দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম দিনে ১১ ঘণ্টায় প্রায় ৯ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছে। প্রথম ১১ ঘণ্টায় ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫২৯ টাকা টোল আদায় হয়। এ সময়ে মোট গাড়ি চলাচলের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৫৪টি।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ।
টোল প্লাজাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, বিকাল ৫টা পর্যন্ত কুড়িলে ১১৯৮টি, বিমানবন্দরে ৬৬১৬টি, বনানিতে ১০৯১টি এবং তেজগাঁওয়ে ১৯৪৯টি গাড়ি টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে।
প্রথম দফায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে। এই অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এই সড়ক দিয়ে বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে ফার্মগেট আসতে সময় লাগছে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিট।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যান চলাচলে যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে কার, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা। সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঝারি ধরনের ট্রাকের (৬ চাকা পর্যন্ত) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২০ টাকা এবং বড় ট্রাকের (৬ চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ টাকার মধ্যে টোল এবং ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত করা আছে।