আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এবারের স্লোগান ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে সমতার বিশ্ব’।
রাজনীতি, কর্মক্ষেত্র, সমাজ, রাষ্ট্রের নানা পর্যায়ে নারীরা এখনো পিছিয়ে আছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থাকেই এর সবচেয়ে বড় প্রতিবন্দকতা হিসেবে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ‘গায়ের রং, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্বাবলম্বিতা, সাংসারিক দক্ষতার ধরা হয়-বিয়ের বাজারে দাম বাড়ানোর উপাদান হিসেবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হলেও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পরিবারে, শেষমেষ পুরুষের সিদ্ধান্তই প্রাধান্য পাচ্ছে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্যমতে, দেশে এখনো ৭৭ শতাংশ নারী পরিবারেই নির্যাতনের শিকার। ৮০ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন ।
জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশে এখনও অর্ধেকের বেশি মেয়ের বাল্য বিবাহ হয়। উচ্চ শিক্ষায় নারীরা পুরুষের তুলনায় পিছিয়ে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ি, সরকারি চাকুরীক্ষেত্রে নারীর পদচারণা ৩০ শতাংশের কম। তাই সমতার বিশ্ব গড়তে সময় লাগবে সকলের মনোভাব আরও ইতিবাচক হওয়া প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে বিশ্বের সব নারীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারী তার মেধা ও শ্রম দিয়ে যুগে যুগে সভ্যতার সব অগ্রগতি এবং উন্নয়নে করেছে সম-অংশীদারি। আর তাই সারা বিশ্বে বদলে গেছে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। এখন নারীর কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বীকৃতি।’