কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এখন কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে কাজুবাদাম, কফি, গোলমরিচসহ অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষ করতে হবে।
শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসবের বিশাল চাহিদা রয়েছে, দামও বেশি। সেজন্য এসব ফসলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে। পাহাড়ের বৃহৎ অঞ্চলজুড়ে এসব ফসল চাষের সম্ভাবনা অনেক। এ ছাড়া আনারস, আম, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের সম্ভাবনাও প্রচুর। আমরা কাজুবাদাম ও কফির উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এসব ফসলের চাষ আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। এটি করতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একইসাথে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে। কৃষির উন্নয়নে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা বদলে যাবে, বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় মন্ত্রী জানান, কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকার ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
শনিবার বিকালে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কাজু বাদাম বাগান, কফি বাগান ও আমসহ অন্যান্য ফলবাগান পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কৃষিকে লাভজনক করতে হলে কাজুবাদাম, কফি, গোলমরিচসহ অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষ করতে হবে। দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও এসবের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এসব ফসলের চাষাবাদ বাড়াতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় কাজুবাদাম ও কফির উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে অল্প পরিসরে কাজুবাদাম এবং কফি উৎপাদন হচ্ছে। শুধু পাহাড়ি অঞ্চল নয়, সারাদেশের যেসব অঞ্চলে কাজুবাদাম এবং কফি চাষাবাদের সম্ভাবনা আছে কিন্তু চাষাবাদ হচ্ছে না। পর্যায়ক্রমে এমন এলাকাও কাজুবাদাম ও কফির চাষের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এসব অপ্রচলিত ফসলের চাষাবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এসব ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করছি। গত বছর কাজুবাদামের ১ লাখ ৫৬ হাজার চারা বিনামূল্যে কৃষকদের দেওয়া হয়েছে; আর এ বছর ৩ লাখ চারা দেওয়া হবে।
এ ছাড়া দেশে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাতের সমস্যা দূর করা ও প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির ওপর শুল্কহার প্রায় ৯০% থেকে নামিয়ে মাত্র ৫% নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।