ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরাইলের টানা সংঘাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবস্থান নিয়ে নিজ দলের মধ্যেই তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, নিজ দল ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনের মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি ইসরাইলের ওপর চাপ প্রয়োগের কথা বলছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বামপন্থি উদারনৈতিক সদস্যরা ক্রমেই বাইডেনের তীব্র সমালোচনায় সরব হচ্ছেন।
নির্বাচনের আগে সামাজিক অন্যায়-অবিচার ও বর্ণবাদ রুখে দাঁড়িয়ে জনগণকে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাইডেনের দল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন টেলিফোনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেছেন, তিনি ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন দিয়ে যাবেন।
বাইডেন বলেন, হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রকেট হামলা ঠেকাতে নিজেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে ইসরাইলের।
অন্যদিকে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে গাজা থেকে রকেট হামলা বন্ধ করতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে বলেন বাইডেন। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব জোরদারে নিজের প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম আব্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে বাইডেনের।
বাইডেনের এই ফোনে ফিলিস্তিনে হামলা উসকে দেওয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি ইসরাইলিদের অধিকারের প্রতি তার (বাইডেন) একনিষ্ঠ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন। বাইডেনের ফোন পেয়ে গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, হামলা মধ্য পর্যায়ে আছে। আরও চলবে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন গাজায় হামলা চলবে এবং যতটা সম্ভব বেসামরিক ব্যক্তিদের হতাহত এড়ানো হবে।
এদিকে শুধুমাত্র রোববার ইসরাইলের হামলায় অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ দিন ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় কমপক্ষে দুটি আবাসিক ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এ হামলায় কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান ও স্থল হামলায় ১৮৮ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ জনই শিশু। আহত হয়েছেন এক হাজার ২শ’র বেশি মানুষ।
অপরপক্ষে পাল্টা জবাবে ইসরাইল অভিমুখে সহস্রাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হামাস। যা অধিকাংশই আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করেছে ইসরাইল।
আল আকসায় তারাবির নামাজে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১০ মে থেকে নতুন করে সংঘাত শুরু হয় গাজায়।