লকডাউন চলাকালে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে আলোচিত ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে বদলি করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন চলাকালে গত ১৮ এপ্রিল এলিফ্যান্ট রোডে এক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক সাঈদা শওকত জেনির পরিচয়পত্র দেখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। সেই সময় সেখানে মামুনুর রশীদ ভ্রাম্যমাণ আদালতে দায়িত্বরত ছিলেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সে অনেক দিন ধরে এখানে আছে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় তাকে বদলি করা হয়েছে। তার বদলির বিষয়টি আগে থেকেই প্রক্রিয়াধীন ছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে বদলির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন তৈরি হয়। চিকিৎসক, পুলিশ এবং ম্যাজিস্ট্রেট তিনজনই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে দাবি করেন। চিকিৎসক এবং পুলিশ একে অপরের শাস্তি দাবি করে।
চিকিৎসকের দাবি, চিকিৎসককে ইচ্ছা করে হয়রানি করা হয়েছে। তার গাড়িতে লকডাউনের সময় হাসপাতালে কাজ করার আদেশনামা ছিল, পরনে অ্যাপ্রোন ছিল এবং গাড়িতে হাসপাতালের স্টিকার লাগানো ছিল। আর পুলিশের পক্ষের দাবি, চিকিৎসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন এবং গালি দিয়েছেন। তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয় পুলিশের বিবৃতিতে।
এর আগে বিএমএ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসককে হেনস্তায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিল। এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর চিকিৎসকদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ও চেকপোস্টে ‘চাহিবামাত্র তা প্রদর্শনেরও’ অনুরোধ করেছে।