সরকার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংক্রমণের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যার প্রকৃত অবস্থার চিত্র না দিয়ে অসত্য তথ্য দিচ্ছে। হাসপাতালে সংবাদকর্মীদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধানিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলার ভয়ে সংবাদকর্মীরা প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারছেন না।
গতকাল রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট সারা দেশে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতাল ও পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে ভিড় করলেও সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে বেশির ভাগ আক্রান্ত মানুষ টেস্ট করতে পারছে না। চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। জেলা হাসপাতালগুলোতে পরিস্থিতি উন্নত করার কোনো প্রচেষ্টা সরকারের নেই। অন্যদিকে ঢাকায় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত রোগীর চাপে চরম অব্যবস্থাপনা দেখা দিয়েছে। করোনার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বলে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, যার ফলে দেশের মানুষের কাছে সঠিক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। অন্যদিকে সংক্রমিত ব্যক্তিরা হাসপাতালে কোনো বেড পাচ্ছে না। করোনা সংক্রান্ত জটিল রোগী ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অক্সিজেন-আইসিইউ বেড পাচ্ছে না।
ফখরুল বলেন, টিকা প্রাপ্তির কোনো নিশ্চয়তা ছাড়াই সরকার প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়। লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ করেই কল-কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘পুরোপুরি আত্মঘাতী’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমি কি এমনি বলেছিলাম যে, এগুলো (সিদ্ধান্ত) আসছে সব হেমায়েতপুর থেকে। আসলেই তো! সব হেমায়েতপুরের অবস্থা।’