কঠোর লকডাউনেও কারখানা খোলা থাকবে পোশাক ও বস্ত্র পোশাকশিল্প মালিকদের নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে পোশাক ও বস্ত্রশিল্প মালিকদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
বৈঠকে অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ ।
বৈঠক শেষে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সংবাদমাধ্যমকে জানান, সর্বাত্মক লকডাউন ১৪ এপ্রিল থেকে হলেও শিল্প কারখানা চলবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শিল্প কারখানা ছাড়া লকডাউনে সব বন্ধ থাকবে। কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে মানুষের চলাচল । এছাড়া ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে। তাতে আমদানি-রফতানিতে সমস্যা হবে। এ বিষয়েও পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অবশ্য সরকার এ বিষয়ে এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি।
এর আগে সকালে লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানায় তৈরি পোশাক খাতের চার সংগঠন- বাংলাদেশ পোশাক রফতানিকারক ও মালিক সমিতি , বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন , বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন ও এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানান সংগঠনগুলোর নেতারা।
ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ গার্মেন্টস কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখা হলে রফতানি বাজার হারাবে। এ ছাড়া শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।’
