বিমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট আবুধাবী, দোহা, দাম্মাম ও দুবাই ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
পাইলটরা বলেছেন, এমন সিদ্ধান্ত বিমানে বৈষম্য তৈরি করেছে। তারা বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘরে বসে অফিস করছেন। কিন্তু তাদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল। অপরদিকে পাইলটরা পবিবার পরিজন ফেলে চরম ঝুঁকি নিয়ে ফ্লাইট চালিয়ে গেলেও তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটি চরম অবিচার। তাদের প্রতি চরম অসম্মান ও অসৌজন্যমূলক আচরণ। তারা আরও বলেন, যদি ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সবকিছু জানাব। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।
বাপার সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পাইলটদের বেতন কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। যদি ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।