নিজ বাড়িতে অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত হন হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল ময়েস। এ ঘটনায় জড়িত চার সন্দেহভাজনকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির পুলিশ বাহিনী। খবর বিবিসির।
একই সঙ্গে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সে বাকি সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।পুলিশ প্রধান লিয়ন চার্লস বলেছেন, ‘তাদেরকে হত্যা বা গ্রেফতার করা হবে।’
বুধবার স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতি তিনি আরও বলেন, ‘চার ভাড়াটে সন্দেহভাজন খুনিকে হত্যা করা হয়েছে এবং দু’জনকে গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া জিম্মি পুলিশের তিন সদস্যকেও উদ্ধার করা হয়েছে।’
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্র হাতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ঢুকে ময়েসের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের বাসভবনে তাকে কয়েক দফা গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত অবস্থায় ফার্স্ট লেডি মার্টিন মইসিকে ফ্লোরিডায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কজনক। তবে চিকিৎসকরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
হাইতি পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এর সরকারি নাম হাইতি প্রজাতন্ত্র। ক্যারিবীয় সাগরের হিস্পানিওলা দ্বীপের পশ্চিম এক-তৃতীয়াংশ এলাকা নিয়ে রাষ্ট্রটি গঠিত। দ্বীপের বাকি অংশে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র অবস্থিত।
১৮০৪ সালে হাইতি লাতিন আমেরিকার প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এটিই দাসদের সফল বিপ্লবের ফলে সৃষ্ট একমাত্র রাষ্ট্র। হাইতি প্রথমে স্পেনীয় ও পরে ফরাসি উপনিবেশ ছিল। হাইতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আফ্রিকান দাসেরা ফরাসি ঔপনিবেশিকদের উৎখাত করলে হাইতি স্বাধীনতা লাভ করে। পর্তোপ্রাস দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। বর্তমানে হাইতি পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। অনেক হাইতীয় দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।