বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম মারা গেছেন (ইন্না……..রাজিউন)।
আজ সোমবার দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় কোমায় থাকার পর আজ সোমবার স্থানীয় সময় ১০টা ৪৫ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে নওশাদকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হলেও স্বজনরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তারা।
বিমান সূত্র জানায়, ক্যাপ্টেন নওশাদ একজন দক্ষ পাইলট। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়া সত্ত্বেও তিনি দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন। তার প্রেসার বেড়ে যাওয়ায় মাথায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। শনিবার রাতেই ক্যাপ্টেন নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

আইসিইউতে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে আজ সকালে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার জানিয়েছিলেন, নওশাদের অবস্থার উন্নতি হয়নি। হাসপাতালে তার দুই বোনও রয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারও রয়েছেন।
ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকা আসার পথে বিমানটির ৪৬ বছর বয়সি ক্যাপ্টেন নওশাদ ১১টার দিকে রায়পুরের কাছাকাছি হঠাৎ হালকা অসুস্থতা বোধ করেন। ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘হার্ট অ্যাটাক’ করেন।
এরপর ১১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে নিকটস্থ নাগপুরের ড. বাবা সাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ১২৪ জন যাত্রীর প্রত্যেকেই নিরাপদে ছিলেন।
অবতরণের পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমকে হোপ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। তার এনজিওগ্রাম করা হয়। গত শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে তিনি কোমায় চলে যান।