ফুলগাছ খাওয়ায় অভিযোগে মালিকের অনুপস্থিতিতে ছাগলের জরিমানা করে আলোচনায় আসা বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিনকে বদলি করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে।
গতকাল বুধবার (৯ জুন) বগুড়ার জেলা প্রশসাক জিয়াউল হক ইউএনও’র বদলির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৭ মে ফুলগাছ খাওয়ার অভিযোগে ইউএনও ছাগলের দরিদ্র মালিককে ভ্ৰাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা করার ৯ দিন পর মালিক সাহারা বেগমকে না জানিয়ে সেটি বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। গত ২৭ মে জরিমানার টাকা ইউএনও নিজে ফেরত দিয়ে ছাগল সাহারা বেগমের কাছে ফিরিয়ে দেন।
ইউএনও বলেছিলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান, স্থানীয় সাংবাদিকদের ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই নারীকে ছাগল ফেরত দেওয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা আমি দিয়েছি। তাকে সংশোধনের জন্য জরিমানা করেছিলাম, শাস্তি দেয়ার জন্য নয়।’আর সেই নারী ছাগল বিক্রি করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন, সেটি সত্য নয় বলে দাবি করেন ইউএনও। বলেন, ‘ছাগলটি একজনের জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল।’
বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেছেন, ‘ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের কোনো বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় ঠিক নয়। তিনি বদলি হয়েছেন। তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদলি করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মঙ্গলবার এসেছে। এটা নিয়মিত বদলি বলা যায়।’