স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ সুযোগ করে দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডাক্তাররা অভিমত দিয়েছেন তাকে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। যদিও আমরা ডাক্তারদের কাছ থেকে শুনি নাই। প্রধানমন্ত্রী এসব ব্যাপারে অত্যন্ত উদার। আমরা পজিটিভলি এই ব্যাপার দেখব। কালকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে এটি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের সাক্ষাৎ শেষে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে পরিবারের আবেদন প্রসঙ্গে তিনি এসক কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তাকে বিদেশে পাঠানোর ব্যাপারে অনেকগুলো আইনি বিষয় জড়িত। কোর্টের কোনো নির্দেশ লাগবে কি না? সেটাও দেখতে হবে। সেজন্য আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদ পাঠানো হয়েছে। প্রসেস শুরু হয়েছে। তাদের মতামত এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অবশ্যই পজিটিভলি দেখছি। পজিটিভলি দেখছি বলেই তার দণ্ড আদেশ স্থগিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান তিনি। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।
শামীম ইস্কান্দার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা মন্ত্রীকে জানান। খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে পরিবারের আবেদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শামীম ইস্কান্দার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এর আগে সোমবার রাতে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।