সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানি এলাকায় আগুন এখনও নেভেনি। আগুনের কাছাকাছি পানির কোনো উৎস না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও বনকর্মীরা আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবনে গহীনে লাগা আগুন নেভাতে আবারও কাজ শুরু হয়েছে। অন্ধকারে বনের গহীনে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
এর আগে সোমবার দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট সেখানে পৌঁছে যায়। পরে মোড়েলগঞ্জ ও বাগেরহাটের ২টি ইউনিট সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যুক্ত হয়। পাশাপাশি বনকর্মীদের সাথে এলাকার মানুষও আগুন নেভাতে যোগ দেন। তারা ফায়ার লাইন কাটাসহ দূরের উৎস থেকে পানি সরবরাহের কাজে সহযোগিতা করেন।
এর আগে সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় দিনের আলো ফুরিয়ে গেলে অভিযান বন্ধ করে ফায়ার সার্ভিস। সোমবার দুপুরে দাসের ভারানি এলাকায় আগুন লাগে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ২ একর বন জুড়ে আগুন জ্বলছিল বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক গোলাম সরোয়ার জানান, সুন্দরবনের দাসের ভারানী এলাকায় যে গহীন বনে আগুন লেগেছে তার কাছাকাছি পানির কোনো উৎস না থাকায় ৪-৫ কিলোমিটার দূরে পাইপ খাটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে বেশ কিছু এলাকায় আগুন ও ধোয়ার কুন্ডলি রয়েছে।
আগুনের ব্যাপ্তি যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়টি মাথায় রেখেই ফায়ার সার্ভিস ও বনকর্মীরা একযোগে কাজ করছে। গহীন বনে ও মাটির স্তরে লতা জাতীয় গুল্ম উদ্ভিদে লাগা আগুন নেভাতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদিন বলেন, দ্বিতীয় দিনের মতো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করার জন্য আমাদের শতাধিক স্টাফ ও কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিসও চেষ্টা করছে। আশা করছি আজকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বাগেরহাটের উপসহকারী পরিচালক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, সকালে তিনটি ইউনিট সুন্দরবনে এসেছি। খুব তাড়াতাড়ি আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারব। আগুন নিভানোর পানির জন্য চার কিলোমিটার পাইপ বসানো হয়েছে। আশা করছি আজকে সম্পূর্ণরূপে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।