দেশের স্বার্থে সবাইকে একটি করে বনজ, ফলজ ও ভেষজ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সবুজ বাংলাকে আরও সবুজ করতে হবে।’
শনিবার (৫ জুন) গণভবনে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১’ উদ্বোধনকালে সবার প্রতি এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আমি নিজে বৃক্ষরোপণ করলাম। সেইসঙ্গে আমি সব দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে গাছ লাগান।
তিনি বলেন, ৩টা করে গাছ লাগাতে পারলে সব থেকে ভালো হয়। আর সেটা যদি না পারেন একটা করে হলেও লাগাবেন। আমরা চাই যে একটা ফলজ, একটা বনজ, একটা ভেষজ এ ধরনের গাছ লাগাবেন। পরিবেশ রক্ষায়, নিজের আর্থিক সচ্ছলতা ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সব থেকে যেটা সবচেয়ে বেশি উপযোগী সেটা হলো ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা।
গাছের যত্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আপনারা সবাই গাছ লাগাবেন এবং গাছের যত্ন নেবেন। শুধু গাছ লাগালে হবে না, গাছ যাতে টিকে থাকে সে জন্য যত্ন নিতে হবে। এ গাছ ফল দেবে, কাঠ দেবে অথবা ওষুধ দেবে নানাভাবে উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করি এবং আমাদের সোনার বাংলাকে আরও সোনার সবুজ বাংলা করি। বনায়নে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা জানিয়ে টানা ৩ বারের সরকার প্রধান বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমরা এগিয়ে যাবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এই দেশ আমাদের। আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে আমরা সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চাই। আসুন আমরা সবাই মিলে ব্যাপকভাবে এ দেশে বৃক্ষরোপণ করি এবং আমাদের সোনার বাংলাকে আরও সোনার সবুজ বাংলা করি।’
বনায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা জানিয়ে টানা তিন বারের সরকার প্রধান বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমরা এগিয়ে যাবো। বনায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সাফল্য। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তার ফলে আজকে আমাদের প্রায় ২২ ভাগ বনায়ন সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আমাদের পারিবারিকভাবে বাগান সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া সবাই এখন সচেতন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন– পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, সচিব জিয়াউল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।