ঈদ বলতে আমরা সব সময় যেটা বুঝি সেই ঈদ এক যুগ ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “আজকে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে- অত্যন্ত একটা কষ্টের মধ্য দিয়ে, দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে। একদিকে কোভিড করোনার ভয়াবহ আক্রমণ, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদী সরকারের অত্যাচার- নির্যাতন-নিপীড়ন।
“এই দুই দানবের হাত থেকে এই দেশ যেন রক্ষা পায়, জনগণ যেন রক্ষা পায়, সেই দোয়া আমরা আল্লাহর কাছে করেছি।”
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা জানানো শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, যারা আসামি হন তাদের পরিবারে কখনও ঈদ আসে না, এটা বাস্তবতা। এই সরকারের নির্মম অত্যচার, নির্যাতন বর্ণনাতীত। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি।
শুক্রবার ঈদের নামাজ শেষে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছিলেন ফখরুল।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত ছাড়া ঈদের দিন আর কোনো কর্মসূচি বিএনপি এবার রাখেনি।
আগের দুই বছর কারাগারে কাটানো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার হাসপাতালে। তাকে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঈদ কেমন কাটছে- সেই প্রশ্ন ফখরুলের সামনে রেখেছিলেন একজন সাংবাদিক।
উত্তরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ঈদ বলতে আমরা যেটা সবসময় বুঝি, সেই ঈদ আমাদের শুধু তিন বছর নয়, সত্যি কথা বলতে গত এক যুগ ধরেই আমাদের ঈদ নেই।
“কারণ আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা মিথ্যা মামলা দেওয়া-এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে…, এই দেশে আমাদের কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মী আসামি হয়ে আছেন। যারা আসামি হন, তাদের পরিবারে কখনো ঈদ আসে না। এটা বাস্তবতা।”
সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর ‘বর্ণনাতীত অত্যাচার-নির্যাতন’ চালাচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন আমাদের সাথে থাকেন তখন উজ্জীবিত হই, তিনি অনুপ্রাণিত করেন।
“তিনি কারাগারে তিন বছর। এখন এটা ভেবে আমরা অনুপ্রাণিত হই যে, তিনি তো আছেন, বেঁচে আছেন।… এই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব- এটাই আমাদের আজকের দিনের শপথ।”