প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার রাত থেকেই দেশের স্বনামধণ্য সাংবাদিকগণ তাদের সামাজিকমাধ্যমগুলোতে সরব হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন খালেদ মুহিউদ্দীন। জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের বাংলা সংস্করণের পরিচালনায় থাকা খালেদও তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি চুরির অভিযোগে নিজেকেও গ্রেপ্তারের কথা বলেন। ‘
‘আমার বিরুদ্ধেও মামলা দেন’ শিরোনামে খালেদ মুহিউদ্দীন লিখেছেন- ‘রোজিনার বিরুদ্ধে যে কারণে মামলা দিছেন, ওই কারণে আমার বিরুদ্ধেও মামলা দেন। নথি আমিও চুরি করছি। সদাশয় সরকার, মনে রাইখেন আমারে বা আমগরে নথি দেওনের বা দেখানোর সাহস আপনের নাই। খালি নথি দিয়া রিপোর্ট হয় না, আপনেরেই জিগাইতাম পরে যে এই কামডা কেন করছেন? আরও মনে রাইখেন রাষ্ট্রের বা মানুষের ক্ষতি করার কোনো সুযোগ আমাগো মত নথি চোরগো নাই। আপনারা যারা নথির কারবার করেন তাগো আছে। মনে আছে মেডেলের সোনা বা রূপপুরের বালিশ? ওপেন চ্যালেঞ্জ দিলাম, যুক্তি দিয়া দেখান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিবের কাছে এমন কোন নথি আছে যা প্রকাশ হইলে এই দেশের বা দেশের মানুষের ক্ষতি হইব?’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি চুরির চেষ্টা এবং মোবাইলে ছবি তোলার’ অভিযোগ আনা হয় রোজিনার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ঢাকার শাহবাগ থানায় যে মামলা করা হয়েছে, যেখানে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের’ ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী। মামলা দায়েরের পর রোজিনাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে আদালতে পুলিশের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয় রোজিনাকে।