বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে সাতদিনের ‘কঠোর লকডাউন’। আর সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরের ‘লকডাউন’।এতে বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। তবে জরুরি সেবার কারণে খোলা থাকবে শিল্প-কলকারখানা, গার্মেন্টস। তবে গণপরিবহন না চলার কথা শুনে চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। এ চিন্তার ভাঁজ রয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যেও।
ধোলাইখালের একটি কারখানায় কাজ করে শিহাব। তিনি বলেন, এই রোদ, বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে ধোলাইখাল যাওয়াটা খুবই কষ্টের। সে সঙ্গে রাস্তায় পুলিশ ডিস্টার্ব করে। আবার কারখানায় না গেলে মালিক চাকরিতে রাখবে না। আমরা গরীবরাই সব সময় বিপদে পড়ি।
এদিকে, যারা দিনমজুর তারাও রয়েছে বিপদে। সবকিছু বন্ধ যাওয়ার খবরে ভাতের চিন্তা তাদের।
ঠেলাগাড়ি চালক আসলাম শেখ বলেন, আমরা তো দিন আনি দিন খাই। কোনো সঞ্চয় নাই। এই ‘লকডাউনের’ কারণে আমাদের কোনো আয় থাকবে না। আমরা না খেয়ে মরবো।
একই কথা বললেন মজুরির কাজ করা রাহেলা। তিনি বলেন, ‘ইট ভেঙে পেট চালাই। সব বন্ধ থাকলে আমাগো কামও বন্ধ থাকবে। আমাদের খাওনের ব্যবস্থা কে করবো’?
সেগুনবাগিচার বাসিন্দার আব্দুল হক বলেন, কারণ ‘লকডাউনের’ কারণে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হবে। দরিদ্র মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাবেন, সেটা আমরা চাই না।